চাঁদে বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর খানকির পোলায়ে নায়েব, বিশিষ্ঠ ইসলামী চিন্তাবীদ, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের নির্মম বলি, ইসলামের বাগানে ফুটন্ত গোলাপ, জামায়াত নেতা, আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর চেহারা দেখা গেছে বলে গুজব ছড়িয়েছে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায়। গতকাল শনিবার রাত ১২টার পর সাতকানিয়া সদরসহ আশপাশের এলাকার বেশির ভাগ মসজিদ থেকে সাঈদীকে চাঁদে দেখা গেছে বলে একযোগে মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর শত শত মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন।
লিঙ্কঃ
Click This Link
এছাড়া আমেরিকার মহাকাশ গবেসোনা সংস্থা নাসার গোপন দলিল ফাঁস হয়ে গেছে। দলিলসূত্রে জানা গেছে ১৯৬৯ সালের ২০শে জুলাই মগবাজার থেকে নাসা কোম্পানির বাসে করে চাঁদে গিয়ে নিল আর্মস্ট্রং সেখানে কিছু শব্দ শুনতে পান এবং তা রেকর্ড করে আনেন। পরে পৃথিবীতে এসে গবেষনা করে তিনি জানতে পারেন ঐ শব্দ ছিল দেলোয়ার হোসেন সাইদির ওয়াজ মাহফিলের। জানার সাথে সাথে আর্মস্ট্রং জামায়াতে ইসলামিতে রোকন হিসেবে যোগ দেন এবং তার সহযাত্রী মাইকেল কলিন্স শিবিরের সাথী হন। বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীরা দলে দলে জামায়াতে যোগ দেবে -- এই ভয়ে এই খবরটি আমেরিকার কাফেরেরা এত দিন প্রকাশিত হতে না দিলেও বাংলার জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ মাহমুদুর রহমানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় তা ফাঁস হয়ে যায়। আর্মস্ট্রংয়ের প্রাপ্ত রেকর্ড কারওয়ানবাজারের বিএসইসি ভবনে 'আমার দেশ' কার্যালয়ে সঙরক্ষিত আছে।
উল্লেখ্য, আর্মস্ট্রং চাঁদে ময়না ও টিয়াপাখির কিছু জীবাশ্ম, লৈটিয়া ফিশিয়া নামক একপ্রকার মহাজাগতিক মাছের দেহাবশেষ, একটি পানক্ষেতের অবশেষ, কিছু অলৌকিক টেবিলের পায়া এবং একটি বহুলব্যবহৃত অতিলৌকিক মেশিনেরও সন্ধান পেয়েছিলেন। আগামীকালের 'আমার দেশ'-এ এসব আলামত প্রকাশ করে বেদাতি ও বেদাঁতিদেরকে দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মাহমুদুর রহমান।
ব্রেকিং নিউজ
গতকাল চিড়িয়াখানায় বেড়াতে আসা ঝিনাইদহ শহরের জিল্লুর রহমান, কালীগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর গ্রামের শিক হাফিজুর রহমান, স্কুল ছাত্রী কিমু, জিম, কোটচাঁদপুর উপজেলার শিক আব্দুল কাইয়ূম, শরিফুল ইসলাম আল্লাহর কসম কেটে দাবি করেন তারা বেবুনের পুটুতে সাঈদী সাহেবের মুখমণ্ডল ফুটে উঠতে দেখেছেন।
এ বেপারে কথা হয় কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ইমাম মাওলানা রুহুল আমিনের সাথে। তিনি জানান, শরিয়তের দৃষ্টিতে এর কোন ভিত্তি নাই। বেবুনের পুটুর প্রতি সাঈদীর অকৃত্রিম ভালোবাসার কারণে বেবুনের পুটুতে সাঈদীর মুখমণ্ডল ফুটে উঠেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর ভাঁড়প্রাপ্ত খানকির পোলায়ে আমীর মকবুল আহমদ বলেছেন, বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখার নায়েবে আমীরগন জিহাদের ডাক দিয়ে বাড়ি চলে যান। এভাবে আর চলবে না। জিহাদের খাটনি তাদেরও খাটতে হবে। বিশেষ করে ভাঁড়প্রাপ্ত নায়েবে আমীর মির্জা ফখরুলকে রাজপথে থাকতে হবে।
শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ভাঁড়প্রাপ্ত খানকির পোলায়ে আমীর মকবুল এ কথা বলেন।
মকবুল বলেন, বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামী সংগঠনের সর্বস্তরে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। যেহেতু বিএনপি শাখার টেকাটুকা এখন বৃহত্তর জামায়াতের বাইতুল মাল হতে সরবরাহ করা হয়, এই টেকা হালাল করতে হবে। টেকাও দিবে জামায়াত, আবার পুটুতে পুলিশের লাঠিও খাবে জামায়াত, তা হবে না।
ক্ষুব্ধ কণ্ঠে মকবুল বলেন, ইতিপুর্বে বৃহত্তর জামায়াতের হরতালে বিএনপি শাখার নায়েবে আমীরগন কেহই ময়দানে উপস্থিত ছিলেন না। তাহারা সকলেই হরতাল ডাক দিয়ে বাড়িতে চলে যান। দুপুরে চিকন চালের ভাত, মুগ ডাল দিয়ে খাসির মাথা, চিতল মাছের পেটি সহযোগে খানা সারেন। সন্ধাবেলা টেলিভিশনের সামনে গিয়ে বলেন, জনগন হরতাল সফল করেছে। আর সারাটা দিন পুলিশের সংগে মারামারি, ভাংচুর, জ্বালাও পোড়াও করতে হয় জামাত শিবিরের মুজাহিদগনকে। এরকম নাইনসাফি চলতে পারে না।
আবেগঘন কণ্ঠে মকবুল বলেন, আমরা দুইদিন হরতাল ডেকেছি। এই হরতালে ফখরুলকে ময়দানে থাকতে হবে। কেরাসিন দিয়ে গাড়ি পুড়াতে হবে। রড দিয়ে কাচ ভাঙ্গতে হবে। আধলা মেরে প্রতিপক্ষের নাকসা ফাটাতে হবে। পুলিশের পুটুতে গুলি বর্ষন করতে হবে। কুন অজুহাত আমরা শুনব না। সব টেকা হালাল করতে হবে আগামী রবি ও সোমবার।
(সংগ্রহীত)
সব শেষে বলতে চাইঃ
আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “বান্দা যখন ভালো-মন্দ বিচার না করেই কোন কথা বলে, তখন তার কারণে সে নিজেকে জাহান্নামের এত গভীরে নিয়ে যায় যা পূর্ব ও পশ্চিমের দুরত্বের সমান” [বুখারী ও মুসলিম]
তবে ফজরের নামাজের পর সাতকানিয়া জামে মসজিদের ইমাম হাবিবুল হক মুসল্লিদের উদ্দেশে বলেন, ‘যারা এ ধরনের বক্তব্য দিচ্ছে, তাদের ইমান নষ্ট হয়ে যাবে। যদি সাঈদীকে চাঁদে দেখা যায়, তা হলে তো তিনি গ্রেপ্তার নেই। তা হলে তাঁর মুক্তি চাওয়ার দরকার কী। যাঁরা এ ধরনের অপপ্রচারে বিব্রত হবেন, তাঁদের ইমান থাকবে না। নষ্ট হয়ে যাবে।’