প্রকৃতির সৌন্দর্যের সাথে আমার প্রেম । বনে বাঁদাড়ে ঘুরে বেড়াই, পাখি দেখি, ফুল দেখি, আর মাঝে মাঝে ছবি তোলার চেষ্টা করি। ইচ্ছে করে পাহাড়ে হেলান দিয়ে নীল আকাশ দেখি, ইচ্ছে করে ঘাস ফুলদের সাথে চুপি চুপি কথা বলি, ইচ্ছে করে সাগর, নদী খাল-বিলে সাতার কাটি রাজহংসের মতো। ইচ্ছে করে বাংলার প্রতিটি ইঞ্চি মাটির সুবাস নেই।
ইচ্ছেগুলো কতটা সফল হবে জানিনা, তবে সংসারের যাতাকল থেকে সুযোগ পেলেই আমি হারিয়ে যাই আমার ইচ্ছে ভুবনে । সেই সাথে আমার দেখা সৌন্দর্যকে ধরে রাখার জন্য তুলে রাখি অঢেল ছবি, আর সেই ছবিগুলো নিয়েই আমার বনে বাঁদাড়ে সিরিজটা শুরু করলাম, আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
(২) পবিত্র মদিনা নগরীর একটা রাজপথ।
(৩) নাম না জানা একটি ফুল, এই ছবিটা শেরেবাংলা নগরের বৃক্ষ মেলা থেকে তুলেছি।
(৪) থানচি নৌকা ঘাট, বান্দরবানের থানচি থেকে তোলা ছবি।
(৫) দুবাইয়ের আকাশে উকি দিচ্ছে ভোরের সূর্য্য, বিমানে থেকে তোলা ছবি।
(৬) বাংলাদেশের সীমানার সর্ব দক্ষিণের দ্বীপ সেন্টমার্টিন থেকে তোলা ছবি।
(৭) পাগলের মেলা, বাবা লোকনাথের আশ্রম বারদী থেকে তোলা ছবি।
(৮) প্রজাপতির এই ছবিটা তুলেছি বান্দরবানের শৈলপ্রপাতের পাশ থেকে।
(৯) তিলা মুনিয়া (বৈজ্ঞানিক নাম: Lonchura punctulata) বা তিলে মুনিয়া Estrildidae (ইস্ট্রিল্ডিডি) গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত Lonchura (লঙ্কুরা) গণের অন্তর্গত এক প্রজাতির ছোট তৃণচর পাখি। তিলা মুনিয়ার বৈজ্ঞানিক নামের অর্থ তিলা সুঁইলেজ (গ্রিক; lonkhe = সূঁচালো, ura = লেজ; লাতিন: punctulatus = তিলাযুক্ত)। পাখিটি বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে দেখা যায়। এছাড়া কয়েকটি দেশে পাখিটি অবমুক্ত করা হয়েছে। সারা পৃথিবীতে এক বিশাল এলাকা জুড়ে এদের আবাস, প্রায় ৭১ লক্ষ ৯০ হাজার বর্গ কিলোমিটার। বিগত কয়েক দশক ধরে এদের সংখ্যা স্থির রয়েছে, আশঙ্কাজনক পর্যায়ে যেয়ে পৌঁছেনি। সেকারণে আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত। Lonchura গণের অন্যসব প্রজাতির মত এদের উৎপত্তিও সম্ভবত এশিয়ায়। বিশ্বজুড়ে শখের পোষা পাখি হিসেবে এরা বেশ জনপ্রিয়।........এটা আমার বাড়ির সামনের তাল গাছের ডগা থেকে তোলা ছবি।
(১০) কমলা বাগান, মৌলভীবাজারের জুরী উপজেলা থেকে তোলা ছবি।
(১১) মাছ ধরা, কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী নদী থেকে তোলা ছবি।
(১২) মাছরাঙ্গা, নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার জয়নগর থেকে তোলা ছবি।
(১৩) আশশেওড়া মটকিলা গাছের ফল, নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার বিরিশিরি থেকে তোলা ছবি।
(১৪) বিরিশিরির সাদা মাটি বা চিনা মাটির পাহাড়, সাদা মাটির পাহাড় হলেও এটার গায়ের রং সাদা, গোলাপী, হলুদ, বেগুনি, খয়েরী, নিলাভ বিভিন্ন রংয়ের, যা দেখলে চোখকে জুড়িয়ে দেয়।
(১৫)খানজাহান আলী সেতু, রূপসা নদীর উপর নির্মিত একটি সেতু। এটি রূপসা ব্রিজ নামেও পরিচিত। খুলনা শহরের রূপসা থেকে ব্রিজের দূরত্ব ৪.৮০ কি.মি। এই সেতুকে খুলনা শহরের প্রবেশদ্বার বলা যায় কারণ এই সেতু খুলনার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলির বিশেষত মংলা সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। সেতুটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১.৬০ কি.মি.। সেতুটিতে পথচারী ও অযান্ত্রিক যানবাহনের জন্য বিশেষ লেন রয়েছে। বর্তমানে এটি খুলনার একটি দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। রাতে সেতুর উপর থেকে খুলনা শহরকে অপূর্ব সুন্দর মনে হয়। উৎসবের দিনগুলোতে এই সেতুতে তরুণ-তরুণীরা সেতুতে ভিড় করেন ও আনন্দ করেন। জাপানী সহায়তায় নির্মিত সেতুটির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং উদ্বোধন করেন খালেদা জিয়া।
(১৬) ভেড়ার ছানা, নরসিংদীর মাধবদী থানার বালুচর গ্রাম থেকে তোলা ছবি।
(১৭) নৌকা, অলস পড়ে থাকা নৌকাগুলোর ছবি তুলেছি নরসিংদী সদর থানার আলীপুরা গ্রাম থেকে।
(১৮) শিমুল গাছের নিচ দিয়ে হেটে যাচ্ছে দু'জন ছাত্রী, এই ছবিটা তুলেছি ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার বাহাদুরপুর গ্রাম থেকে।
(১৯) নৌকার এই ছবিটা নারায়ণগঞ্জে বন্দর থেকে থেকে তুলেছি।
(২০) পেয়ারা ফুল, ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার বাহাদুরপুর গ্রাম থেকে তোলা ছবি।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৩১