নাইক্ষংমুখ। যাহারা বান্দরবানের পাহাড়-পর্বত ট্র্যাক করে অভ্যস্থ তারা খুব ভালো করেই জানেন, এটাকে স্বর্গ বললেও কম বলা হবে। আমাদের রুট ছিলো সাজাই ভ্যালি থেকে সাত ভাই খুম, নাইক্ষংমুখ হয়ে আমিয়াখুম। খুব ভোরে সাজাই ভ্যালী থেকে রওয়ানা হয়ে পাহাড়ি দূর্গমতাকে অতিক্রম করে সাতভাই খুম পার হয়ে নাইক্ষংমুখ এসে পৌছি।
আমিয়াখুমের স্বর্গীয় জলপ্রপাত দেখতে হলে নাইক্ষংমুখ থেকে পতিত জলপ্রপাতের ভয়ঙ্কর শীতল জলে ভেলা ভাসানো ছাড়া উপায় নাই। কারণ দুই পাশেই আকাশ ছোয়া খাড়া পাথুরে পাহাড়, তার উপর মেঘের আনাগোনায় সেগুলো ভিজে ভয়ঙ্কর রকম পিচ্ছিল হয়ে আছে।
আমাদের গাইড বাঁশের ভেলা নিয়ে হাজির হলে আমরা দুজন করে পার হয়ে যাচ্ছিলাম, আমি যখন ভেলায় থাকবো সেই দৃশ্য ধারণ করার জন্য আমার সখের ক্যামেরাটা আমাদের মধ্যে সব চেয়ে শক্তপোক্ত সাহাদাত ভাইকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম।
তো আমাদের ভেলা যখন সেই খড়স্রোতা পানি দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল, হঠাৎ একটা ঝপাৎ শব্দ, পিছনে তাকিয়ে সাহাদাৎ ভাইকে আর দেখতে পেলাম না।
নোটঃ ১ম ছবিটা নাইক্ষংমুখের, ২য় ছবিটা সাত ভাই খুমের, ৩য় ছবিটা নাইক্ষংমুখ থেকে ভেলায় চড়ে যখন যাচ্ছিলাম, পিচ্ছিল পাথর থেকে নাইক্ষংমুখের খড়স্রোতা শীতল জলে পড়ে যাওয়ার আগে এই ছবিটা সাহাদাৎ ভাইয়েরই তোলা। পরে মৃত ক্যামেরার ম্যামোরি কার্ড থেকে সংগ্রহ করেছিলাম, ৪র্থ ছবিটা আমিয়াখুমের।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৪৭