এবার বান্দরবান ভ্রমণে আমিই দলনেতা, শেষ মুহুর্তে তুহিন ভাই আমাদের সাথে যোগ দেওয়ায় আমি ওনার কাধে দলনেতার দায়িত্ব দিয়ে নির্ভার হয়ে যাই। কারণ আমি সব সময় ব্যাস্ত থাকি ক্যামেরা নিয়ে, আর তুহিন ভাই ফুটবলার মানুষ, পেটানো শরীর আর বড় মায়াভড়া মন, এমন কি ওনার কাঁধে চড়ে ছোট নদী পার হওয়ার অভিজ্ঞতাও আছে আমার। এমন লোকের কাছে দায়িত্ব থাকলে নো টেনশন। বান্দরবানে দুটি বিখ্যাত বৌদ্ধ মন্দির রয়েছে, একটা হল স্বর্ণ জাদী বা স্বর্ণ মন্দির অন্যটি রাম জাদী। বিশেষ কারণে স্বর্ণ জাদী বন্দ থাকায় ওখানে যেতে পারিনি, তাই ছুটে গেলাম রোয়াংছড়ির রাম জাদী, কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হল আমাদের দলনেতা তুহিন ভাই থ্রীকোয়ার্টার প্যান্ট পড়ার কারণে ওখানে ঢুকতে পারেনি। রাম জাদী এখনো নির্মানাধীন রয়েছে বলে এখানকার পুড়ো সৌন্দর্য্য এখনো পুরোপুরি ফুটে উঠেনি, তো আসুন ঢুকে পড়ি রাম জাদীর ছবি পোষ্টে।
(২) বান্দরবান শহর থেকে ৩/৪ কিলোমিটার গেলেই রোয়াংছড়ি উপজেলার সিমানা শুরু, রোয়াংছড়িতে স্বাগতম লিখা প্রবেশ পথ। এই পথের অনতি দূরেই রাম জাদীর অবস্থান।
(৩) রাম জাদীর প্রধান প্রবেশ পথ।
(৪) প্রবেশ পথের পাশেই চমৎকার কারুকার্য্য খচিত রাম জাদীর সাইনবোর্ড।
(৫) প্রবেশ পথের সামনে নীচে দাঁড়িয়ে এমনি দেখায় পাহাড়ের উপড়ের মূল মন্দিরটাকে।
(৬) দীর্ঘ আকা বাঁকা সিড়ি বেয়ে উপরে উঠতে হয় উপরের মন্দিরে।
(৭) মাঝপথে পড়বে এই লম্বা টাওয়ারটি।
(৮) টাওয়ারটির নিচে সিংহ এবং আর একটু উপরে কিছু দেবদেবীর প্রতিকৃতি তৈরী করা আছে।
(৯) মূল মন্দিরের পাশে থেকে তোলা ছবি।
(১০) সিড়ি বেয়ে ক্লান্ত হলেও এমন চমৎকার ফুলদের দেখা পেলে নিমিষেই শরীরটা জুড়িয়ে যায়।
(১১/১২) পাহাড়ের উপর বেশ বড় একটা অংশ সমতল, ওখানে মূল মন্দিরের পাশেই রয়েছে বিশাল এই ঘন্টাটি।
(১৩/১৪) পুণ্যার্থীদের জন্য মন্দিরের পাশেই নির্মিত হচ্ছে এমন বেশ কিছু স্থাপনা।
(১৫) উপড়ের ঝোপঝাড়ের মধ্যে এমন কিছু প্রাণীও বসবাস করে।
(১৬) মন্দির চত্বরে থেকে নিচের দিকের তোলা ছবি।
(১৭) এখান থেকে নীলাচলকে এমন দেখায়।
(১৮) আর নিলাচল থেকে রাম জাদীকে দেখায় এমন।
(১৯) পাশের পাহাড়ে আরো একটি সুন্দর বোদ্ধ মন্দির রয়েছে।
(২০) ওখান থেকে নেমে চান্দের গাড়িতে বসে রাম জাদীর শেষ ক্লিক এটা।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:১০