আমাদের কাকাবাবু টাক নিয়ে ব্যস্ত
ডজন খানেক কবিরাজ তার উপর ন্যস্ত।
লিকলিকে তেল মাথায় রোদ পড়ে যখনি
বাহঃ কতো ফাইন লাগে তুমিতো ভাই দেখনি।
কাকাবাবু হেঁটে যায় গলির ঐ মোড়টায়
দুটো কাক বসেছিল কারেন্ট এর তারটায়।
রোদ এর তেজ দেখে দিল টিপ ছাতাতে
তার আগেই টুক করে সেরে গেছে মাথাতে।
ছোপছোপ স্যাতস্যাতে গেল মন বিগড়ে
গালাগাল দেবে কাকে প্রাণটাকে নিগড়ে।
ছেঃছেঃ করে আর হাতে নিয়ে ঢিলটা
যেই ছুড়ে মেরেছে উড়ে গেল দিলটা।
বুয়াটা উঠেছিল ছাদে শাড়ি শুকাতে
কান ঘেষে কি যেন চেয়েছিল ঠুকাতে।
মুখে যা আসে তা ঢেলে দিল গালিতে
কাকাবাবুর মুখখানা ঢেকে যায় ছালিতে।
হনহনে ছুটে এসে বাজারের থলিটা
ছুড়ে মেরে তাকায় সে পেছনের গলিটা।
যা হবার হয়ে গেছে টের কেউ পায়নি
রাগে ক্ষোভে কাকাবাবু দুইদিন খায়নি।
ভেবেচিন্তে বুঝ পেল অপয়া টাকটাই
শুরুতেই বাগড়া শুভকাজে যদি যায়।
তাইতো ঠিক হলো টাকে চাই চুলটা
কবিরাজ দল এসে খুলে নিল খোলটা।
দিনরাত খেটেমেটে যেই খোল লাগাল
কাকাবাবু আয়নাতে বার দুই তাকাল।
কে সে? কোথা হতে এলো এই ঘাড়টায়
ঘুরেফিরে আয়নায় নিজেকেই চেনা দায়।
তুলে নাও ঝোপঝাড় ফিরিয়ে দাও টাকটা
কাকাবাবু চেচেমেচে দিয়ে যায় হাঁকটা।
শেষমেষ তাই হল টাকেরই হল জয়
মিছেমিছি শ্রম আর পয়সার অপচয়।
টাক যদি হয় কারো ভেবোনা অতসব
হাসিমনে মেনে নিয়ে করে যাও উৎসব।
কাকা বাবু হেঁটে যায় আর তার টাকটা
কা কা হেঁকে যায় তারে বসে কাকটা।
আবার সেই রোদ পড়ে তেলতেলে টাকটায়
কি দারুণ লাগে ভাই দেখে যাও এসে তায়।