ও ভাবী শুনছেন নাকি, মেয়েরা নাকি মার্সাল আর্ট শিখবো,
মেয়েরা ঘরের গিন্নীর মত রান্নাবান্না করবে, ঘর ঝাড়ু দিবে, লজ্জাবতী পাতার মত লাজুক হবে। জানুয়ারী টু জানুয়ারী আব্বা ডাক শুনাবে। এরা আবার এইগুলো শিখবো ক্যান...
জ্বী জনাব আপনার নারীত্বের লজিক ওভারলোড
এইগুলো ওড়নাটানা কমার্সিয়াল ফ্লিমে বলা হয়, কারন বাস্তবে কেউ বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করলে নায়ক জসিমের মত কেউ এসে "ইয়ায়ায়ালি ডিসুম্মা ডিসুম্মা" করে না।
এই জন্যেই নারীকেই হতে হচ্ছে প্রোটেক্টিভ, সামান্য কিছু কৌশলে কোন নারী ব্রুসলি কিংবা জ্যাকিসন হয় না। স্রেফ তাদের ভীতিটা কাটিয়ে সাহসটা বাড়িয়ে দেওয়াই মূল উদ্দ্যেশ্য।
যেমনঃ
অতিরিক্ত টাইট আর অতিরিক্ত ডিলা কাপড় দুইটাই মেয়েদের জন্য আনপ্রোটেক্টিভ। অবশ্যয় এমন কাপড় পরুন যেটা পরলে আপনি হাত পা নেড়ে সতেজ ফিল করেন।
কলেজ, ভার্সিটি কিংবা কাজে যাওয়ার আগে সেফটিপিন,চুলের কাঁটা,চাবিভর্তি রিং হাতে নিয়ে হাটার অব্যাস করুন। কেউ যৌন নিপীড়ণ করতে আসলে সাথে সাথে আক্রমণ করুন, আত্বরক্ষার সম্পূর্ন ভাবে আইনি অধিকার সরকার আপনাকে দিয়েছে। (দন্ডবিধি ৯৬-১০৬)
সিংগেল কিংবা ২-৪ মিলে আপনার গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করছে, আপনি ভূলেও নিজের ভীতিটা আসতে দিবেন না, আপনার ভীতিই ধর্ষকের অনুপ্রেরণা। তাই লজ্জাস্থান,পেটের বাম পাশ, বুকের বাম পাশ, কণ্ঠনালী, চোঁখ এইগুলো মার্ক করে নিবেন যেন ধর্ষক বুঝতেই না পারে। তারপর জোরে পা দিয়ে লজ্জাস্থান কিংবা হাত দিয়ে চোঁখে গুঁতা মারেন। এতে যদি ধর্ষক গুরুতর আহত হয় আপনার কোন শাস্তি হবে না। ভূলেও মরে যাবে মনে হয় এমন মায়া ভিতরে আসতে দিবেন না। ধর্ষক আর নেড়ি কুত্তা এক লাতিতে মরে না।
প্রেমে ব্রেকাপ হওয়ার পর আপনার কিছু ছবি অথবা ইমোশনাল পর্যায়ে কাটানো কিছু স্মৃতি নিয়ে নিয়োমিত বয়ফ্রেন্ড আপনাকে ব্ল্যাকমিল করছে। ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখাচ্ছে, বাসার গলিতে ফিডার খাওয়া বড়লোক বাপের সন্তানদের নোংরা কথার সম্মুখিন হচ্ছেন, কিংবা রাস্তায় ইভটিজিং এর শিখার হচ্ছেন তাহলে প্রথমে ফ্যামিলির সাথে শেয়ার করুন তারপর ঘনিষ্ঠ বন্ধু সহ থানায় জিডি করুন। সেটা না পারলে ডায়াল করুন -10921 নাম্বারে, শুধু আপনি জায়গার নাম, গলির নাম আর কিছু তথ্য দিন ওরা গোপনে সর্বোচ্চ সব ব্যবস্থা নিবে। ভূলেও চুপ করে সহ্য করলে দিন দিন ভয়াবহ রুপ নিবে ধর্ষক।
গরীব ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েরা থানা পুলিশ বলতে মুনকার-নকিরের সাওয়াল জবাব মনে করে, পুলিশ কিংবা থানা কর্মকর্তা আপনার নিরাপত্তার মাধ্যম, এরা আজ্রাইল নয়। ইভটিজিং ও যৌন নিপীড়ন কেইস সমুহ আইনীভাবে অনেক গোপনীয়তা বজায় রাখে, এতে আপনার ইজ্জত কিংবা দূর্নাম ছড়াবে এটা ভেবে বসে থাকলে পতিতা আর আপনার মধ্যে কোন পার্থক্য রইলো না। তাই ইজ্জতের দিকে থাকিয়ে আপনার আইনের ব্যবস্থা নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ মনে করি।
ধর্ষনের সব চাইতে বড় প্রমান হল ধর্ষিতা বেঁচে থাকা। ধর্ষনের সাথে সাথে মেয়েরা সুসাইড কিংবা গোসলখানায় ড্রামের পর ড্রাম পানি ডালে। এটা ধর্ষকের জন্য সবচাইতে বড় অর্জন আপনি দুই ভাবে দিয়ে যাচ্ছেন। প্রথমবার দিলেন নিজের সুন্দর দেহ দিয়ে আর দ্বিতীয়বার দিলেন আপনার জীবন দিয়ে। এইসবে পা দিবেন না ভূলেও, সাথে সাথে ফ্যামিলি গার্ডিয়ানরা থানার রিপুট নিয়ে ম্যাডিকেল চেকাপ করা নিবেন, পরনের কাপড়,হিজাব,ওড়না,চুড়ি কোনোটাই ধোবেন না।
ফ্যামিলি গার্ডিয়ানরা ভূলেও ধর্ষিতার ভিতরে ভীতিটা আসতে দিবেন না, ধর্ষিতা হিসাবে আপনার বিন্দুমাত্র দোষ ছিল না, আপনি ছিলেন একজন ভিকটিম এটাই আপনার সতীত্ব আর ইজ্জত।
"এই যুগে একটু আওয়াজ করে পড়লে কিংবা নারীর ভিতরে সাহসের মানসিকতা জম্ম নিলে নিজের জম্মদাতা মা বাবা পাশের রুম থেকে বলে উঠে "মেয়ে মাইনষের গলার আওয়াজ এত বড় ক্যান"
জ্বি জনাব আপনার শাসন ওভারলোড..
একটু বাইরে এসে পত্রিকা হাতে নিয়ে ধর্ষনের মহোৎসব দেখে যান। যেখানে আপনার মেয়ের মত কেউ একজন চিৎকার করতে না পেরে ধর্ষনের সাথে প্রানটাও দিয়ে দিয়েছে। এইভাবে গলাটিপে ধর্ষকের আহার বানাবেন আর কয়দিন জনাব।