বাম হাতে চারটি লোহার মোটা বালা, ডান হাতে আবার একটি কম। মাথা থেকে চারদিকে নেমে এসেছে অনেকগুলো চুলের জটা, ঝুলন্ত কালো জটা এবং তার ভেতর কালিমাখা মুখের সাথে পিটপিট করে তাকানো সাদা চোখগুলো যেন কোন অশুভ লক্ষণ। ঙায়ে ম্যাগী হাতার কোটটাতেও কালি মাখানো, তবে দেখে মনে হচ্ছে কোন এক সময় এটা অন্য কোন রং এর ছিল। খালি পায়ের এই লোকের মাথা থেকে পায়ের বেশ বড় সাইজের নোখ পর্যন্ত পুরোটাই কুচকুচে কালো। গলায় ঝুলানো অনেকগুলো পুতির মালার মাঝে ঝুলছে হিন্দু ও মুসলমানদের নানা রকম সাংকেতিক চিহ্ন। তার পরিচয় পত্র হিসেবেও গলায় একটা লিখা লেমিনেটিং করে ঝুলানো রয়েছে। কোমড়ের ডান পাশে ঝুলানো কিছু আরবী লেখা কাসার বাটিটা হাতে নিয়ে মানুষের কাছে কিছু চায়, তবে মুখে রা নেই। বালা পড়া খালি পায়ে থাকা এই লোকের পেছনে অনেকগুলো আগর বাতির প্যাকেট সহ কাল শালু (লাল শালু না) বাবার নানা সামগ্রীতে সয়লাব। আসুন এবার গলায় ঝুলানো ওনার পরিচয়তি পত্রটা পড়ে নেই। তবে পরিচিতি পত্রে নাম যাই থাকুক, আমি ওর নাম দিয়েছি কালী বাবা
মহানগর ইঞ্জিল পাগলা (আমার মনে হয় ইঞ্জিন পাগলা হবে)। মহানগর ইঞ্জিল পাগলা ১২ বছর ইঞ্জিলে থাকতে হবে, এটা আমার গুরুর আদেশ। আমার নাম বিল্লাল হোসেন। খাজা বাবার দরবার থেকে না দিয়াছে ইঞ্জিল পাগলা। আজমিরির খাদেমের হাত ধরে মুরিদ হয়েছি তার নাম মোঃ হাকিম চিস্তী (রঃ) বার বছর জবান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কথা বললে নাক-মুখ দিয়ে রক্ত উঠে মরে যেতে পারে এটা আমার গুরুর আদেশ। আজমির শরীফে যদি কারো কোন মানত থাকে দিতে পারিবেন খাসি এবং মুরগি যে কোন টাকা পয়সা নিয়ত করে দিতে পারেন। ইঞ্জিল পাগলাকে কেউ যদি আঘাত করে তার বড় ক্ষতি হতে পারে, পাগলের উপর জুলুম করলে তার মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। আমার বাবাজানের আদেশে ইঞ্জিলের গরমে থাকিতে হইবে। আমার জন্মস্থান কোলকাতার রানাঘাট। আপনাদের মানতের টাকা আমি কোন খরচ করিব না। এই টাকায় ১৬০ মন এবং ১২০ মন ডেগে তবারক পাক হয়। হাজার হাজার পাগল ফকির খেয়ে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করে কখন কার দোয়া কবুল করে কেউ বলিতে পারে না। এখানে হাজার হাজার লোকের মাঝে একজন আল্লাহর অলি থাকিতে পারে। এই পাগলকে দেখে কেউ গৃণা করবেন না।................আদেশক্রমে হাকিম চিস্তী (রঃ)
আজমির শরীফ খাজা বাবার রওজা শরীফ বাংলাদেশ আগমন দরবারের নম্বর ৯৮২৯০৩৪৮৬২ (ভারত)
(২) রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছে ইঞ্জিল পাগলা।
(৩) ডান হাতের পলিথিননের ঝুলির ভেতরে রয়েছে অনেকগুলো ছবি।
(৪/৫) ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলতে গেলেই ঝুলি থেকে একেক সময় একেকটি ছবি বের করে ছবি নিয়ে সে পোজ দিচ্ছে।
(৬/৭) মানুষজনও ওর সাথে ছবি তুলে বেশ মজা পায়।
(৮) কেউ কেউ আবার টুলে বসিয়ে আদর আপ্যায়ন ও করে।
(৯) ইঞ্জিল পাগলার পরিচিতি।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৫৬