থিম্পু ভুটানের পশ্চিম অংশে অবস্থিত দেশটির রাজধানী শহর। শহরটি হিমালয় পর্বতমালার একটি উঁচু উপত্যকায় অবস্থিত। থিম্পু শহরটি আশেপাশের উপত্যকা এলাকায় উৎপাদিত কৃষি দ্রব্যের একটি বাজার কেন্দ্র। এখানে খাবার ও কাঠ প্রক্রিয়াজাত করা হয়। থিম্পু দেশের অন্যান্য অংশ এবং দক্ষিণে ভারতের সাথে একটি মহাসড়ক ব্যবস্থার মাধ্যমে সংযুক্ত। তবে শহরটির সাথে বিমান যোগাযোগের ব্যবস্থা নেই। থিম্পুতে ভুটানের রাজপ্রাসাদ এবং দেশের বৃহত্তম বৌদ্ধমন্দিরগুলির একটি অবস্থিত। অতীতে থিম্পু দেশটির শীতকালীন রাজধানী ছিল (পুনাখা ছিল গ্রীষ্মকালীন রাজধানী)। ১৯৬২ সালে শহরটিকে দেশের স্থায়ী প্রশাসনিক কেন্দ্রে পরিণত করা হয়।
থিম্পুতে দুইদিন সারাদিন ঘুরেছি। ছবির মতো সুন্দর ভুটানের রাজধানীর কিছু ছবি নিয়েই আমার আজকের ছবি ব্লগ।
(২) থিম্পুতে ঢোকার আগেই এই তোরণ সবাইকে স্বাগত জানায়।
(৩/৪) ক্লক টাওয়ার বা টাইম স্কয়ার, এটা থিম্পুর প্রাণকেন্দ্র। বিভিন্ন উৎসবে এখানে অনুষ্ঠানাদি হয়।
(৫) থিম্পুর চ্যাংলিমিথ্যাং স্টেডিয়াম।
(৬/৭) পাহাড়ের বাঁকে বাঁকে উঁচু নিচু রাস্তাগুলো অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন।
(৮) এটা থিম্পুর একমাত্র বাসষ্টপেজ।
(৯/১০) পাহাড় চূড়ায় স্থাপিত বিশালাকার এই বৌদ্ধ মূর্তিটি থিম্পুর প্রায় সব স্থান থেকেই দেখা যায়।।
(১১) বিশালাকার বৌদ্ধ মূর্তিটি যে পাহাড়ে স্থাপিত ওখানে থেকে থিম্পু শহরটার সব কিছু ছবির মতো দেখা যায়। চুড়া থেকে পুরা থিম্পু শহরটিকে অপূর্ব লাগে, শহরের মাঝ দিয়ে বয়ে চলেছে থিম্পু নদী। চারি দিকে দাঁড়িয়ে আছে ঘন সবুজ রঙের পাহাড়, তাদের মনে হয় এই শহরটির অতন্দ্র প্রহরী।
(১২) পাহাড়ের উপড় দাঁড়িয়ে দেখা রাতের থিম্পু।
(১৩) থিম্পুর একটি সিনেমা হল।
(১৪/১৫) টাইম স্কয়ারে কবুতরকে খাবার দিচ্ছেন একজন মহিলা, আর হাজারো কবুতর উড়ে আসছে সেই কাবার খেতে।
(১৬) বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কোন ধর্মগুরু গাড়িতে করে আসছিলো আর রাস্তার পাশে শত শত লোক দাঁড়িয়ে ওনার জন্য অপেক্ষা করছিল।
(১৭/১৮) একটি বাগান থেকে তোলা কিছু ফুল ও একটি পপি ফল।
(১৯) স্বচ্ছ জলধারার (থিম্পু চু) থিম্পুর পাথুরে নদী।
(২০) থিম্পুর একমাত্র ট্রাফিক পুলিশ। থিম্পুতে ট্রাফিক পুলিশ আদৌ দরকার আছে কিনা তা নিয়ে আমি সন্দিহান। বেশ কয়েকবার এমন হয়েছে যে, আমরা রাস্তা পার হওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে আছি, কোন ট্যাক্সি ড্রাইভার তা বুঝতে পারলে গাড়ি দাড় করিয়ে আমাদেরকে আগে যেতে দিয়েছে।
(২১) থিম্পুর আর্চারি গ্রাউন্ড। তীরন্দাজদের ১৫০/২০০ মিটার দূরের নিশানা নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। আর্চারি ভুটানের জাতীয় খেলা।
(২২) অনেক তো ঘুরা হল, এবার একটু জিরিয়ে নেই
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৮