পাখি প্রকৃতির অনন্য দান। পাখির ডাকে সূচিত হয় শুভ সকাল। আবার পাখির ডাকে নেমে আসে গোধূলির শেষ আলো। আমরা যখন নিজেদের একটু শান্তি দিতে চাই তখন পাখির কোলাহল যুক্ত কোন প্রকৃতিই খুজে নিতে চাই। কিন্তু আমরা পাখিদের আবাস ও খাবার ধ্বংস করে চলেছি নিরন্তর। আমার এলাকায়ও খুব দ্রুত গাছপালা নিশ্বেষ হয়ে যাচ্ছে, সেই সাথে নিরুদ্ধেশ হচ্ছে পাখিকুল। আমার বাড়িতে কিছু চড়ুই পাখির বাসা আছে, ভোরে উঠেই ওদের কিচির মিচির শুনে মনটা ভালো হয়ে যায়। সেই চড়ুই পাখিদেরকে মাঝে মাঝে আমি খাবার দেই নিচু একটা চালার উপর, খাবার বলতে ভাত বা চাউল।
কিছুদিন থেকে দেখছি সেই খাবার খেতে বেশ কিছু বুলবুলি পাখিও নিয়মিত আসছে, তাই খাবার দেওয়ার পরিমান বাড়িয়ে দিয়েছি আমিও। এখন কাক বা শলিকেরাও মাঝে মাঝে আসতে শুরু করেছে। আসবেই না কেন প্রকৃতিতেকে আমরা ধ্বংস করে ওদের খাবার সীমিত করেছিয়েছি তো আমরাই। পাখিদের পানি খাওয়ার যথেষ্ট সংকট থাকায় চালের উপর একটা পাত্রে পানিও দিয়ে দিয়েছি, ওরা যখন খাবার খেয়ে পানি পান করে তখন আমি মনে প্রশান্তি পাই। আসুন আপনাদেরকে পরিচয় করিয়ে দেই আমার অতিথীদের সাথে।
(২/৩) মাঝে মাঝে ওরা বেশ বড় দল নিয়েই আসে। আমিও ওদের কখনো সাদা ভা্ত, কখনো তরকারী মাখানো ভাত বা চাউল ছিটিয়ে ওদের আপ্যায়ন করি।
(৪/৫) চড়ুইদের সাথে বুলবুলিদের ঝগড়া খুব একটা হয়না, যতটা বুলবুলিরা নিজেদের মধ্যে করে।
(৬/৭) ওদের খাবার খেতে দেখলে আমার ভালোলাগে।
(৮/৯) খাবার খেয়ে পানি খেয়ে ওরা চলে যায়, আমাদের জামরুল বা সজনের ডালে।
(১০) পেট ভড়া, একটা বুলবুলি এবার আরাম করে গায়ে রোদ লাগিয়ে নিচ্ছে জামরুলের মরা ডালে বসে।
(১১) সজনে ডালে বসে তিনি বিশেষ কিছু নিয়ে ভাবনায় মগ্ন এটা বলাই যায়।
(১২) মাঝে মাঝে এই ভাট শালিকটা আসে, তখন বুলবুলিরা দুরত্ব বজায় রাখে। উনি আবার কিছুটা সন্ত্রাসী টাইপের
(১৩) খাবার শেষে গলা ভেজাচ্ছে একটা চড়ুই পাখি।
(১৪) অন্য একটা আপন মনে বসে খেলছে ইলেকট্রিক তারে।
(১৫) সজনে ডালে বসে কেউবা খুনসুটি করছে।
(১৬) কেউবা ভবিষ্যত পরিকল্পনায় ব্যস্ত।
(১৭) কাকদের আনাগোনাও ইদানিং বেশ লক্ষ্যণীয়।
(১৮) মিলেমিশে ওরা খাবার খায় নিয়মিত।
(১৯) ওর পায়ে কোন সমস্যা কিনা কে জানে!
(২০) এই ছবিটা তুলেছি উপর থেকে।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:২৭