টিকিট বিক্রির দায়িত্ব কারা পাবে, সেটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে সূত্র জানিয়েছে, বিশ্বকাপের টিকিট বাজারে ছাড়ার সম্ভাব্য তারিখ আগামী ১১ নভেম্বর। কাল স্থানীয় আয়োজক কমিটির টুর্নামেন্ট ডিরেক্টর আলী আহসানও দিয়েছেন সে রকম আভাস, ‘কবে থেকে টিকিট ছাড়া হবে সেটা এখনো ঠিক হয়নি। তবে নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে সেটা শুরু হতে পারে।
আগামী ১১ নভেম্বর থেকে ২০১১ বিশ্বকাপের দূরত্ব থাকবে ঠিক ১০০ দিন। স্থানীয় আয়োজক কমিটি সেদিন থেকেই সারা দেশে একযোগে বিশ্বকাপের টিকিট বিক্রি শুরু করতে চায়। রাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায়ের কোনো ব্যক্তিত্বের টিকিট কেনার মধ্য দিয়ে হতে পারে এর উদ্বোধন। টিকিট বিক্রির দায়িত্ব কারা পাবে, সেটা এখনো চূড়ান্ত না হলেও জানা গেছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান কায়াজুঙ্গার সম্ভাবনাই বেশি। ব্যাংক বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কিংবা নিজেরা বুথ খুলে দেশের ৬৪টি জেলায় টিকিট বিক্রি করবে তারা, এমনটাই জানিয়েছে সূত্র।
বিশ্বকাপের টিকিটের দাম সাধারণ দর্শকদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যেই থাকবে। সাধারণ গ্যালারি পূর্ব ২০০ টাকা, সাধারণ গ্যালারি উত্তর ৪০০ টাকা, ক্লাব হাউস (উত্তর-দক্ষিণ) ৭০০ টাকা, আন্তর্জাতিক গ্যালারি ২ হাজার টাকা, আন্তর্জাতিক গ্যালারি (হসপিটালিটি) ১০ হাজার টাকা ও গ্র্যান্ডস্ট্যান্ড ৩ হাজার টাকা। এর বাইরে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হসপিটালিটি বক্সও আছে। তবে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ৩৭টি হসপিটালিটি বক্সের মধ্যে আইসিসিকে দেওয়ার পর বাকি থাকবে আর মাত্র ১১টি বক্স। ১১টি বক্সে আসন থাকবে এক শর কিছু বেশি। আসনপ্রতি টিকিটের দাম ৩০০ ডলার। হসপিটালিটি বক্সের টিকিটের জন্য বিসিবির কাছে আলাদাভাবে আবেদন করতে হবে।
২০১১ বিশ্বকাপের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টিকিট এর আগে অনলাইনেও বিক্রি হয়েছে।
সুত্র : প্রথম-আলো
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৭:২৬