শিরোনাম দেখে ডাক্তাররা চটে যেতে পারেন। তবে ভিতরে পড়ার পর হয়তো তাদের মাথা কিছুটা হলেও ঠাণ্ডা হবে। আজ আমি কয়েকজন ডাক্তারের সাথে পরিচয় করিয়ে দিব। যাদের সুনাম সুখ্যাতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জুড়ে ব্যাপক। এদের সম্পর্কে না জানলে আপনি বুঝবেনই না ডাক্তাররা শুধু লিঙ্গ নিয়েই পড়াশোনা করে।
১। ডাক্তারদের অধিকাংশই হয় মেয়ে ডাক্তার। ছেলেরা পড়াশোনা বাদ দিয়ে পার্কের চিপাচাপায় আড্ডা দেয়। ফলে বিশাল অংশ ফেল করে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন বুড়িগঙ্গা তীরে ভাসিয়ে দেয়। আপনি যদি আপনার বিশেষ অঙ্গ বড় করতে চান তবে ডাক্তার ফারজানা আক্তারের কাছে যান। তিনি হাতুড়ি দিয়ে বড় করে দিবেন।
২। মেয়েদের সম্পর্কে জানার আগ্রহ যার নাই তিনি মুড়ি খেতে পারেন। ডাক্তার ফারহানা কবির একজন মেয়ে হয়ে জানাচ্ছেন মেয়েদের মাসিক কেন হয়? যেহেতু সে মেয়ে সুতরাং মেয়ের সম্পর্কে সঠিক পরামর্শ দিতে পারবে।
৩। যেহেতু আপনি ওষুধ খাইতে চান না। টাকা খরচ হবে। আবার অপারেশনের ভয়ে হার্ট অ্যাটাক করতে পারেন। কিন্তু পুরুষাঙ্গতো বড় করতেই হবে। সুতরাং ডাক্তার শারমিন সুলতানার কাছে যান। তিনি আপনার পুরুষাঙ্গের আকৃতি বড় করার দায়িত্ব নিয়েছেন।
৪। শুধু লিঙ্গের আকৃতি বড় করলেই আপনি যে আসল পুরুষ হবেন তা কিন্তু নয়। আপনার গোপন ক্ষমতাওতো থাকতে হবে। কিন্তু গোপন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সঠিক জায়গা না পেয়ে কবিরাজী পানি পড়া, তাবিজ-কবজ দিয়েতো উপকার পাননি। চলে যান আবারো ডাক্তার ফারজানা আক্তারের কাছে।
৫। ডাক্তার তানিয়া সুলতানা কয়েকদিন আগে মেডিকেল সায়েন্সের একটা ভ্রান্ত ধারণা দিয়ে সুপার ফ্লপ খেয়েছিলেন। আসল ডাক্তাররা চটেছিলেন। তবে তার পেনিস ছোট। ছোট পেনিসের ডাক্তার নিয়ে আর কোনো কথা নাই।
৬। আপনারা এতক্ষণে আমার উপর বিরক্ত হয়েছেন। ভদ্রতা দেখাতে হয়তো মনে মনে গালি দিয়েছেন। ভাবছেন এই বিখাউজ ব্লগিং করে কেন? ডাক্তার মুক্তি চৌধুরী ওরফে বিখাউজ আপাও আমাকে মুক্তি দিয়েছে।
এদের নাম ও ছবিসহ দিলাম। কারণ বিলিভ ইট অর নট এরা একটাও ডাক্তার নয়। তবুও আসল ডাক্তারের চেয়ে আমজনতা এদের পরামর্শই বেশি নিচ্ছে! এদের বিরুদ্ধে কি প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না?
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৩৮