কোনদিন কোন দিবস এটাও কি মুখস্ত রাখা জরুরি? মোবাইলে ২-৩ মেগাবাইটের একটা সফটওয়্যার ইনস্টল দিলেইতো জানা যায়। আবার এমনকিছু সফটওয়্যার আছে যেগুলো ঐদিনের ডিটেইলসও জানিয়ে দেয়। আজ যদি দেশে বেকার না থাকত। আমি সিওর এগুলা পড়তে হত না।
আর পড়তেই যখন হবে তখন একটু ভাল কিছু পড়ালে কি হয়? সেটাও একটা প্রব্লেম। কারণ, ব্যাংক জবের সার্কুলার হলে বিবিএ, এমবিএ এর গুলা যেমন লম্ফ-ঝম্প করে আমিও তেমনি করি (যদিও ব্যাংকরে কিছুই আমি জানিনা)। যদি প্রশ্ন ব্যাংক রিলেটেড হত। ডেবিট, ক্রেডিট, জাবেদা (আমার বন্ধুরা ফান করে জবেদা বলত) ইত্যাদির উপর প্রশ্ন হত তবে কি হত? এই বিষয়ের অভিজ্ঞরাই সুযোগ পেত। বাকি সাইন্স, আর্স কই যেত? অর্থাৎ যে, যে বিষয়ে অভিজ্ঞ সে সেই বিষয়ে সুযোগ পেত।
তাই দরকার একই রকম প্রশ্ন। সেটা কেমন? হানিফ ফ্লাইওভারের দৈর্ঘ্য কত? এটা শিখতে সাইন্স আর্স কমার্স লাগে না। এটা কোন কাজেও লাগে না। আমার ২ ক্লাসে অধ্যয়নরত ভাতিজাও পারবে। আচ্ছা, ওকেও ব্যাংক জব দেয়া যাবে না? আর কিছু না হোক ব্যাংক হ্যাক/চুরিতো ঠেকাতে বাঁধা দিবে না। কারণ সে হ্যাকিংয়ের কি বুঝবে? অবুঝ বাচ্চাগুলারে অবুঝই রাখা হোক। এতে সুবিধা আছে। পাকিস্তানিরা যেকারণে আমাদের বুদ্ধিজীবীদের শহীদ করেছে। এদেশের পড়ালেখার বিষয়গুলোও ঠিক একই উদ্দেশ্যে আমাদের শিশুদের বুদ্ধিজীবী হতে বাঁধা দিচ্ছে।
স্বপ্ন দেখি একদিন পরিবর্তন আসবে। কখন আসবে ঠিক নাই। আদৌ আসবে কিনা কে জানে? তাইতো যুবক পড়তেছে অসমাপ্ত আত্মজীবনী কার লেখা? তার এ পড়া শুধু মলাটের উপরই সীমাবদ্ধ রাখতে হচ্ছে। ভিতরে কি আছে জানা যাবে না। গেলে মেধাবী হতে পারবে না। বিসিএস এ টিকলেই তাকে মেধাবী বলা হবে। ভিতরে কি আছে তা জানা জরুরি না! সময় নষ্ট হবে। আর সময় নষ্ট করে পুরো বই পড়লে বিসিএস হবে না।
বইটা যে কি মেসেজ দিল যুবক তা জানতেও পারল না। যুবককে আরো অনেক কিছু জানতে হবে। এই যেমন, থাইল্যান্ডের আয়তন কত, সাহারা মরুভূমি, সেন বংশ, পাল বংশ, ওমুক সেতুর পিলার কয়টা!! ইত্যাদি হাজার হাজার প্রশ্ন। এসব দিয়েই মেধার মান যাচাই! আফসোস!
বিসিএস হলেই তো সবাই চোখ কপালে তুলে বলবে হায় কত্ত মেধাবী! তাই আর যুবক বেশি ভিতরেও গেল না। ভিতরে পড়ে সময় নষ্ট করলে কমপিটিশনে টিঁকে থাকতে পারবে না।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৪০