মেয়েটা ছিলো তার ছেড়া
মেজাজ ছিলো ধার কড়া,
ভাঙতো বাসন ছুড়তো হাড়ি
চেঁচিয়ে মাথায় তুলতো বাড়ি।
ছিড়তো কাঁপড় দাঁত দিয়ে
লঙ্কা খেত ভাত দিয়ে।
কিড়মিড়িয়ে কেন জানি
গরম মাথায় ঢালতো পানি।
ছেলেটা ছিলো পাগলাটে
ভালোয় ভালোয় দিন কাটে
কিন্তু হঠাৎ রাগলে পরে
চেঁচিয়ে তার রাত কাটে।
ভোর সকালে ছাদের পরে
ধুপধুপিয়ে খুব হাঁটে।
দালান কাঁপে থরথরে
এই বুঝি তার ছাঁদ ফাটে।
এক সকালের কুক্ষনে
দেখা হলো দুইজনে
দখল নিয়ে ছাদের কোনের
দুই পাগলে গণগণে।
পাগলা বলে তারছেড়া
ভাগ এখুনি এই বেলা
এ ছাঁদ আমার আমি রাজা
থাকলে হেথায় বুঝবি মজা।
তারছেড়া কয় পাগলারে
শখ দেখে তোর বাঁচিইনারে
এ ছাদ আমার আমিই রাণী
চোখে কি তোর পড়ছে ছানি?
এ কিল তোলে, ও ছোড়ে ঢিল
দৌড়ে পালায় কাক বক চিল
শেষে তাদের হলো রফা
একই দাবি একই দফা।
মেয়ে রাণী ছেলে রাজা।
বাজা ঢোলক বাদ্য বাজা।
পালিয়ে গেলো হাত ধরে
এক সকালে খুব ভোরে ।
থানা পুলিশ সব শেষে
ফিরলো তারা অবশেষে
বাঁধলো সুখের ছোট্ট ঘর
তারছেঁড়া বউ, পাগলা বর।
দুদিন যেতেই ফুরফুরে
ঘুম ছুটে যায় রাত দুপুরে
পড়শীরা সব থরথরো
ভয়েই আধা মরমরো।
ছুড়ছে চামচ, ছুড়ছে হাতা
কে বুঝি কার ভাঙ্গলো মাথা।
খামচি এ দেয়, ও টানে চুল
আহ একি ভুল, উহ একি ভুল!
ভুল করেছি ভুল করে
তারছেড়াকে বউ করে
এহ কি সাধু পাগলারে
ইঁদুর বিড়াল ছাগলারে।
বানর, হাতী, কুকুরছানা
একচোখো ভুত মামদোকানা।
তুই পেত্নী লক্ষীছাড়ি
পিটিয়ে তোরে ছাড়াবো বাড়ি।
হার না মানা পরাজয়ে
কেউ ডরেনা কারো ভয়ে
তুবড়ি তোলে গাল ছোটে
ভোরের আলো উঠলো ফুটে।
এবার তারা শ্রান্তিতে
ভীষন রকম ক্লান্তিতে
ঝগড়া তুলে ক্ষান্তিতে
ঘুমিয়ে গেলো শান্তিতে।
(ছড়িতাটা আমার ইপ্সিমনি আর তার ইঁদুর, বিড়াল, হাম্বা গোম্বার জন্য )
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৩