বড়লোক বাপের পোলারা... সম্পূর্ণ লেখা না পরে, কেউ কোন কমেন্ট বা মন্তব্য করবেন না।
১৭ দিনের ঘটনার সাথে সাথে বাংলাদেশের সকল ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ও সংবাদপত্রের
সাংবাদিকগণ হুমড়ি খেয়ে মিথ্যা ঘটনাকে সত্য মনে করে "মিরাকেল" বলে প্রচার করলো।
১৬ দিন পর্যন্ত ১০০ ঘণ্টা নিয়ে মোটামুটি আলোচনা ছিল। ১৭ দিনের ঘটনার পর তারা আর
কখনো ভুলেও আমার সাথে যোগাযোগ করেনি। কারণ ১৬ দিনের মধ্যে যত ইলেক্ট্রনিক
মিডিয়া ও সংবাদপত্রের সাংবাদিকগণ আমার অভিজ্ঞতার কথা জানতে এসেছে, সবাইকে
আমি আমার মহান মুর্শিদের দয়ার কথা বলেছি। অনুরোধ করে বলেছি, বাবাজানের কথা
যেন তারা প্রচার করে! সংবাদ প্রচারের সময় তারা বাবাজানের কথা বাদ দিয়ে প্রচার করেছে
এবং পত্রিকায় ছেপেছে। তাই আমি ১৭ দিন পর এইসব কথা বলার আর কোন সুযোগ পাই নাই।
অসুস্থ থাকার কারনে লিখতেও পারি নাই। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ সাহায্য
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট এসেছে অথচ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেনা বাহিনীর
মাধ্যমে সি এম এইচে থাকা অবস্থায় আমাকে মাত্র ১০ হাজার টাকা দিয়েছেন। গত ৬ মাস আমাদের
সংসার কিভাবে চলেছে কোনদিন কি খোঁজ নিয়েছেন? বড়লোক বাপের পোলারা অভাব কি বুঝেন?
আপনারা গায়ে সুন্দর সুন্দর পোশাক পড়তে পারেন, আর এই পোশাক যারা রাত্রদিন পরিশ্রম করে বানায়,
তাদেরকেই আপনারা ঘৃণা করেন? ৪২ বছর আগের স্বাধীনতা যুদ্ধাপরাধী নিয়ে কতো কিছু করেন?
স্বাধীনতা যুদ্ধ কি নিজ চোখে দেখেছেন? আর মাত্র ৬ মাস আগে হাজার হাজার শ্রমিক মারা গেল,
ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ও সংবাদপত্রের মাধ্যমে নিশ্চয়ই তা দেখেছেন, এত দ্রুত সব ভুলে গেলেন?
অসহায় মানুষদের জীবন যুদ্ধ কি দেখেছেন?
এভাবে শিয়াল কুকুরের মত বেঁচে থাকার চেয়ে একবারে আমাকে মেরে ফেলাই ভালো।