*দৃশ্যপট পিছনে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চাইলে দেখা যায় ১১ -১২ বছর আগের ২১ ফেব্রুয়ারী প্রথম প্রহর এর রাত দাপ্তরিক কাজের স্বার্থে ছেলেটির বাবা প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে ফুল দিতে গেলেও তার ছেলেকে নিতে চান নি , পরদিন সকালে নিয়ে যাবেন বলে। ছেলেটি তার বাবার কথা রাখার কথা থাকলেও রাখতে পারে নি , কেউ তাকে সে রাতে দমিয়ে রাখতে পারে নি শহীদ মিনারে ফুল দেয়া থেকে দেখা গেল রাত ১২.০৫ মিনিটে সে একা একাই খালি পায়ে হাতে তার বাগান থেকে ছেড়া একটা লাল গোলাপ নিয়ে ছোট্ট ছোট্ট পায়ে হেটে যাচ্ছে শহীদ মিনারের দিকে ...........
*এখন চারপাশের পরিবেশ টা অনেক বিস্তৃত একেকজনের মুল্যবোধ চিন্তাধারা একেকধরনের , তাই যখন কোথাও একজনের সাথে কথা বলে শেষ করে আরেকজনের সাথে সেই বিষয় টা নিয়েই কথা বলি তখন তাদের একেকজনের মুল্যবোধ আর নীতি কথা গুলো আমাদের মস্তিষ্কে দলা পাকিয়ে নতুন আরেকধরনের মুল্যবোধ তৈরি হয় , দেখা যায় যে সব কিছু ভজঘট পাকিয়ে নতুন কিছু একটা বের হল সবশেষে এটাকে খিচুড়ি ফর্মুলা ছাড়া আর কিছুই বলার থাকে না .....
*১৬ই ডিসেম্বর উপলক্ষ্যে এলাকায় আনন্দ উৎসব , বিজয় উৎসবে মাতোয়ারা দেশ এলাকাই বার তার পিছনে থাকবে কেন ,তাই বিজয়ের গান শোনার জন্য মাইক লাগানো ভালো কথা , কিন্তু এর ফাকে হিন্দি গান চালিয়ে দেয়া কতটা যুক্তিসংগত আপনার এলাকায় কি এরকম কিছু ঘটছে , কিংবা ঘটলেও কি আপনি খেয়াল করছেন ? আজই সতর্ক হন ..........নচেৎ বিপর্যয় ঠেকানো যাবে না , একদিন নিজ সন্তানের মুখে হয়তো শুনতে হবে "মেরা নাম কেয়া হ্যায় ড্যাডি ??" ভাষার জন্য এমন আত্নত্যাগ করে নিশ্চয় ভাষাশহীদেরা এটা আশা করেন নি ??
*সবকিছুর পরিবর্তন ও ধীরে ধীরে হয় হঠাৎ জেগে আসা আন্দোলোন আবার ঝড়ের মতই স্তিমিত হয়ে পড়ে , সেটার উদাহরণ ভুড়ি ভুড়ি ফেসবুকেও ওয়ালে ঝড় তুললেই সেটাকে দুনিয়া কাপানো বলা চলে না , ফেসবুকে কয়েকহাজার বার শেয়ার হলেই সেটা বিখ্যাত হয় না । সেজন্য দীর্ঘ অধ্যবসায় আর ধৈর্য্যের ও প্রয়োজন আছে। সেটা দরকার ছিল ভারত বনধ বলে কিছু অনলাইন কমিউনিটি তে পোষ্ট দিয়ে কাপিয়ে দেয়া কিংবা ফেসবুকে শেয়ার হওয়া গ্রুপ গুলোর ক্ষেত্রেও । মনে রাখতে হবে আমরা বাঙালী আর আমরা কোন কিছু ভুলিও খুব দ্রুত ,তাই তো দেখা যায় শেষ সোমবারে ভারত বনধ নিয়ে তোড়জোড় করার পর এই সোমবারে জনৈক দেশপ্রেমিক এর স্ট্যাটাস ফিল্ম ফেয়ার এওয়ার্ড দেখবো নাকি কালকের সিটি(ক্লাস টেস্ট)এর প্রিপারেশনি নিবো।
আশা আমাদের অনেকেও ভরসা দেবার লোকের ও অভাব নেই , বহুদিন আগ থেকেই বাংলাদেশ সাইবার আর্মি থ্রী এক্সপায়ার আর্মি হ্যাকিং এর সাথে জড়িত । প্রথম আমার খেয়াল হল যখন তারা ভারতীয় হাই কমিশন হ্যাক করলো , আশায় বুক বাধলাম , পাশে ছিলাম সাথে ছিলাম এরপর যখন আরো বড় কিছু হ্যাক করা শুরু করলো তখন আর উচ্ছাস করে কি হবে বিপ্লব শুরু হল বলে। তবে তীব্র ভাবে টের পাওয়া গেল জানুয়ারীর মাঝামাঝি থেকে ফেব্রূয়ারীর শুরুর ভাগে , এত বড় বিপ্লব ই হ্যাকিং এর তোড়ে ভ্যালেন্টাইন ডে টাও পর্যন্ত ভেসে গেল , হোম পেইজে কোথাও একটা স্ট্যাটাস দেখলাম না । তারপর এলো অনেকে প্রশ্ন হ্যাকিং করে তো মানুষ সিকিউরিটি ডাটা সরিয়ে ফেলে ডাটা মুছে ফেলে এরা কি করতে পেরেছে , ঘরের পিছন দিয়ে বি এস এফ আসলো বলে ,এই বলে খাটের নিচে দেখা গেল পশ্চাতদেশ তাদের তখন ও কাপছে । তাদের বললাম এথিকাল হ্যাকিং আর আনএথিক্যাল হ্যাকিং কি এটার মানে জেনে আসেন তারপর কথাবার্তা শুরু করি .......সব নির্বাক.............
স্যালুট হ্যাকার দের ,তোমাদের অগ্রযাত্রা প্রতিদিন বর্গের সমানুপাতিক হারে বাড়ুক কারণ আমরা সবসময়ই জেগে উঠি কিন্তু দেরীতে .......
** কিছু উদ্যম মাঝে মাঝে আমাদের কাজ করতে আগ্রহ জোগায় কিছু লক্ষ্য আমাদের আগামী দিনের পথ দেখায় , তাই বলে সেই লক্ষ্যে তোড়জোড় করে পৌছার কথা কেউ আমাদের বলেন নি কাজ শুরু করতে হবে ধীরে ধীরে তবেই পৌছানো যাবে অভীষ্ট লক্ষে সেই
লক্ষ্যে আমরা একটা উদ্যোগ হাতে নিয়েছি সেটা হল ডোরেমন কে বাংলায় ডাবিং করানোর , যেখানে আমি নিজেও কাজটার প্রতি ব্যক্তিগত ভাবে আগ্রহী এবং সন্দিহান ও যে এই উদ্যোগ টার সংশ্লিষ্ট অনেকেই থাকবেন কিনা কিংবা সফলকাম করা সম্ভব কিনা ,তবুও এর জন্য চেষ্টা টা আপ্রাণ হলেও ক্ষতি কি তাই না ।
সেই চেষ্টাই আমরা করছি , "ডোরেমন "কার্টুন কে বাংলায় ডাবিং করানোর চেষ্টা
এ ব্যাপারে আপনাদের আইডিয়া এবং যারা কাজ করতে চান তারা এখানে আপনাদের মতামত জানাতে পারেন আসুন হিন্দি আগ্রাসন থেকে আমাদের সন্তান দের রক্ষা করি।
জেগে উঠবেন তো এখন ও উঠুন , কেউ পথ দেখাবে তার জন্য বসে থাকলে নিজের ভবিষ্যত প্রজন্মের ই ক্ষতি । ............
ফেসবুক নোটের লিঙ্ক - ডোরেমন কে বাংলায় ডাবিং করা তথা হিন্দি ভাষার আগ্রাসন থেকে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কে রক্ষা ..।
উৎসর্গ - সকল আত্মত্যাগদান কারী ভাষা শহীদ দের ...
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:২৫