সীমাহীন স্বপ্নগুলো জন্ম হয় অবচেতন মন থেকে। মাঝে মাঝে অবচেতন মন আমাদের শাসন করে; নিয়ে যায় এমন এক পৃথিবীতে যেখানে আপন সত্ত্বা বলে কিছুই থাকে না। শুধুই কল্পনার পৃথিবী, যা ভাবি তাই যেন হয়।
আহ্ এমন যদি পৃথিবী হত! কি মজাই না লাগত।
মাঝে মাঝে এমন প্রশ্ন আমায় বিদ্ধ করে। আসলেই কি এমন হয়? এটা কি সম্ভব? এত্ত প্রশ্নের ভিতে আমি ক্লান্ত হয়ে যাই। মাথার ভিতরে গন্ডগোল শুরু হয়। সিগারেট ধরাই। ধোয়া ছাড়ি প্রশান্তির আশায়। হাটতে থাকি ব্যস্ত রাস্তায়। গুন গুন করি রবী'দার গান; তারপরেও ভাল লাগে না। একটি প্রশ্নই আমাকে তাড়া করে। হাটতে থাকি। চা খেতে মুনচায় (মন চায়)।
রিং রোড এবং একটি মেয়ে সাথে চা চলছে বিক্রি তার সামনে গিয়ে দাড়াতেই আমি বলার আগে সে আমাকে বলে "ভাইডি চা খাইবেন?" আবার একটি প্রশ্ন; বিব্রত হয়ে যাই। আগে থেকেই একটি প্রশ্ন তাড়া করছে তার উপর আরেকটি। উত্তর না দিয়ে তাকে ভালভাবে লক্ষ্য করি। ক্যামন সে?
আরেকটি প্রশ্ন; আরো চাপ। আমি স্নায়ুতে চাপ অনুভব করি। চিৎকার করতে ইচ্ছে করে এত প্রশ্ন কেন? উত্তর খুজে পাইনা কেন?
প্রশ্ন? প্রশ্ন? প্রশ্ন?
প্রশ্ন আমাদের শাসন করছে সহস্র বছর। মুক্তি পাবার প্রতিবার করার সময় কেউ পায়নি বলে আমরা সময়ে ভাঙা কারাগারে বন্দি হয়ে গ্যাছি। শোষিত হচ্ছি প্রশ্নের কাছে।
হাটতে হাটতে ফার্মগেট এসে আমার ক্লান্তি বোধ হয়। ক্লান্তিতে আমার অসীম শূণ্যতা বোধ হয় না। পকেটে হাত দেই সিগারেটের জন্য।
যাহ শালার এই ব্যাটাও আমার লগে শত্রুতা শুরু করছে সময় অসময় বোঝে না। শ্যাষ হয়ে যায়।
- ভাই একটা বেনসন দ্যান তোহ্। ৬ টাকার সিগারেটে ঠোট ছোয়াতেই আমার শারমিনের কথা মনে হল। যার ঠোটের ছোয়ায় আমার শীশ্না জাগ্রত হয়েছিল শতাব্দী পর। উহ্ সেই কি উত্তেজনা। মাথার ভেতর বিদ্যুৎ শক খেল। আদিম পিতার মত জ্বলে উঠলাম। মনে হয়নি একবারও আমি সুস্থবোধের চেতনায় উদ্ভাসিত হবার স্বপ্নে প্রেতাত্মা দের আহ্বান শুনতে পেরেছি।
আয়নায় নিজের মুখ দেখার চেষ্টা করি। অপরিচিত মনে হয় নিজেকে, রেড বাটন-এর কুত্তার বাচ্চা হাফিজ আমাকে দেখেই ফন্দি আটে। এই শালা এক পলিসি ম্যাকার শুধু টু-পাস মারার ধান্দা। ভদকা এক প্যাগ পচাত্তর টাকা শালায় ন্যায় য়্যাক-শ টাকা। ব্যাটা আমি রেগুলার কাস্টমার-তার উপর গরীব মানুষ আমার কটিদেশ তুমি এভাবে মারবা। সময় পেলে আমি......।
মামা চার প্যাগ দাও। সাথে বাদাম মাখা ও বরফ কুইক।
ভদকার শেষ নির্যাসটুকু গ্লাস থেকে চুষতে থাকি শারমিনের ইয়ের মত করে। শালা যদি বাজা মেয়ের .... বের করে খেতে পারতাম জীবনটাই ধন্য হইয়া যাইত।
জীবনের কোন কিছুই দু:সাধ্য মনে হয়নি আমার আজকের কয়েকটি প্রশ্ন আমাকে বার বার ভাবিয়ে তুলেছে। ক্রমাগত নিমজ্জিত করছে অস্থিরতার মধ্য। কিংকর্তব্যবিমূঢ় জীবন নিয়ে ভাবতি পারছি না। সময় আমাকে প্রবল করাঘাত করছে। অন্যায় শাষণ দেখে ক্ষুদ্ধ হই কিন্তু প্রতিবাদ করতে পারি না।
মধ্যরাতে উইপোকার কামড়ে বিশ্বাসের মরন হয়; হাতের তালুতে রাখা মধুকে মধু মনে হয় না। হেমলকের মত তীব্র গন্ধ নাকে লাগে পুনজন্মের ইতিবৃত্ত অসমাপ্ত ইতিহাস অজানা অন্ধকারে হাতে বেড়াই শিব রাত্রিরে নায়িকার উলঙ্গ নৃত্য দেখে নিজেকে কাপুরুষ মনে হয়। সৃষ্টিশীলতার বিন্যাস এবং সৃজনশীল চিন্তা নির্মানের যাত্রার অভিযাত্রী হওয়ার লক্ষ্যেই আমরা পথ চলি। এই পথ চলতে চলতেই এক সময় আমার সঠিক গন্তব্যের সৃষ্টি হয়। সৃষ্টি এবং অনাসৃষ্টি মুলত: নিরন্তর পথ চলাই আমার শেষ কথা এই পথ চলত আমার নিজস্ব মতামতকে মূল্যায়ন করে।
(অসমাপ্ত)