বান্দরবান শহর থেকে থানচি কিংবা রুমার দিকে আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথের ৮ কিলোমিটার গেলেই পাহাড়ের সবুজের ভেতর থেকে কানে আসবে পাথরের ভেতর দিয়ে ছুটে চলা পানির রিনিঝিনি শব্দ। থমকে দাঁড়িয়ে পথের ডান দিকে তাকালেই দেখা যাবে অবিরাম ছুটে চলা একটা পাহাড়ি স্রোতধারা ক্রমান্বয়ে নিচের দিকে ছুটতে ছুটতে হারিয়ে গেছে চোখের আড়ালে। স্রোতধারার পানিগুলো একাধারে প্রচন্ড ঠান্ডা ও স্বচ্ছ। ওকে একটু ছুয়ে দেখার ইচ্ছে হবেনা এমন মানুষ পাওয়া যাবে বলে আমি বিশ্বাস করিনা। আশে পাশের সবুজ পাহাড়গুলোর দিকে তাকালে উঁকি দিবে আদিবাসীদের ছোট ছোট কুঁড়ে আর তাদের মধ্যে থাকা ছোটখাট অবয়বের সুন্দর আর পরিশ্রমী মুখগুলো। সব মিলিয়ে যায়গাটা সত্যিই অসাধারণ।
আর পথের বাঁমে তাকালে পাহাড়টা আরো উঁচু হয়ে গেছে, আর সেই পাহাড়ের পাদদেশে আদিবাসী নারী-পুরুষেরা তাদের হাতে বোনা চাদর, মাফলার, বেডশীটসহ বেত ও বাশেঁর তৈরী বিভিন্ন আসবাবপত্র ও তৈজসপত্র আর স্যুভেনিরের পসার নিয়ে বসে আছে। এছাড়া তাদের উৎপাদিত মৌসুমী ফলমূল এখানে সবসময় পাওয়া যায়। হাসিমুখেই ওদের কাছ থেকে দরদাম করে পণ্য কেনা যায়।
(২) আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথে বেপরোয়া চান্দের গাড়ি দিয়া চলাটা সত্যিই এক অন্যরকম মজা।
(৩) যাওয়ার পথে রাস্তায় পড়বে আদিবাসী সম্প্রদায়ের এমন কর্মযজ্ঞ।
(৪) বান্দরবান শহরের ৮ কিলোমিটার পরই রাস্তার ডান পাশে দেখা যাবে এই জলস্রোত, যা শৈলপ্রপাত নামে পরিচিত।
(৫/৬) শৈলপ্রপাতটা অন্যান্য ঝর্ণার মতো খাড়া ঝর্ণা না, যেমনটা আমরা দেখি যে, আমাদের বিপরিত পাশের পাহাড় থেকে খাড়া নেমে আসছে ঝর্ণার স্রোতধারা। এটা আসলে স্রোতধারার উপরি অংশটাকেই আমরা দেখতে পাই, যা কিছুটা ঢালু হয়ে নেমে গেছে নিচের দিকে। আবার কখনো বা খারা নেমে গেছে অনেকটা।
(৭) শৈলপ্রপাতে নামাটা বিপদজনক বলে পর্যটন মন্ত্রনালয় ঝর্ণাতে নামার জন্য লম্বা সিড়ি বানিয়ে দিয়াছে, আর সিড়ির যে ঘরটা থেকে নিচে নেমেছে তার উপরে উঠেও ঝর্ণাটাকে সুন্দর ভাবে পর্যবেক্ষণ করার ব্যবস্থা করে দিয়াছে।
(৮) পিচ্ছিল ঝর্ণার উপরিভাগ পার হয়ে যারা বিপরিত যেতে পারে তাদের জন্য ওপারে ও রয়েছে সুন্দর বিশ্রামের যায়গা।
(৯/১০) উপড়ের সড়ক থেকে ঝর্ণায় নামার সিড়ি দুইটা এমন।
(১১) ঝর্ণার বিপরিত পাশের বসার যায়গা থেকে তোলা প্রবেশ পথের দিকের ছবি।
(১২/১৩) ঝর্ণার আশে পাশে রয়েছে এমন সব বুনো ফুল।
(১৪) রয়েছে এমন কিছু প্রজাপতিও।
(১৫) এই ঝর্ণায় সতর্ক না থাকলে যখন তখন হতে পারে বিপদ, ঝর্ণার উপরে কোন অসতর্ক মুহুর্টে ওনার পা পিছলায়, আর উনি অনেকটা পথ পিছলে ঝর্ণার পানি পড়ে গর্ত হয়ে যাওয়া একটা অংশে আটকে পড়ে সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছে। এমন ভাবে পিছলে ওখানে মৃত্যুর ঘটনাও আছে, তবে উনাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল।
(১৬/১৭) উপারের বিশ্রামাগার পার হয়ে আরো অনেকটা নিচে নেমে গিয়েছিলাম ঝর্ণার একটা সুন্দর রূপ দেখতে, কিন্তু এর বেশী পাইনি।
(১৮) বিপরিত পাশের বিশ্রামাগারে বসে আরো একটা ছবি।
(১৯) ঝর্ণাটা রাস্তার ডানে হলেও মূলত এর উৎপত্তি কিন্তু রাস্তার বামে। আর ঝর্ণার উপর দিয়াই তাই এই ব্রীজ ধরে ছুটে যেতে হয় রুমা বা থানচির দিকে।
(২০) উপরে ফিরে এসে আদিবাসীদের এসব দোকান থেকে কিছু না কিনলে আফসোসটা থেকেই যায়।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৫