হিন্দু গ্রন্থে হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর পরিচয় ও হিন্দু সম্প্রদায়কে ইসলাম গ্রহনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
যে জন্য যুগে যুগে বহু সত্য সন্ধানী শিক্ষিত হিন্দু, ইসলাম গ্রহন করেন ।
কল্কি অবতারের (শেষ নবীর) নামঃ নরাসংশ’। আহমদ।
পিতার নামঃ বিষ্ণুযশ ।
মাতার নামঃ সুমতি ।
জন্মস্থলঃ সম্ভল ।
জন্মতারিখঃ মাধব মাসের শুক্ল পক্ষের দ্বাদশ তারিখ ।
এবার উপরের পরিচয়টা যে হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর সেটা দেখুন।
নাম-সংস্কৃতে ‘নরাসংশ’ অর্থ-প্রশংসিত(বেদঋগ্ বেদ ১-১৮-৯)
আরবীতে-মুহাম্মদ অর্থ-প্রশংসিত । (কুরআন ৪৮-২৯, ৩৩-৪০)
এবং আহমদ শব্দ বেদঋগ্বেদে ৮-৬-১০, ও কুরআনে ৬১-৬।
পিতার নাম সংস্কৃতে-‘বিষ্ণুযশ’ অর্থ-প্রভুর দাশ(শ্রীমদ্ভাগবত মহাপুরান ১-৩-২৫) আরবীতে ‘আবদুল্লাহ’ অর্থ-প্রভুর দাশ।
মাতার নাম সংস্কৃতে ‘সুমতি’ অর্থ-শান্তি (কল্কি পুরান ১-৪), আরবীতে আমিনা অর্থ ‘শান্তি’ ।জন্মস্থান সংস্কৃতে ‘সম্ভল’ অর্থ শান্তির ঘর (শ্রীমদ্ভগবত মহাপুরান ১২-২-১৮)
আরবীতে ‘দারুল আমান’ অর্থ শান্তির ঘর । মক্কাকে বালাদুল আমিন অর্থ শান্তির শহরও বলা হয় ।
জন্ম তারিখঃ মাধব মাসের শুক্ল পক্ষের দ্বাদশ তারিখ জন্ম গ্রহণ করবেন। অর্থাৎ বৈশাখ মাসের (শুক্লপক্ষ) প্রথম অংশে ১২ তারিখে জন্ম গ্রহণ করবেন । কল্কিপুরান ১-২-১৫} বিক্রমী ক্যালেন্ডারে বৈশাখ মাসকে বসন্ত কাল বলে । আরবীতে ‘রবি’ অর্থ বসন্ত। আওয়াল অর্থ ‘প্রথম অংশ’। একত্রে রবিউল আওয়াল অর্থ ‘বসন্তের প্রথম অংশ’। দ্বাদশ অর্থ ১২ । প্রশিদ্ধ মতানুযায়ী ১২ রবিউল আওয়ালে হযরত মুহাম্মদ সাঃ
জন্ম গ্রহন করেছেন।
এবার দেখুন ইসলাম গ্রহনের জন্য আদেশঃ
কল্কি অবতারের ২৩ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, "লা ইলাহা হরতি পাপম্ ইলইলাহা পরম পাদম্, জন্ম বৈকুন্ঠ অপ ইনুতি ত জপি নাম মুহাম্মদ" অর্থঃ আল্লাহ এর আশ্রয় ব্যতিত পাপ মুক্তির কোন উপায় নেই । আল্লাহর আশ্রয় প্রকৃত আশ্রয় । স্বর্গ পাওয়া প্রভুর পরিচয় লাভ এবং ক্ষমা পেতে হলে মুহাম্মদ (সাঃ) কেই মানতে হবে ।
বৈকুন্ঠে জন্মলাভের আশা করলে তার আশ্রয় ব্তিত অন্য কোন উপায় নেই।
এজন্য মুহাম্মদ সাঃ এর প্রদর্শিত পথে অনুসন্ধান অপরিহার্য ।
(মোটকথা ইসলামে দিক্ষিত হতে হবে।)
এবার দেখুন হিন্দু শাস্ত্রে আল্লাহ, মুহাম্মদ, রাসূল শব্দ যোগে শ্লোক।
"হোতার মিন্দ্রো হোতার মিন্দ্রো মহাসুরিন্দ্রবোঃ, অল্লো ,জ্যেষ্টং, পরমং, পূর্ণং, ব্রক্ষণং অল্লাম। অল্লো রসূল মুহাম্মদ রকং বরস্য অল্লো-অল্লাম । আদাল্লং বুক মেকং অল্লা বুকংল্লান লিখাতকম।" অর্থঃ অল্লোপণিষদ দেবতাদের রাজা আল্লাহ আদি ও সকলের বড় ইন্দ্রের গুরু। আল্লাহ পূর্ণ ব্রহ্ম, মুহাম্মদ আল্লাহর রসূল। পরম বরণীয় আল্লাহই। তাঁর অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ আর কেউ নেই। আল্লাহ অক্ষয়, অব্যয়, স্বয়ম্ভু ।
এছাড়া আরো তথ্য আছে যা সত্য সন্ধানীদেরকে ইসলাম গ্রহনের জন্য আহ্বান করে। পরিতাপের বিষয় হল, হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মগুরুরা এগুলো সতর্কতার সাথে লুকিয়ে রাখেন। এমন কি পাঠ করা শ্রবণ করা পর্যন্ত অনেক ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ করেছেন। যদি এগুলো সবার হাতের নাগালে হত অবিশ্যম্ভাবী ভাবে হিন্দু জাতি শুধুইতিহাসে থাকত ।
নিশ্চয় আল্লাহর কাছে একমাত্র মনোনীত দ্বীন হচ্ছে ইসলাম।(আল ইমরানঃ১৯)
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৭