আপেল কাশ্মীর উপত্যকার অন্যতম অর্থকরী ফল। কাশ্মীরের নিচু পাহাড়গুলোর ভাঁজে ভাঁজে রোদ-ছায়ার খেলা লাল সবুজ আপেলের মিতালি দেখতে সত্যিই মনোরম। কাশ্মীরি ভাষায় আপেলকে বলা হয় ‘চুঁওট’। শীতল আবহাওয়ায় এর ফলন হয় বলে একে বলা হয় টেম্পরেচার ফ্রুটস । আগস্টের শুরুতেই দু’একটা গাছে আপেল পাকা শরু হয় । আগস্ট থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত গাছ পাকা তাজা আপেল কেনা যায় কাশ্মীরের বাজারগুলোতে। কাশ্মীরের বাজারে আপেলর দাম প্রতি কেজি ১০-২০ রুপি । শ্রীনগর থেকে জম্মু-শ্রীনগর হাইওয়ে ধরে ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে দুটি জেলার নাম অনন্তনাগ (স্থানীয়রা বলে ইসলামাবাদ) আর কুলগাঁও। এই দুই জেলায়ই উৎপন্ন হয় সবচেয়ে বেশি এবং উন্নত জাতের আপেল। পাহাড়ি এলাকার পথগুলোতে ভয়ঙ্কর সব বাঁকে পথ চলা কষ্টকর হলেও আশে পাশের সৌন্দর্য দেখে আপনি বলে উঠবেন এই পথ যদি না শেষ হয়……
তবে কাশ্মীর সম্পর্কে যতটুকু জেনেছি তাতে বুঝে গেছি কমপক্ষে তিনবার কাশ্মীর না গেলে কাশ্মীরকে পূর্ণরূপে দেখা সম্ভব নয়। প্রথমটা হলো আগস্ট থেকে নভেম্বর মাস, যখন শীতের প্রকোপ খুবই কম থাকে আর গাছে গাছে থাকে পাকা লালরঙা আপেল। দ্বিতীয়টা হলো ডিসেম্বর জানুয়ারী, যখন ওখানে তুষার ঝরে। তৃতীয়টা হলো এপ্রিল যখন সবগুলো পাহাড়ের মাথায় থাকবে বরফের সাদা টুপি আর আনন্দে হাসবে টিউলিপরা। একটা পূরণ হয়েছে, বাকী দুটোর অপেক্ষায় আছি।
এবার আসুন আমার কাশ্মীর ভ্রমণে তোলা কিছু আপেলের ছবি দেখি।
(২) আপেল গাছগুলো বড় হতে অনেক সময় নেয়, তাছাড়া ওরা আপেল গাছ জাতে খুব উঁচু না হয় বরঞ্চ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে ডাল কেটে সেই ব্যবস্থা করে দেয়।
(৩/৪) গাছের নিচে বসে উপরের দিকে তাকালে গাছগুলোকে এমন দেখায়।
(৫/৬) সবুজ সাদা কিংবা লাল সব রকম আপেলই বাগান গুলোতে রয়েছে।
(৭/৮) আপেলের ভারে যাতে ডাল ভেঙে না যায় যে জন্য গাছগুলোতে অনেক খুটি লাগানো থাকে।
(৯) সকালের সোনা রোদে চকচক করছে আপেলগুলো।
(১০) গাছ থেকে আপেল সংগ্রহ করছে এক কাশ্মীরি নারী।
(১১/১২) রপ্তানীর জন্য তৈরী হচ্ছে আপেল।
(১৩/১৪) হরেক রকম আপেল, কোনটা গোলাকার কোনটা চ্যাপ্টা।
(১৫/১৬) কিছু কিছু গাছে এতো বেশী আপেল হয়েছে যে, ভাবতে সত্যিই বিশ্ময় লাগে।
(১৭) সব শেষে সাদা মনে আমার আপেল বাগানে দাঁড়িয়ে থাকা একটা ছবি
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:১৩