‘‘তেতুলিয়া’’ চার অক্ষরে একটি নাম যা দেশের সকলের নিকট এক নামে পরিচিত। জনশ্রুতি আছে যে, প্রাচীন কালে এ এলাকায় প্রচুর তেতুল বৃক্ষ ছিল। তেতুল গাছের ছায়ায় বসে পথিকেরা বিশ্রাম নিত। এক সময়ে এখানে একজন বিশিষ্ট ইংরেজ বনিক বাস করত। তার বাবার নাম ছিল টিটু এবং তার বাসগৃহ ছিল একটি উঁচু টিলার উপর। সেখানে একটি তেতুল গাছ ছিল। কালক্রমে সেই ইংরেজ বনিকের বাবার নাম ‘‘টেটু’’ এবং তেঁতুল তলা হতে ‘‘লিয়া’’ এ দু’শব্দের সমন্বয়ে এ জনপদের নামকরন হয় ‘‘তেতুলিয়া’’। অথবা, তেতুলিয়া ছিল প্রচুর তেতুল গাছ। প্রজাদের মধ্যে যারা সঠিক সময়ে খাজনা দিতে পারত না জমিদাররা তাদেরকে তেঁতুলগাছের গোঁড়ায় বাঁধে রাখতো। আর এ কারণেই নাকি তেতুলিয়ার নামকরণ করা হয়।
নামকরণের কারণ যাই থাক বাংলাদেশের সবচেয়ে উত্তরের উপজেলা তেতুলিয়া যাওয়ার ইচ্ছেটা ছিল অনেক দিনের। কারণ, তেতুলিয়ায় দাড়িয়ে নাকি দেখা যায় হিমালয়, তিব্বত, আর নেপালের অপরূপ কাঞ্চনজঙ্গা। তবে আমার ভাগ্যটা এতো সুপ্রসন্ন ছিলোনা যে আমি ভিসা ছাড়া কাঞ্চজঙ্গা দেখে ফেলবো, শীতের সময় হওয়ার পুরো এলাকাই ছিলো কুয়াশায় ঢাকা।
(২) তেতুলিয়ার আশপাশটা ঘুরে দেখার জন্য এমন বাহনের বিকল্প নাই।
(৩) তেতুলিয়া এসেই প্রথম দেখা পেলাম এই বাসর ফুলের, অথচ আরো ১৯ বছর আগে দেখা পাওয়ার কথা ছিলো।
(৪) এটা তেতুলিয়া সিমান্তের বিজিবিদের ওয়াচ টাওয়ার।
(৫) ওয়াচ টাওয়ার পেরিয়ে পাসপোর্ট ভিসা ছাড়া আমি এখন ভারতের সিমান্তের ভেতরে।
(৬) তেতুলিয়া ডাকবাংলো পিকনিক স্পট।
(৭) মমতা ফুচকা হাউজে কিছু খেয়ে কিছুটা চাঙ্গা হয়ে নিলাম।
(৮) ফুচকা হাউজের পেছনের এই শক্ত পোক্ত বেঞ্চগুলো থেকে নিচে নামলেই ভারত।
(৯) বেঞ্চগুলোর পাশে এই এঙ্গেলে দাঁড়িয়েই নাকি মহানন্দা পেরিয়ে দেখা যায় নেপালের কাঞ্চজঙ্গা, কিন্তু শীতের সময় হওয়ার পুরো এলাকাই ছিলো কুয়াশায় ঢাকা।
(১০) ওরা মহানন্দা থেকে পাথর তুলে আনে গাড়ির বাতাস ভড়া টিউব দিয়ে, এমনটা আগে আর কোথাও দেখিনি।
(১১) টিউবে ভাসিয়ে নিয়ে আসছে মহানন্দার বুক থেকে তোলা পাথর।
(১২) সকাল বেলা তেতুলিয়ার তেতুল তলার বসার আসন গুলো থাকে এমনি ফাঁকা।
(১৩) আবার সন্ধ্যায় থাকে বেশ জমজমাট।
(১৪/১৫) একই কিলোমিটার পোষ্টের দুই পার্শ, এবার যাবো ১৭ কিলোমিটার দূরের বাংলাবান্ধায়।
(১৬/১৭) বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্টের প্রায় দুই কিলোমিটার আগে বাসষ্টেন্ড ওখানে বাস থেকে নেমে দার্জিলিং হোটেলে খিচুরী আর ডিম ভাজি দিয়ে ভরপেট খেয়ে নিলাম আগে।
(১৮) সিমান্ত ঘেষে হালচাষ করছে একজন বাংলাদেশী কৃষক।
(১৯) বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের বাংলাবান্ধার শেষ দোকান এটি, এই দোকান থেকে পশ্চিমে কুলি করলে ভারতের সিমানায় পড়বে পানি।
(২০) বাংলাবান্ধার জিরো পয়েন্টে বানিয়ে রাখা বিশাল জিরো এটি। বাংলাবান্ধা থেকে ভারতের শিলিগুড়ি শহর মাত্র সাত কিলোমিটার এবং দার্জিলিং মাত্র ৬৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। আর বাংলাবান্ধা থেকে নেপালের কাকরভিটা সীমান্ত মাত্র ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে।
(২১) পেছনে বাঁশ দিয়ে বাধা বাংলাদেশের শেষ সিমানা, আমাদের ফেরৎ আসার জন্য এই অটো বাইকে চড়তে হবে দুই কিলোমিটার দূরের বাসষ্টেশনে যাওয়ার জন্য।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১৪