সিঙ্গাইর মসজিদ একটি মধ্যযুগীয় ঐতিহাসিক মসজিদ। ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদ থেকে মাত্র ২৫ মিটার দক্ষিণ-পূর্বে খুলনা-বাগেরহাট মহাসড়কের পাশে সুন্দরঘোনা গ্রামে অবস্থিত এ মসজিদটি।
সিঙ্গাইর মসজিদ একগম্বুজ বিশিষ্ট একটি মসজিদ। বর্গাকারে নির্মিত সিঙ্গাইর মসজিদের আয়তন (১২.০৪x১২.০৪) মিটার এবং দেয়ালগুলোর পুরুত্ত গড়ে ২.১০মিটার।
প্রত্যেক কোনে বাইরের দিকে গোলাকারে বর্ধিত একটি করে সংলগ্ন বুরুজ রয়েছে। বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয় যে, মসজিদের চর্তুদিকে কার্ণিশ গুলো বক্রকার।
মসজিদের পূর্ব দেয়ালে ৩টি খিলান যুক্ত দরজার এবং উত্তর ও দক্ষিণের দেয়ালে রয়েছে ১টি করে খিলান দরজা। পূর্ব দেয়ালের মাঝের দরজাটির আকার অন্যগুলোর চেয়ে বড়। এ থেকে ধরা হয় এটিই ছিল মসজিদের প্রধান ফটক।
মসজিদের ভিতরে পশ্চিম দেয়ালের মাঝা-মাঝি অংশে একটি অলংকৃত মেহরাব আছে। অনুরূপ অলংকৃত পোড়া মাটির সাজ চোখে পড়ে দরজাগুলোর দু’পাশে।
অন্যান্য সাধারণ বৈশিষ্ট্য ষাটগম্বুজ মসজিদের অনুরূপ। কেবলমাত্র চার কোনে সংলগন চারটি গোলাকার বরুজ মসজিদের কার্ণিস পর্যমত্ম উঠানো। মসজিদটির নির্মানশৈলী দেখে ধারণা করা হয় এটি পঞ্চদশ শতকে নির্মিত।
(২/৩) প্রধান ফটক ও ফটকে দাঁড়িয়ে তোলা মসজিদের ছবি।
(৪) মসজিদের সামনে থেকে তোলা ছবি।
(৫) এই সাইনবোর্ডটায় লেখা আছে " বিজ্ঞপ্তি, সংরক্ষিত পুরাকীর্তি। কোন ব্যাক্তি এই পুরাকীর্তির কোন রকম ধ্বংস বা অনিষ্ট সাধন করলে বা এর কোন বিকৃতি বা অংগচ্ছেদ ঘটালে বা খোদাই করলে বা কোন চিহ্ন বা দাগ কাটলে ১৯৬৮ সালের ১৪নং পুরাকীর্তি আইনের ১৯ ধারার অধীনে তিনি সর্বাধিক এক বৎসর পর্যন্ত জেল বা জরিমানা অথবা উভয় প্রকার দন্ডে দন্ডনীয় হবেন। পরিচালক, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, বাংলাদেশ সরকার।"
(৬) এই সাইনবোর্ডটায় লেখা আছে "সিঙ্গাইর মসজিদ একগম্বুজ বিশিষ্ট একটি মসজিদ। বর্গাকারে নির্মিত সিঙ্গাইর মসজিদের আয়তন (১২.০৪x১২.০৪) মিটার এবং দেয়ালগুলোর পুরুত্ত গড়ে ২.১০মিটার। প্রত্যেক কোনে বাইরের দিকে গোলাকারে বর্ধিত একটি করে সংলগ্ন বুরুজ রয়েছে। বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয় যে, মসজিদের চর্তুদিকের কার্ণিশ গুলো বক্রকার করে নির্মিত। পূর্ব কোনে তিনটি এবং উত্তর-দক্ষিন দেয়ালে একটি করে খিলান যুক্ত দরজা আছে। পশ্চিম দেয়ালে আছে একটি অলংকৃত মেহরাব। এই মসজিদটি পঞ্চদশ শতকে নির্মিত হয়।"
(৭) এই ছবিটা মসজিদের উত্তর পাশ থেকে তোলা।
(৮) এই মসজিদের ঠিক উল্টো পাশেই আরেক ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদ অবস্থিত। আমরা অনেকেই ষাটগম্বুজ মসজিদটা দেখে চলে আসি। অথচ এতো কাছাকাছি আরেকটা ঐতিহাসিন মসজিদ আছে সেটা নজরেই আসেনা।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০২