মা শেখ হাসিনা,
আপনার দলের একজন নেতা হানিফ সাহেব আজকে শাহ্বাগে কথা বলতে চেয়েছিলো...জনগণ বোকা না রে মা। তারা বুঝিয়ে দিয়েছে এত সহযে এই আন্দোলনকে থামানো যাবেনা। আপনার দলের সাজেদা চৌধুরী কথা বলতে চেয়েছিলো সেখানেও সাধারণ জনতার রোষে তাকে পিছু হটতে হয়েছে। আপনি এইসব ছাগলদের একদল প্রতিবাদ মুখর বাংলাদশীদের কাছে পাঠাবেন্না। এর ফলাফল ভাল হবেনা মা!
আপনার বেয়াই রাজাকার হলেও সাধারন জনতা এতদিন মুখ বুঝে ছিলো। তারা কিছুই বলেনি। আপনি যুধ্যপরাধীদের বিচার করবেন এই ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় এলেন। আপামর জনতা তাকিয়েছিলো আপনার দিকেই। আপনি জাতীর জনকের বিচার করেছেন; সাধারণ মানুষ স্বানন্দে মেনে নিয়েছে। খুনের বিচার হতেই হবে। তবে আধমরা প্রেসিডেন্টকে দিয়ে তাহের হত্যার খুনি বিল্পব সহ আরও অনেক কে মুক্তি দিয়ে আপনি বুঝাতে চেয়েছেন আপনার পিতা বাদে আর সবার পিতার বেইল বাংলাদেশে নাই। আমরা তাও মেনে নিয়েছি। প্রতিবাদ করতে করতে থেমে গিয়েছি। আমরা তাকিয়েছিলাম বাংলাদেশের জন্মের বিরোধীতাকারী একদল কুলাঙ্গারের বিচার কি করে সেইটা দেখার জন্যে।
আপনাকে ইমেইলে হুমকি দিয়ে পার্থ পার পায়নি এবং তাকে আপনি ঠিকই খুজে বের করে বিচারের আওতায় এনেছেন। অথচ বাচ্চু রাজাকার পালিয়ে গেলো তার পিতার দেশ পাকিস্থানে। আমাদের আপনি ভাবলেন বেকুব জাতী। সেই বাচ্চু রাজাকারের ফাঁসির রায় হলেও আব্দুল কাদের মোল্লার হলো যাবজ্জীবন কারাদন্ড। আমি ধরে নিলাম আপনার হাত নেই এতে তবে মানুষ কিন্তু এত বোকা না মা!
মা গো...বিশ্বজিতের শার্টের রক্তের দাগ এখনও শুকায়নাই অথচ তার হত্যাকারিদের বাচাতে এখনো আপনার প্রশাসনের ঘাম ঝড়ে যাচ্ছে। আমরা তাও কথা বলিনাই। আমরা এখনো শান্ত আছি। তাই বলে ভাববেন না আমরা মেরুদন্ডহীন জাতী। আমরা ঠিক সময়ে একাই দেখিয়ে দেই অধিকার আদায়ের আন্দোলনে রাজনীতিবীদ লাগেনা; একটা সাধারণ মানুষই যথেষ্ট।
আপনার প্রতিশ্রুতিমত আমরা দশ টাকার চাল কিনে খাচ্ছি একশ দশ টাকায়। ক্ষুধায় পেট জ্বলে গেলেও বুক চিতিয়ে বিশ্বকে দেখাই আমরা এখনো ভাল আছি। ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেলেও আমরা আপনাকে গালি দেইনাই। শেয়ার বাজারের লোপাটে মানুষ পথের ফকির হলেও কেউ কিছু বলার মত করেনাই। পদ্মা সেতুর জায়গায় আজও ধুধু বালি চিকচিক করে অথচ আপনার প্রাণপ্রিয় আবুলের হাসি বন্ধ হয়না।
আপনি জনগণের রায়ে প্রধানমন্ত্রী হয়ে চার স্তরের সিকিউরিটি নিয়ে ঘুরে বেড়ান আর আপনাকে নির্বাচিত করে রমনা পার্ক দিয়ে হেটে যাওয়া মানুষ অকারণে এস এস এফের হাতে মার খায়! আপনার নিরাপত্তার খুব দরকার তাই সেখানেও আমরা কিছু বলিনাই। ভিকারুন্নেসা নুন স্কুলকে আপনি ধ্বংসের মুখে ঠেকে দিয়েছেন আপনার বান্ধবী দ্বারা নির্বাচিত শিক্ষক দিয়ে ছাত্রী ধর্ষন করিয়ে। আমরা নিরিহ আমজনতা সেখানেও সেই মাপের প্রতিবাদ জানায়নি। শুধু খুশি থেকে গিয়েছি সেই ধর্ষকের সাময়ীক শাস্তিতে।
আপনি তাকিয়ে দেখেন আজকে কারা এই আন্দোলন করছে? টগবগে সব তরুন। স্বাধীনতার সময়ে অনেকেরই যাদের হয়ত জন্ম হয়নি। এইটাকে আপনি রুখে দেবার চেষ্টা চালাবেন্না। আপনি যদি জামায়াত শিবিরের দাড়ি ধরে আরেকবার ক্ষমতায় যাবার চেষ্টা চালান তবে জেনে নেবেন ভি আই পি কারাগারে আটক সেইসব কুলাঙ্গারেদের টেনে হেচড়ে রাজপথে এনে ফাঁসিতে ঝুলাতে এক মিনিটও লাগবেনা।
আপনার শত অন্যায়ে আমি কলমকে চেপে ধরে তাকিয়ে ছিলাম জাতীর জনকের কন্যা হিসেবে আপনি ৭১ সালের স্বীকৃত অপরাধীদের চুড়ান্ত শাস্তির ব্যাবস্থা করবেন অথচ প্রথম রায় থেকেই অবিশ্বাসের দোলাচলে ভুগছি। একটা মানূষকে আপনি অত্যাচার করতে করতে প্রায় মৃতপ্রায় করে ফেলতে পারেন তবে সমস্যা হলো সে তখনই জেগে উঠে স্বপাটে লাথি মারবে যখন দেখবে তার মায়ের অসম্মান হচ্ছে। ফেলানী এই দেশের মেয়ে...আমরা তাকে বর্ডারে দিনের পর দিন ঝুলতে দেখেছি। নির্যাতিত মেয়ে পুলিশকে অসহায়ের মত আপোস করতে দেখেছি তবে ভেবে নেবেন না বাংলাদেশ কে যারা রেইপ করেছে তাদের ছেড়ে দিলে বা গোপণে আতাত করলে আপনি পার পেয়ে যাবেন। এস এস এফের সিকিউরিটি বলয় কি সাধারণ মানুষের মুষ্টির থেকে অনেক শক্তিশালী?
সাধারণ জনগন আজকে জেগে উঠেছে...চেয়ে দেখেন সারা দেশে আজকে নতুন সুর্যের আভাস দেখা দিচ্ছে। এই সুর্যকে আনতে নৌকার সাহায্য লাগবে না...ধানের শীষের সাহায্য লাগবে না। এই ভালবাসা আর ত্যাগকে দাড়িপাল্লায় মাপা যাবেনা। এটা রক্তের উত্তাপ। চেয়ে দেখেন আপনি সারা জীবনে যত জোরে ভাষণ দিয়েছেন তার থেকে শতগুণ জোরে ঘন্টার পর ঘন্টা শ্লোগান দিয়ে একজন তরুনী বুঝিয়ে দিয়েছে দেশকে ভালবাসতে নেত্রী হওয়া লাগেনা।
আপনার শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। সকল রাজাকারের( আপনার বেয়াইও আছে) ফাঁসি হোক এই বাংলাদেশের মাটিতেই
(সংগৃহীত)