এই যে শিরোনামে কি, কাকে, কেনো, কিভাবে, কোথায় এতগুলো প্রশ্ন দেখা যাচ্ছে। ঠিক এমন সব কি, কাকে, কেনো, কিভাবে পৃথিবীর সব প্রশ্ন বোধক চিহ্ন আমার মাথাতেও এসেছে এই জীবনে বহু বহু বার। বহু বহু ক্ষেত্রে এক এক্সপেরিমেন্টাল জীবন কাটাতে গিয়ে বহু বহু বার মনে পড়েছে ছোটবেলায় পড়া সেই কবিতাটিও-
মাথায় কত প্রশ্ন আসে দিচ্ছে না কেউ জবাব তার,
সবাই বলে মিথ্যে বাজে বকিসনে আর খবরদার...
তবে হ্যাঁ আমাদের ছোটবেলার তুলনায় এখনকার ছোটবেলায় প্রশ্নোত্তর পাওয়া সহজ। জানার শেষ নেই তবুও এ যুগের ছেলেমেয়েরা সে যুগের তুলনায় অনেক অনেক জ্ঞানী। তাদের উত্তর মা বাবা বা বড়রা না দিলেও তারা জেনে নিতে পারে বর্তমানের ডিজিটাল দুনিয়ার বক্ষ চিরে। শুধু শিশুরাই নয় এই বর্তমান বিশ্বে মানুষ নিজের উন্নয়ন নিজে অনেকভাবেই ঘটাতে পারে। শুধু প্রয়োজন একটু ইচ্ছা এবং অদম্য চেষ্টা।
আমার প্রথম শখ বা ভালোবাসা নাচ বা নৃত্যকলা। আমি এমনটা অনেকবার শুনেছি আমি নিজে যখন নাচি তার থেকেও নাকি নিজে যখন একটা নাচ শিখাই এক দল পিচ্চুপাচ্চু বা বুড়াধুড়া মানুষগুলোকেই। তখন নাকি সেটাই বেশি ভালো হয়। কারণ আমি নিজেকে দেখতে পাইনা বটে তবে ওদেরকে দেখতে পাই। ঠিক একই ভাবে কিছু যখন লিখি তখন আমার মনের ভাষা মনই জানে কিন্তু হাতে বা কি-বোর্ডে তা আসেনা। কারণ মনটাকে কেউ দেখতে পায়না শুধুই লেখাটুকুই দেখতে পায়।
যাইহোক বর্তমানে ছবি ব্লগের জোয়ারে ভাসছে সামুরাজ্য। চারিদিকে ছবি আর ছবি। তারই সাথে অসাধারণ সব শিরোনাম বা বর্ণনাও আছে তাই সেই ছবিতা ও কবিতা মিলিয়ে হয়ে গেছে আজ সামু ব্লগের খাতা যেন এক ছবি গল্পের খাতা। সেই সব ছবিতা কবিতা ও গল্পগুলো নিয়েই আসলে যে ভালো ভালো ছবি হয় তাই দেখছি আমি। আর তাই তো মাথায় এত প্রশ্ন আসে ভাবছি আমি জবাব তার। আর হ্যাঁ কিছু কিছু লিখেও রাখি তবে।
সুন্দর ছবি মানে কি বা নান্দনিক ছবি কিংবা ফোটো কাকে বলে?
একটা সুন্দর ছবি মানেই যা দেখে আমাদের মন ভালো হয়ে যায়। আমরা মুখে বলি বা মনে মনে বলি, বাহ কি সুন্দর এক ছবি! সেই সুন্দর ছবির সাবজেক্ট হতে পারে এক অপরুপ সুসজ্জিত উদ্যানে সোগৌরবে ফুটে থাকা পুস্পরাণী কিংবা পথের ধারে হেলায় পড়ে থাকা ঘাসের উপরে সকলের অগোচরে উপেক্ষিতা কোনো ফুল। প্রতিটা ছবির আসলে একটা উদ্দেশ্য থাকে। প্রতিটা ছবি বা ফোটোর একটা গল্প থাকে যা একজন দক্ষ ফোটোগ্রাফার অর্থপূর্ণ উপায়ে সেই অনন্য মুহুর্ত বা গল্পটাই ক্যাপচার করে ফেলে। বাব্বাহ সহজ নহে কখনই।
এটি ভালো ছবি বা অর্থপূর্ণ ছবি বা নান্দনিক ছবি কেনো বলে?
একেক জনের কাছে সৌন্দর্য্যের সংজ্ঞা একেক রকম। তবুও সকল সৌন্দর্য্যের কিছু ক্রাইটেরিয়া বা শর্ত আছে। ছবির ক্ষেত্রেও রয়েছে কিছু ক্রাইটেরিয়া বা শর্ত। তবে সব শর্তই সবখানে পূরণ হতে হবে এমন কথা নেই তবে ছবি তোলার সময় ব্যপারগুলো খেয়াল রাখলে নিজের সেই উদ্দেশ্য বা আনন্দ বা বেদনার মূহুর্তটি অন্যের সাথেও ভাগাভাগি করে নেওয়া সহজ হয়ে যাবে।
একটা ছবির প্রথম শর্তটিই হলো ছবিটির সার্বিক রচনা- ছবি তোলার বা শেখার নানারকম গাইড বুক বা ট্রেইনিং আছে। কিন্তু আজকাল যেহেতু সবার হাতে হাতে ফোনেই ক্যামেরা থাকে তাই সে সব ছবি তুলতে তুলতে শখের ফোটোগ্রাফার হবার ইচ্ছা মনে গড়ে ওঠে। তাই নিয়মগুলো জেনে নিলে লাভ ছাড়া ক্ষতি নেই।
আচ্ছা সুন্দর একটা ছবি কিভাবে তুলে মানুষ?
প্রথম শর্ত ফ্রেমিং বা কতটুকু ছবির ফ্রেমে আনবো। বাব্বাহ আজকাল ২ বছরের বাচ্চারাও মনে হয় ছবির ফ্রেম ধরে নিয়ে টপাটপ ক্যামেরা টিপে দেয়। যাই হোক ভালো ছবির ফ্রেমিং কি?
১) ফ্রেমিং- ছবির ফ্রেম এমন হতে হবে মানে ক্যামেরাটা এমনভাবে ধরতে হবে যেনো কোনো ইম্পরট্যান্ট বা মিনিংফুল অংশ কেটে না যায়। ছবির ফ্রেম ঠিক আছে সাবজেক্টও দেখা যাচ্ছে কিন্তু এমনভাবে কেটে গেছে যে দেখতেই ভালো লাগছে না।
আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় জিনিস সুন্দর করে ছেটে ফেলাটাই নান্দনিক হয়ে ওঠে। নইলে দূর এর মাঝে আবার এটা এসে পড়লো। ছবিটাকে নষ্ট করলো এমন কোনো ছবিতে প্রাণ ভরে না। খুঁত খুঁত থেকেই যায়। তাই থাকতে হবে দেখার চোখ আর বুঝতে পারার চোখ।
এই ছবি একজন দক্ষ প্রফেশন্যাল ফটোগ্রাফারের তোলা এবং সঠিকভাবে কেটে ছেটে ফেলা। কাজেই ইহা নান্দনিক তবে আমি ইচ্ছা মত কাঁচি চালালে হয়ে যেতে পারতো বান্দনিক মানে বাজে মানে খারাপ অবস্থা।
এছাড়াও যারা ছবি তুলে তাদের একটা জিনিস মনে রাখতেই হবে। ফোকাল পয়েন্টটা কোথায় হবে। ফটোগ্রাফারকে জানতে হয়
রুলস অব থার্ড। সাবজেক্টটা ফ্রেম এর মাঝখানে থাকবে না। যেমন-
এবার আমি বানাই আমার নিজের ছবিকে কাটাকুটি দাঁগ দিয়ে। তবে প্রকৃতির ছবিতেই এই রুল বেশি মানানসই।
ছবির এই চারটি লাইনস যে চারটি বিন্দুতে ক্রস করেছে সে বিন্দুগলোর উপরই থাকবে বা রাখতে হবে ছবির সাবজেক্ট এর ফোকাল পয়েন্ট। এটা অবশ্য ছবি যে তুলবে তারই জানা দরকার। আমরা যারা দেখি তারা এত কিছু না দেখলেও চলে আর কি। আমরা সাধারণ মানুষ এই সব রুল না জানলেও কোনটা সুন্দর ছবি ঠিকই বুঝে যাই তাইনা? যারা ছবি তুলবে তারা ফ্রেমিং , লেন্স, টাইমিং, রুলস, ব্যাকগ্রাউন্ড, জ্যামিতিক ভাব সাব আরও যা যা আছে শিখুক.......
তবে দর্শক হিসাবে বা দক্ষ ফটোগ্রাফার আমাদেরকে কি কি দক্ষতার সাথে দেখাতে পারে সেটাই দেখি তাহলে-
২) Display Of Emotion বা ছবির আবেগকে ফুটিয়ে তোলা- আমার কাছে এবং একজন সফল ফোটোগ্রাফার বা দর্শকের কাছে ছবির আবেগটা মনে হয় ভীষন গুরুত্বপূর্ণ। একটি ছবি দেখেই আমাদের মন আনন্দে ভরে ওঠে আবার কোনো ছবি দেখে দুঃখে কলিজা ফেটে যায় আবার কোনো ছবিতে ভয়ে শিউরে উঠি আমরা। কাজেই ছবির মাঝে এই ইমোশন আনাটাও ছবি তোলকের এক দক্ষতা বটে।আসলে ছবির এই সঠিক সুন্দর ইমোশন সঠিক মুহুর্তে ধরে ফেলা যায় ক্যানডিড বা তাৎক্ষনিক বা অসেচতনভাবে ছবি তোলার জন্য প্রস্তুত না হয়ে সত্যিকারের অকৃত্রিম ইমোশনটাই যখন সাবজেক্ট দেয় তখনই।
বিয়ে মানেই আনন্দ। দুজনে দুজনার। আহা
কিন্তু এই ছবির ইমোশন বা কষ্টটা ভেবে আমার চোখে পানি চলে এসেছিলো। ঢং না সত্যিই কন্যার বাবা মা আর স্বয়ং কন্যাই জানে এই ছবির কষ্টের ভাষা।
৩) Simple Storytelling বা ছবির গল্প- আমি যখন গল্প বলি বাচ্চারা হা করে শোনে। এমনকি বড়দেরকেও যখন বলি তখনও ভালোই গল্পের জালে আটকিয়ে তাদেরকে মনে মনে হাসি আমি। আর যখন গল্প লিখি আচ্ছা থাক গল্প তো আমরা সেই ছেলেবেলা থেকেই পড়ছি তবে ছবির গল্পও কিন্তু আমরা ছেলেবেলা থেকেই পড়ছি। ছবি ও ছড়া দেখে দেখে কল্পনায় ভাসি আমরা। একইভাবে ছবি তোলক বা ফোটোগ্রাফারও গল্প বলে। মুখে বলে বলেও না কাগজে লিখে লিখেও না তারা ক্যামেরায় গল্পটাকে ধরে ফেলে আর সেই গল্প পড়ে আমরা মুগ্ধ হই। এই ছবির মাঝেও গল্প বলার ব্যাপারটা নাম করা লেখকের মত নাম করা ফোটোগ্রাফাররাও দেখিয়ে থাকেন।
আহা বিয়ের সাজ আর তার গল্প..... শুধুই আনন্দের.... দূরে দাঁড়িয়ে বান্ধবীরা। ওয়েডিং গাউনটা রেডি করে রাখা। আহা সি ইজ জাস্ট ওয়েটিং ফর দ্যা ওয়েডিং পার্টি। তবে বাংলাদেশ হলে কন্যাকে কষ্ট করে সাজতে হত না। বান্ধবীরাই সাজিয়ে দিত।
আর এই গল্প শুধুই কষ্টের....
যাইহোক আমিও বানালাম এই ছবিটার গল্প। হারানো দিনের সিনেমার মত সাদায় কালোয়.....
শিরোনাম- রং হারানো আমার স্মৃতি
তখন প্লেয়ারে বাজছিলো- হারানো দিনের মত হারিয়ে গেছো তুমি।
তাই শুনে ইমোশন -মন খারাপের হয়ে গেলো। আনমাইন্ডফুলও হয়ত একটু।
ফটোগ্রাফার স্যরি ভিডিওম্যান - শামিম।
এডিটিং আমি- ভিডিও থেকে সাদায় কালোয়.....ঝাপসা ঝুপসা হোক তবুও এটা আমার ছবির গল্প।
৪) Elliptical Storytelling - ( মানে চিন্তা করতেই থাকো বা উহ্য রেখেও ছবির ভাবনাটা ভাবানো তবে এটার আসল বাংলা কি আল্লাহই জানেন?) আমি যেটা বুঝি রবিঠাকুরের টার্ম সেটা যেন অনেক কথা যাও গো বলে কোনো কথা না বলি। হ্যাঁ ঠিক যেমন পথের পাঁচালী পড়ে আমার যত ভালো লাগলো। ম্যুভিতে দেখে নয়। ঠিক তেমনই ফটোগ্রাফির এই ব্যপারটা যেন সেই ছবির কল্পনায় দর্শককে ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়া। ছবি দেখে কল্পনার রাজ্যে ভেসে বুঝে নিক দর্শক কোথায় বয়ে চলেছে সেই ছবির গল্পটা।
যেমন এই ছবিগুলি দেখে নিশ্চয়ই এই ছবির মানুষটিকে না চিনেও যে কেউ ভেবে নিতে পারেন ইনি সাজুগুজু বড়ই ভালোবাসেন। সাজিয়ে রাখতেও ভালোবাসেন এমনকি তিনি ফুল এবং গাছও ভালোবাসেন। তিনি কি নায়িকা? নাকি গায়িকা? নাকি তিনি এক রহস্য। যে যা ভাবে ভেবে কল্পনায় চিনে নিক। নো প্রবলেমো।
ইয়েস। এই ছবি দেখে কল্পনা করা যাচ্ছে এই ছবির মালিক হয়ত কস্মিনকালে হলেও গান শিখেছিলো। আবার বাঁশিও বাঁজায় নাকি? গানের বইও আছে আবার। আচ্ছা আচ্ছা থাক বাঁশি শুনে আর কাজ নাই। ছবি কত কিছুই না ভাবাচ্ছে। টাইম আছে?
৫) Iconic Moments বা আইকনিক মুহুর্তগুলি- রোমিও জুলিয়েটের মত বা লাইলী মজনু ইতিহাসের কোনো চরিত্রের থিম ব্যবহার করে বর্তমনের মডেল দিয়েই সুন্দর একটি ছবি তৈরী করে ফেলা যায় যা মানুষের হৃদয়ে দোলা দেয়। এসব ছবিতে পোষাক, পোজ, নাটকীয় আলোর ব্যবহার, সেট বা প্রপস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এ রকম ছবি অবশ্য আমার খুবই প্রিয়। আমি এমনই তুলতে চাই সদা ও সর্বদা।
মডেলের সাজ, প্রপস স্টেজ দিয়ে যোধাবাঈ বা কোনো মুঘল আমলের রাণী যেন। বাহ বাহ বাহ!
৬) Unique Moments বা অনন্য মুহুর্তের ছবি- কিছু অন্যন্য মুহুর্ত বেশি আকর্ষনীয় ও চিত্তাকর্ষক হয়। যেমন ওয়েডিং পিকচারের ক্ষেত্রে একটা উদাহরন দিলে বলা যাবে সকল দেশেই ওয়েডিং পিকচারের অনন্য সব ছবি তোলা হয় তবুও যখন বাংলাদেশী, গুজরাটী বা ইন্ডিয়ান কোনো কালারফুল কালচারাল অনুষ্ঠানের ছবি তোলা হয় তার আকর্ষনীয়তা সাধারণ অন্যান্য দেশীয় ও কালচারাল ছবির থেকেও অনেক বেশি হয়ে ওঠে।
এমন ইউনিক মোমেন্টগুলি বুঝি বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া,গুজরাটের কালারফুল বিয়েগুলোতেই সম্ভব!
৭) Juxtaposed, Contrasting Concepts বা বিপরীতমুখী বৈসাদৃশ্য ক্রিয়েট করেও আর্কর্ষনীয় ছবি হতে পারে। যেমন গোবরে পদ্মফুল। ধনী ও দরিদ্র দুই পরিবারের দুটি ছেলে মেয়ের ভালোবাসা বা যে কোনো সংযোগ বা সম্পর্কের ছবি থিম হতে পারে এমন বৈসাদৃশ্যমূলক অবজেক্ট ব্যবহার করে।
ইহা একটি কঠিন ছবি। বৈসাদৃশ্য বুঝতে মাথা খাটাতে হবে।
৮)Unique Lighting and Color বা স্বতন্ত্র আলো এবং রঙ- এ তো মনে হয় সবাই বুঝে যায় রং আর আলোর খেলায় ছবি কেমন অনন্য হয়ে ওঠে। প্রকৃতিতে সূর্য্যদয় ও সূর্যাস্তে আকাশে সে রঙের খেলা তাই নিয়ে যেমন কোটি কোটি ছবি রয়েছে। তেমনই কৃত্রিম আলো, ফ্লাস এসব নানা রং এর আলো ব্যবহার করেও ছবির নান্দনিকতা ফুটিয়ে তুলতে দক্ষ ফটোগ্রাফারদের জুড়ি নেই।
৯)Attention To Detail বা মনোযগের কেন্দ্রবিন্দুতে পৌছে যাওয়া ছবিগুলি- নানা রকম বিজ্ঞাপন দেখি আমরা। এমন কিছু ছবি আছে যা হয়তবা প্রথম নজরে আনউইজুয়াল বা অস্বাভাবিক লাগলেও গুরুত্ব পায় তার অসাধারণ উপস্থাপনা দিয়ে। যেমন এই ওয়েডিং স্যুজ দুটি সুদৃশ্য কাঁচের টেবিলের উপরে রেখে ছবি তোলা হয়েছে। মাইক্রোলেন্স দিয়েও ছোট্ট পোঁকার ছবি তুলে তার অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলি বিশদভাবে ফুটিয়ে তোলাও ফটোগ্রাফারের এক বিশাল কৃতিত্বের মাঝেই পড়ে।
যেমন এক জোড়া ওয়েডিং স্যুজ সুদৃশ্য গ্লাস টপ টেবিলের উপরে।
১০) Unique Perspective বা অনন্য দৃষ্টিকোণ - একই লেভেলে ছবি আমরা সব সময় দেখছি আমাদের চারপাশেই কিন্তু বিভিন্ন এঙ্গেল বা বিভিন্ন দিক উপর থেকে এক রকম নীচ থেকে আরেক রকম দূর থেকে বা কাছে থেকে আরেক রকম ভাবে ছবি তুলেও ইন্টারেস্টিং অনন্য অসাধারণ সব ছবি তোলা যায়। যা ছবি তোলার দক্ষতার কারনেই বিশেষ বৈশিষ্ঠমন্ডিত হয়ে উঠতে পারে। আবার উপর থেকে ড্রোন ছবিও অনেক অনেক নান্দনিক হতে পারে।
এই ছবি সুউচ্চ সিড়ি থেকেই তোলা হয়েছে নির্ঘাৎ।
এছাড়াও আছে ছবির শিরোনাম, ব্যাকগ্রাউন্ড, আলো ছায়ার খেলা, রঙের সৃজনশীলতা, আইডিয়াস, ছবির ভেতরে শিল্প, গণিত বা জ্যামিতিক বিভাজন কত কত কিছুই।
বাব্বাহ এবার থামি। আর যারা এ কদিন ছবি দেখলেন, ছবি পোস্ট দিলেন তারাও আবার দেখি সুন্দর সব ছবিগুলির কারিকুরি আর অপার সৌন্দর্য্য। এবারের ছবি ব্লগ প্রতিযোগীতার মত সতঃস্ফূত অংশগ্রহন বহুদিন দেখিনি। অনেক অনেক ভালোবাসা আর ভালো লাগা তাই। তবে অংশগ্রহণই বড় কথা। সবাই আনন্দের সাথে অংশগ্রহণ করলো আর যারা করলো না তারাও দেখলো এটা কি অনেক কিছু নহে?
সবার জন্য ভালোবাসা। নেক্সট টাইম যারা যারা ছবি তুলবে তারা কি করবে জানিনা তবে যারা যারা ছবি দেখতে চাও এখন থেকে মন দিয়ে খুঁটিয়ে তারা আমার লেখাটা মন দিয়ে পড়তে পারো। যদিও ছবি তোলা এবং ছবি দেখে আনন্দে মন ভাসাতে আসলেই কোনো রুলস লাগে না....... মনের আনন্দে যাহা করিবো তাহাই সত্য...... আর বাকী সকলই মিথ্যা......
সবার জন্য শুভকামনা আর ভালোবাসা.......
কৃতজ্ঞতা- বার্জার পেইন্ট ফটোগ্রাফি, ওয়েডিং ফটোগ্রাফি অব বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ ফটোগ্রাফি।
https://www.slrlounge.com/techniques-10-characteristic-of-great-photos/
https://www.ace-cam.ca/blogs/acecam-blog/the-characteristics-of-a-good-photo
story telling photography
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৭