দূর থেকে পাহাড় দেখা যাচ্ছে।
দিল্লীর লাড্ডু যে খায় সে পস্তায়, যে খায় না সেও নাকি পস্তায়। আমার খালাত দাদার বিয়ে। তাও আবার দিল্লীর মেয়েকে! যাক! বাবা হয়ে গেল। তো আমরা প্রায় ২০/২২ জনের গ্রুপ মিলে রওনা দিলাম দিল্লী। মা,খালা,ভাবী,বোন,ভাই,ভাগ্নে আরো পিচ্চি কাচ্চারা। বিয়ের পর নব দম্পত্তি শিমলা যাবে । বরফ দেখতে। আমরা কি আর পিছ ছাড়ি ? দে'ছুট সবাই। দিল্লী থেকে কালকা হয়ে শিমলার পথে।
আমাদের কালকা থেকে শিমলা যাবার টয় ট্রেন।
টয় ট্রেন চলছে আকা-বাকা পথ ধরে।
ট্রেনের কামরায় আমরা পুরো টিম।
টয় ট্রেনে যেতে যেতে দেখলাম। একপাশে রেলপথ, তার নীচে সড়ক পথ।
বিয়ের ক্লান্তিতে নবদম্পত্তি পুরো যাত্রায় ঘুম!
বারওজা স্টেশন। পাহাড়ের প্রায় ৪ হাজার ফিট উপরে এই স্টেশন।
শিমলায় পৌছাতে পৌছাতে বিকেল। ততক্ষনে পুরো শহরটা বরফে ছেয়ে গেছে।
আমার রুমের জানালা দিয়ে ভোরের সূর্য।
রাতের বরফে ছেয়ে গেছে হোটেলর ছাদ।
মনে কর, যেন বিদেশ ঘুরে
মাকে নিয়ে যাচ্ছি অনেক দুরে।
তুমি যাচ্ছ পালকিতে, মা, চ'ড়ে
দরজা দুটো একটুকু ফাঁক ক'রে,
আমি যাচ্ছি রাঙা ঘোরার 'পরে
টগবগিয়ে তোমার পাশে পাশে।
মা,খালা,খালাত বোন।
মাথায় বরফ দেয়া বোধহয় একেই বলে।
শিমলা মাল রোডে সবাই।
আমি ও আমার বহু ভ্রমণের সঙ্গী আমার ভাগ্নের সাথে ভীষন ভাবে!
নব্দম্পত্তিকে এক টব বরফ দিলাম!!!
শিমলা রেল স্টেশনের কুকুর গুলো ।
একটা স্কুল বরফে ঢেকে গেছে এখানকার স্কুল্গুলো ডিসেম্বর থেকে মার্চ অব্দি বন্ধ থাকে।
অবিরাম তুষারপাতের ভিতর আমি। বিকেল চারটা। তুষার পড়ছে প্রায় দুপুর ৩টা থেকে।
গা জুড়ালাম গরম চা দিয়ে।
শিমলা গিয়েছিলাম চার বছর আগে। সেই স্নৃতি আজো চোখে ভাসে। আমার পিচ্চির তখন এক বছর বয়সী ছিল বলে আমার গিন্নি যেতে পারে নাই। সেবার দিল্লীও ঘুরেছিলাম বেশ। সে গল্প না হয় তোলা থাকুক আরেকদিনের জন্য।
যেভাবে যাওয়া যায়ঃ ঢাকা থেকে দিল্লী যেতে হবে। ঢাকা থেকে কলকাতা বাই রোডে গিয়ে কলকাতা থেকে দিল্লী রাজধানী এক্সপ্রেস অথবা দুরন্ত এক্সপ্রেস এর ট্রেনে। ট্রেন ভাড়া পড়বে ১৮০০ রুপি/২০০০ রুপি। দিল্লী থেকে কালকা ট্রেনে। ট্রেন ভাড়া পড়বে ৪০০ রুপি। কালকা থেকে টয় ট্রনে শিমলা । ভাড়া ৩৫০ রুপি। শিমলাতে বাঙ্গালী খাবারের হোটেল নেই। আমরা 'রাজদূত' নামক একটা হোটেলে থেকেছিলাম। রুম ভাড়া ছিল ডাবল বেড ১০০০ রুপি। তবে শিমলাতে বরফ দেখতে চাইলে জানুয়ারী মাসটা বেছে নিতে ভুলবেন না।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১৩