প্রকৃতির সৌন্দর্যের সাথে আমার প্রেম । বনে বাঁদাড়ে ঘুরে বেড়াই, পাখি দেখি, ফুল দেখি, আর মাঝে মাঝে ছবি তোলার চেষ্টা করি। ইচ্ছে করে পাহাড়ে হেলান দিয়ে নীল আকাশ দেখি, ইচ্ছে করে ঘাস ফুলদের সাথে চুপি চুপি কথা বলি, ইচ্ছে করে সাগর, নদী খাল-বিলে সাতার কাটি রাজহংসের মতো। ইচ্ছে করে বাংলার প্রতিটি ইঞ্চি মাটির সুবাস নেই।
ইচ্ছেগুলো কতটা সফল হবে জানিনা, তবে সংসারের যাতাকল থেকে সুযোগ পেলেই আমি হারিয়ে যাই আমার ইচ্ছে ভুবনে। সেই সাথে আমার দেখা সৌন্দর্যকে ধরে রাখার জন্য তুলে রাখি অঢেল ছবি, আর সেই ছবিগুলো নিয়েই আমার বনে বাঁদাড়ে সিরিজটা শুরু করলাম, আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
(২) সাগরের বালু চেলে ঝিনুক সংগ্রহ করছে কয়েকটি শিশু, ইনানী বীচ আর শিলখালী বীচের মাঝামাঝি কোন একটা জায়গা থেকে তোলা ছবি।
(৩) নাম না জানা ছোট্ট পাখি, ধরাভাঙ্গা গ্রামের এমপি টিলা এলাকার মেঘনা নদীর পাড় থেকে তোলা ছবি।
(৪) সুন্দর বনের শেষ সীমানায় সাগর আর কুঙ্গা ও মরা পশুর নদের মোহনায় দুবলার চরের শুটকি পল্লী।
(৫) ত্রিশূলী নদী, দুই পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে প্রবল বেগে বয়ে চলা পাহাড়ি এই নদীর ছবিটি তুলেছি কেবল কারে বসে। নেপালের গোর্খা জেলার মনকামনা মন্দিরের পাশ থেকে।
(৬) ছোট বসন্ত বাউরি, আকারে চড়ুই পাখির চেয়ে বড় নয়, তবে তার ডাক শুনে তা বোঝার উপায় নেই। এত উচ্চৈঃস্বরে এরা ডাকে যা শুনলে মনে হবে না জানি কোন বিরাট পাখি! ‘টুক্-টুক্-টুক’ এই আওয়াজ অনেক দূর থেকে শোনা যায়। পাখিটা দেখতে ভারি সুন্দর। আমাদের দেশে সারা বছরই এর দেখা মেলে। তবে সাধারণত বসন্তকালে এদের ঘোরাফেরা বেশি নজরে পড়ে। সে কারণেই সম্ভবত এর নাম বসন্ত বাউরি। বছরের অন্য সময়ও এদের দেখা যায়, তবে কিছুটা কম। এটা আমার বাড়ির পাশ থেকে তোলা ছবি।
(৭) মিষ্টি পান, আখাউড়ার খড়মপুরে অবস্থিত কেল্লা শহীদ মাজার থেকে তোলা ছবি।
(৮) ছোট সোনা মসজিদ, এটি বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন মসজিদ। প্রাচীন বাংলার রাজধানী গৌড় নগরীর উপকন্ঠে ফিরোজপুর গ্রামে এ স্থাপনাটি নির্মিত হয়েছিলো, যা বর্তমান বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার অধীনে পড়েছে। সুলতান আলা-উদ-দীন শাহ এর শাসনামলে (১৪৯৩-১৫১৯ খ্রিস্টাব্দ) ওয়ালী মোহাম্মদ নামে এক ব্যক্তি এই মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। মসজিদের মাঝের দরজার উপর প্রাপ্ত এক শিলালিপি থেকে এ তথ্য জানা যায়। তবে লিপির তারিখের অংশটুকু ভেঙ্গে যাওয়ায় নির্মাণকাল জানা যায়নি। এটি কোতোয়ালী দরজা থেকে মাত্র ৩ কি.মি. দক্ষিণে। মসজিদটি মুসলিম স্থাপত্যের অন্যতম নিদর্শন। এটি হোসেন-শাহ স্থাপত্য রীতিতে তৈরী।
(৯) সেন্টমার্টিন, সেন্টমার্টিন একটি ছোট দ্বিপ যা,বাংলাদেশের সীমানার সর্ব দক্ষিণে অবস্থিত। নয়নাভিরাম সৌন্দর্য অবলোকনের ও ভ্রমণের একটি আকর্ষনিয় পর্যটন এলাকা। এটি বঙ্গপোসাগরের উওর-পূর্ব অংশে এবং কক্সবাজারের টেকনাফ হতে ৯ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। আরবের কিছু নাবিক ২৫০ বৎসর পূর্বে এটি আবিস্কার করে। তারা এটিকে “জাজিরা” নামকরণ করেন। বৃটিশ শাসনের সময়কালে এটিকে পুনরায় “সেন্টমার্টিন” দ্বিপ নামে নামকরণ করা হয়। দ্বিপটির স্থানীয় নাম নারিকেল জিনজিরা।
(১০) রাঙামাটি শহরের আদিবাসী মহিলাদের ভাসমান দোকান।
(১১) বুলবুলি, নরসিংদীর পলাশ থানার সোনর গ্রাম থেকে তোলা ছবি।
(১২) সোনাদিয়া দ্বীপ, কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলা থেকে তোলা ছবি।
(১৩) বানরের ঘোড়া, বাংলাদেশে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বৃহত্তম বিহার রাঙামাটির রাজবন বিহার থেকে তোলা ছবি, এখানে প্রচুর বানর রয়েছে।
(১৪) আদিবাসী কুঁড়ে, রোনিন পাড়া, রোয়াংছড়ি, বান্দরবান থেকে তোলা ছবি।
(১৫) ২য় ধলেশ্বরী সেতু, মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের কুচিয়ামোড়ায থেকে তোলা ছবি।
(১৬) খেয়া ঘাট, গোলপাড়ার বন ও গোলপাটার ছাউনি দেয়া রুপসা নদীর এই খেয়া ঘাট দিয়ে অপর পাড় থেকে মানুষজন খুলনা শহরে আসে।
(১৭) বৃষ্টি ভেজা চা শ্রমিক, তেলিয়াপাড়া থেকে তোলা ছবি।
(১৮) গেছো শামুক, বগালেক থেকে চিংড়ি ঝর্ণা যাবার পথে কোন এক জায়গা থেকে তোলা ছবি।
(১৯) নিঝুম দ্বীপ, হাতিয়া, নোয়াখালী থেকে তোলা ছবি।
(২০) লালা খাল, লালা খাল প্রাকৃতিক সৌর্ন্দযের এক অপরুপ লীলাভুমি। নদী আর পাহাড় মেলবন্ধন। নদীর টলটলে স্রোতস্বীনি জল আর পাহাড়ের গা বেয়ে নেমে আসা ঝর্ণাধারা, এ যেন প্রকৃতির এক মায়াময়ী রূপ সৌর্ন্দয। নদীর জলে নৌকার গলুইয়ের উপর বসে পাহাড় দেখার সৌর্ন্দযই আলাদা। ছোট এ নদীর জল নজরকাড়া।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:৩৭