যশোর রোডের শতবর্ষী গাছগুলো কেটে ফেলা হবে শুনেছিলাম। ভাবছিলাম শেষ দেখাটা সেরে আসি। ওখানে যাওয়ার আগে ব্লগে একটা পোষ্ট ও দিয়েছিলাম শেষ দেখা........ শিরোনামে। কিন্তু আমার ঐ পোষ্টে হাসান কালবৈশাখী ভাই জানিয়েছেন গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নাকি সরকার পরিবর্তন করেছে। বিষয়টা জেনে ভালো লাগছে, তাইতো ওদের দেখে এসে এবারের পোষ্ট এ দেখাই শেষ দেখা নয় তো.............
(২) এটা যশোর রোডে যাওয়ার আগে একটা সবুজ সুরঙ্গ পথ। এমন পথে গাড়ি ড্রাইভ করতে কোন ক্লান্তি আসেনা। এবারের আমার যশোর যাওয়াটা হয়েছিল নিজে ড্রাইভ করে, পাশে আমার অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছোট ছেলের হাতে ছিল ক্যামেরা। আর এই পোষ্টের বেশীর ভাগ ছবিই ওর হাতের তোলা।
(৩) এটা ঝিকরগাছা। যশোর রোডের এই অংশে গাছপালা নেই বললেই চলে, আগেই হয়তো আমাদের মতো লোভী মানুষরা ওদের সাবার করে দিয়াছে।
(৪/৫) ঝিকরগাছা থেকে যশোর রোড ধরে যাওয়াটা এখন বেশ কঠিন ব্যাপার, রাস্তাঘাট এতো বেশী ভাঙ্গা যে ড্রাইভিং করাটা বেশ ক্লান্তিকর হয়ে দাঁড়ায়। আমার সাথে থাকা বেনাপোলের বাসিন্দা আমিরুল ভাইয়ের অভিমত। সরকার ইচ্ছে করে মানুষকে ভোগান্তি দিচ্ছে, যাতে করে মানুষজন এক সময় এই দূর্ভোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য গাছ কাটার পক্ষেই মতামত দেয়।
(৬/৭) কোথাও গাছগুলো এতোটা কাছাকাছি মনে হয় যেন গাছের দেয়াল। তবে কুয়াশাচ্ছন্ন ছিল বলে পরিস্কার ছবি তোলা যায়নি।
(৮) হাইকোর্টের রায় উপেক্ষা করে দিন দুপুরে এমন ভাবে গাছ কাটা চলছে কিভাবে কে জানে!!
(৯) এই গাছগুলো থেকে আমরা নানা রকম উপকার পেয়ে থাকি, তবু কেন সাময়িক লোভ ছাড়তে পারি না জানিনা।
(১০/১১) শীতকাল বলে গাছগুলো পুরোপুরি সবুজ নয়, পুরো সবুজে এগুলো কেমন থাবকে ভাবতেই মনে রোমাঞ্চ লাগে।
(১২) যশোর রোডে চলার সময় ডানে বামে তাকালেই দেখা যাবে ওখানকার আসল রূপ, আশেপাশে প্রচুর খেজুরের গাছ।
(১৩) শীতের সময়ে তো খেজুরের রসের কথাটা আলাদা করে বলার কিছুই নাই।
(১৪/১৫) যশোর রোডের বেশ কিছু এলাকায় দেখলাম নতুন বনায়নও হয়েছে।
(১৬) যশোর রোড ধরে সর্ষে নিয়ে যাচ্ছে গরুর গাড়ি।
(১৭/১৮) বাংলাদেশের সর্ব বৃহৎ ফুলের গ্রাম এবং বাজার যশোর রোডের গদখালী। এটাকে বলা হয় ফুলের রাজধানী। গদখালী নিয়া পরবর্তীতে আলাদা পোষ্ট দিবো।
(১৯) যশোর রোডে থেকে দেখা যাবে রাস্তার পাশের এমন ফুল বাগানগুলো।
(২০) হাড় বাড়ালেই মুঠি ভরে সেইক্ষণে, এমন ক্ষেতেরও অভাব নেই এই যশোর রোডের পাশে।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৪৩