দেশের ভেতর টুকটাক ভ্রমণ করি প্রায়ই, তবে বিদেশে ভ্রমণ করার সাধ থাকলেও সাধ্য কম। তাছাড়া দেশটাকে ভালোভাবে না দেখে বিদেশে ছুটে যাওয়াটা আমি শ্রেয়ও মনে করিনা। আমাদের দেশে এতো এতো সুন্দর জায়গা রয়েছে যে, এগুলো না দেখেই ব্যয়বহুল বিদেশে ছুটে যাওয়াটা আমি বোকামী বলেই মনে করি। আমার কিছু বন্ধু বান্ধব আছে যারা কয়েকদিন পর পর বিদেশ ভ্রমণ করে, তাদের দেখাদেখি আমারও ইতিমধ্যে কয়েকটি দেশে যাওয়া হয়ে গেছে। আর ঘুরাফেরার সাথে সাথে ছবি তোলার নেশাটাও আমার একটা বড়ো নেশা, যে নেশার কারণে এখন আমার ষ্টকে আছে লক্ষাধিক ছবির এক বিশাল ভান্ডার। আজ সেই ভান্ডার থেকে ঢাকা টু নেপাল ভ্রমণের কয়েকটি ছবি নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম।
(২) কাঠমুন্ডুতে আমাদেরকে নিয়ে যাবে যে বিমানটি।
(৩) জীবনের প্রথম নেপাল যাওয়ার জন্য এয়ারপোর্টে যাওয়ার পর দেখলাম বিমান মেরামত করছে, যার জন্য আমাদের দেরী হলো ৪ ঘন্টা।
(৪) মেরামতি শেষ, এবার গ্লাসটা মুছে না নিয়ে পাইলট অন্য বিমানকে কিভাবে সাইট দেবে?
(৫) এবার বিমান রানওয়ে ধরে ছুটে চলছে, জানালার ধারে বসতে পারায় আমার ক্যামেরাও ছুটে চলছে ক্লিক বাজীতে।
(৬) বিমান আস্তে আস্তে উপরে উঠছে আর ঢাকা শহর ক্রমান্বয়ে ছোট হচ্ছে।
(৭/৮) কোনটা যে কোন এলাকার ছবি তা উপরে থেকে বুঝা বড় দায়।
(৯) নীচের পৃথবী ক্রমান্বয়ে ঝাপসা হচ্ছে।
(১০/১১) এক সময় আমরা পুরোপুরি চলে গেলাম মেঘের দেশে।
(১২) দূরে মেঘের ভেতর কোন একটা বরফ ঢাকা পর্বত চূড়া দেখা যাচ্ছে।
(১৩) ফিতের মতো আঁকাবাকা নাম না জানা কোন নদী সুর্যের আলোয় চিকচিক করছে।
(১৪) সব শুধু বাইরের ছবি না তুলে ভেতরের স্মৃতিও তো কিছু রাখতে হয়।
(১৫) নেপালের দিকে বিমানটা মনে হয় নামতে শুরু করেছে।
(১৬) পাহাড়ের উপত্যকায় কিছু বাড়িঘর আর ক্ষেতখামার দেখা যাচ্ছে।
(১৭/১৮) নীচের ছবি দেখে বুঝা যায় আমরা শহুরে এলাকায় প্রবেশ করেছি।
(১৯) ত্রিভূবন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে বিমান ল্যান্ড করার পর তোলা পাশের ছবি, সুন্দর এমন পাহাড় বেষ্টিত এই এয়ারপোর্ট।
(২০) বিমানের পাশেই সিড়ি এসে লাগলো, আকাশের নীড় ছেড়ে কাঠমুন্ডুর মাটিতে নেমে এলাম এই সুড়ঙ্গ পথে।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪১