নুরু মিয়া হেঁটে যায় কাঁধে লাল গামছা
কানাকানি ফিসফিস ধরধর খামচা।
নুরু মিয়া ফিরে চায় ডানে নেই বামে নেই
সামনে বা পেছনে কোথাওতো কিছু নেই।
দুপুরের রোদ আছে নুরু মিয়া ঘামছে
ভয়ে পা চলেনা কেঁপেকেঁপে থামছে।
বাতাসে নড়ে উঠে বট গাছের পাতাটা
জীনভূত নয়তো! ঝিম ধরে মাথাটা।
শুনেছে জীন আছে প্রাচীন এই গাছটায়
কতো লোকে দেখেছে ডালে বসে মাছ খায়।
লুঙ্গিটা খিচে নুরু ভোঁদৌড়ে হারালে
গোলমাল গাজী হাসে গাছটারই আড়ালে।
পাড়ার এক গাজী আছে গোলমাল উপনাম
গোলমাল যত আছে জানে সবে তার কাম।
বাজারে রটে গেছে নুরু মিয়ার কান্ড
রসেকষে ঝারে গাজী রহস্যের ভান্ড।
বেচারা নুরুমিয়া চুপচাপ লজ্জায়
অভিমানে পরিশেষে ভোগে জ্বর সজ্জায়।
এভাবেই হেসেখেলে আমাদের গ্রামটা
মিলেমিষে থাকে সবে সোনা গ্রাম নামটা।
-
বি.দ্র. ব্যাক্তি, নাম, গ্রাম সবই কাল্পনিক।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৩