সকাল বেলা আমার রুমের সামনে একটা চেচামেচি শুনতে পেলাম, দেখলাম ছুটে যাচ্ছে দুটি বেড়াল। একটার মুখে কোন একটা পাখি রয়েছে, পাখিটা প্রথমে চিৎকার করতে পারলেও পরে আর কোন শব্দ পাচ্ছিলাম না। আমিও ছুট লাগালাম বিড়ালদের পিছু পিছু। বাড়ির পেছনের দিকে বিড়ালটি দৌড় লাগাল, আমি ছুটলাম পিছু পিছু। এক পর্যায়ে বাড়ির শেষ সীমানায় পৌছে বিড়ালদুটো কোনঠাসা হয়ে পড়লো, আমি পাখি মুখে থাকা বিড়ালটার ওপর ঝাপিয়ে পড়লাম, বাধ্য হয়ে বিড়ালটা তার শিকার দোয়েল পাখিটা ছেড়ে দিলো। পাখিটা উড়ে গিয়ে পাশের উলট কমল গাছে বসল। পাখিটা গাছে বসে হাপাচ্ছে, বিড়ালটা পালিয়ে বাঁচল আর আমিও চলে এলাম।
একটু পড় ভাবলাম দেখিতো পাখিটা চলে গেল কিনা, গিয়ে দেখলাম সেই একই যায়গায় বসে আছে। ভাবলাম পাখিটা দুর্বল হয়ে গেছে ওকে ধরে একটু সেবা করে সুস্থ্য করে তুলি, এটা ভেবে যেইনা উলট কমল গাছের দিকে এগিয়ে গেলাম অমনি পাখিটা ফুরুৎ, সেই সাথে ঝড়ে পড়ল উলট কমল ফুলের খয়েরি রঙের কয়েকটি পাপড়ি। পাখিটা বোধ হয় কৃতজ্ঞতা স্বরূপ আমাকে ফুলের পাপড়ি দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে গেল।
বরাবরই সাদা বিড়ালটা আমার বাড়ির ভেতরে ঘুরাফেরা করে, প্রতিদিনের ন্যায় আজকে ওকে তাড়িয়ে দিলাম না। মাছ দিয়ে ভালোভাবে ভাত মেখে ওকে খেতে দিলাম। সকালে ওর মুখ থেকে দোয়েল পাখিটি কেড়ে নিয়েছি বলে আজ সে আমার কাছে খাবার পাওনা হয়ে গেছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৪