শ্বাস নাও প্রাণ ভরে
কেওই জানে না ,
কখন এটা যাবে তোমায় ছেড়ে ---- প্রাত্যহিক জীবনে চলার পথে জীবন দিয়ে জীবনকে উপভোগ করা কিছু নিঃশ্বাস । ভালো লাগা গুলো সবার সাথে শেয়ার করতে আমার ভালই লাগে । সাথে আমার পছন্দের কিছু রুবাই , রুমি র লেখা । একটা ভিডিও দিলাম আশা করছি সবার ভালো লাগবে ।
আমি খুব বেশি কিছু জানি না
এই মায়াময় পৃথিবী,
সীমাহীন নীল আকাশ,
অথবা সজীব প্রকৃতির |
শুধু জানি পরিপূর্ণ রূপে
ভয়ানকভাবে আচ্ছন্ন আমি ,
ভালবাসা পূর্ণ এক গ্লাসে |
"গন্ধ যদি শুকতে না পার
প্রেমকাননে এসনা |
মুখোশ যদি ছাড়তে না পার
সত্যের পথে হেট না |
সেখানেই থাক যেখানে ছিলে
ভুলেও এস না সত্যের দেশে |"
"ছেড়ে যেও না
গোপনে লুকিয়ে থাকো এ হৃদয়ে
পাগড়ির মতো ঘিরে থাকা মাথায়
বললাম, ‘‘ইচ্ছে মতো আসি ও যাই’’
বললেন, ‘‘হৃদস্পন্দের মতো দ্রুত।’’
যত পারো করো আঘাত
শুধু যেও না ছেড়ে"
"গতকাল কোকিল গেয়েছে গান
জলধারাও শুনিয়েছে মধুর সঙ্গীত :
‘‘তুমি গোলাপকে পরিণত করতে পারো
স্বর্ণ, পদ্মরাগমনি অথবা পান্নায়
কিন্তু বিলাবে কি-তা মদীর সুগন্ধ?’’
"কার পদযুগল সামর্থ্যবান
উদ্যানে প্রবেশের ব্যাপারে?
কার দৃষ্টি স্বচ্ছ
গোলাপ-শিউলি হতেও?
হৃদয়ের পা ও চোখ
অকেজ হয়ে পড়ে আছে।"
"যদি হৃদয়ে ধরে রাখি , বিবর্ণ হয়ে যাবে |
কাঁটা হয়ে যাবে ,যদি ধরি চোখে |
না, আত্মার ভেতরেই জায়গা করে দেব তোমাকে ,
আমার ভালবাসা হয়ে রবে, এ জীবনের বাহিরে "|
"আমাদের শুন্যতার কোনো শেষ নেই ,
আর বিশ্রাম নেই আমাদের হৃদয় ও আত্মার |"
"সে অন্ধ , কখনোই আমার চোখের ভাষা পড়তে পারেনি
আর আমি বোবা, কখনোই তাকে কিছু বলতে পারিনি"
"যেই মুহুর্তে আমি প্রথম প্রেমের গল্প শুনলাম |
আমি তোমাকে খুজতে শুরু করেছিলাম |
জানতে নয়, যে সেটা কত খানি অন্ধ ছিল |"
"প্রেমিকের শেষ পর্যন্ত কোথাও মিলিত হয়না |
তারা তো সব সময়ই একে অপরের |"
"যুগলদের রাজ্যে সংগীত থেমে যায় না কখনো ,
যার দেয়াল গুলো গানের তৈরী আর মেঝে নাচের "|বেদনা পাওয়া "দেব না ছেড়ে সহজে
যতদিন বেঁচে আছি কামনারও হবে না বিদায়
তার স্মরণই মধুরতম বেদনা
এ বেদনার চাই না নিরাময় কখনও"।
"তোমাকে ব্যতীত বাঁচা
ভালোবাসাহীন বাঁচা;
জীবনের আর মূল্য কী ভালোবাসা ছাড়া?
তুমি হীন বেঁচে থাকা
হে প্রিয়, লাশের জীবনের ছাড়া কিছু নয়
কেউ কেউ অবশ্য একেই বলে জীবন।"
"হৃদয়ে আগুন-জ্বলা একজন প্রেমিক চাই
যে যুদ্ধ করবে নিখিল চরাচরে
রক্তনদী বইলে কিংবা হলে খুনাখুনি- প্রেমিক নয় ভীত
তার আগুন নেভে না কোনো পানিতে"।
[si"রাজাধিরাজ- যিনি হরণ করেছেন হৃদয়
বার্তা দিয়ে পাঠিয়েছেন একটি প্রজাপতি
প্রজাপতি বলেছে, ‘‘আমি তোমার।’’
শত শত প্রদীপে তখনই
জ্বলে উঠে আলো"।
এই নিষ্ঠুর থেকে নিষ্ঠুর হয়ে যাওয়া পৃথিবীকে ছেড়ে যাওয়া কিছু দীর্ঘশ্বাস , ভালোবাসার প্রস্থান
কৃতজ্ঞতা স্রষ্টার প্রতি , মুগ্ধতা তার সৃষ্টিতে .........................
[si]মানুষের মুখের ভাষা অনেক সীমিত। স্রষ্টার যে অনুভুতি মানুষ অন্তরে ধারণ করতে পারে, ধারণ করে, সেটা কখনোই পরিপূর্ণভাবে ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। একারণে আধ্যাত্মিক বিষয়াবলিকে খুব কমই পরিপূর্ণভাবে ভাষায় প্রকাশ করা যায়। কারণ সে অনুভুতিগুলি এমনই, যার কাছে ভাষা পরাজিত হয়েছে। অর্থাৎ, স্রষ্টার ভাষাকে অন্য যেকোনো কিছুতেই প্রকাশ করতে যান না কেনো, সবই যেনো এক দুর্বল অনুবাদ।
মানুষের সাথে মানুষের ভাবের আদান-প্রদানের ক্ষেত্রেও কথাটি অনেকাংশে প্রযোজ্য। নীরবতার মাধ্যমে যে অনুভুতির আদান-প্রদান হয়, তার কাছে অনেকসময় শ্রেষ্ঠ ভাষাও পরাজিত হয়।
--------------------------জালাল উদ্দিন রুমি