বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চুড়া সাকা হাফং এর পথে আমাদের ট্র্যাক রুট ছিলো রুমা-বগালেক-কেওকারাডাং-বাকলাই পাড়া-শিমপ্লাম্পতি পাড়া-থানদুই পাড়া-নয়াচরন পাড়া-হানজরাই পাড়া-নেফিউপাড়া হয়ে সাকা হাফং। আমাদের ট্ট্যাক রুটে পড়ার কারণেই শিমপ্লাম্পতি পাড়া যাওয়া হয় আমাদের খুব স্বল্প সময়ের জন্য। তবে এই অল্প সময়েই আমি ওই ছোট্ট পাহাড়ি গ্রামটার প্রেমে পড়ে গেছি।
শিমপ্লাম্পতি পাড়াটা তাজিংডং বা বিজয় পাহাড়ের একেবারে পায়ের কাছে অবস্থিত। পাহাড়ের ঢালে ছবির মতো আঁকা সুন্দর একটি গ্রাম এই শিমপ্লাম্পতি পাড়া। সাত দিনের ট্র্যাকিংএ আমাদের ক্যামেরা চার্য দেওয়ার সুযোগ না থাকায় খুব হিসেব করেই ছবি তুলেছি, সেই স্বল্প নিয়েই আজকের পোষ্ট।
(২/৩) বাকলাই পাড়া আর্মি ক্যাম্পে রিপোর্ট করে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি সিমত্লাম্পির দিকে।
(৪) পাহাড়ে ফুটে থাকা ফুলগুলো আমাদেরকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছিলো।
(৫) পাহাড়ি গয়ালগুলো দেখলেই ভয় লাগে।
(৬) ক্লান্তি দূর করতে একটু জিরিয়ে নেওয়া ও খাওয়া আমাদের একই সাথে চলে।
(৭) দূরে মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে বাংলাদেশের ১০ম সর্বোচ্চ চুড়া তাজিংডং বা বিজয়।
(৮)পাহাড়ে পিপাসা মেটানোর জন্য ঝিরির পানিই একমাত্র ভরসা।
(৯/১০) নানা বর্ণের নানা রঙের ফুলগুলো আমাদেরকে ক্লান্ত হতে দিচ্ছিল না।
(১১) কনে দেখা রোদে আমরা পৌছলাম সিমত্লাম্পি পাড়ায়, পেছনে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে তাজিংডং।
(১২/১৩/১৪) গ্রামে মানুষজন খুবই কম ছিলো এই সময়টাতে, কেবল কিছু শিশু আর বয়স্ক কয়েকজনকেই দেখেছি, বাকীরা হয়তো নানা দিকে কাজে ব্যস্ত ছিলো।
(১৫/১৬) এই গ্রামের অধিকাংশ ঘরগুলোই ছিলো ছোট্ট ছোট্ট কুড়ে।
(১৭) এই গ্রামের সাথে ছোট্ট এক টুকরো স্মৃতি রেখে গেলাম।
(১৮) দূরে বাকলাই পাড়া আর্মি ক্যাম্পের হেলিপ্যাডটাও এখানে থেকে দেখাই যায়।
(১৯/২০) ফিরে আসার আগে সেই কনে দেখা আলোতে আরো কিছু ক্লিক।
আমাদের পরবর্তি গন্তব্য ছিলো থানদুই পাড়া, সে অনেক দূরের পথ, তাছাড়া সন্ধ্যা আসন্ন প্রায়। তাই এখানে খুব একটা সময় থাকতে পারিনাই, তবে এই ক্ষণিকের থাকায় আমি শিমপ্লাম্পতির প্রেমে পড়ে গিয়েছি, এবং ওকে কথা দিয়ে এসেছি কোন একদিন এসে তোমার কোলে আমি অন্তত একটি রাত কাটিয়ে যাবো।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৩৫