‘স্বপ্নের সৈকতে এঁকে যাই পদচিহ্ন’ এই শ্লোগান নিয়ে ভ্রমণ বাংলাদেশ প্রতি বছর টেকনাফ থেকে কক্সবাজার ১২০ কিলোমিটার সী-বিচ হাটার আয়োজন করে থাকে, আমরা তিন দিনে এই পথটুকু হেটে শেষ করি। ২০০৯ এ একবার গিয়েছিলাম আর ২০১৪ তে দ্বিতীয় বার যাওয়ার সুযোগ হলো।
একপাশে বিশাল সাগরের অবিরত গর্জন, অন্যপাশে ঝাউ বনের শন শন শব্দ, মাঝখানের নির্জন সৈকতে ঝিনুকের ছড়াছড়ি আর লাল কাকড়াদের দৌরাত্ব, হঠাৎ হঠাৎ উড়ে আসা সীগালদের পানিতে ছোয়াছুয়ি খেলা, একটু দূরে উঁচু পাহাড়গুলো ঠায় দাড়িয়ে অসাধারণ সৌন্দর্য্য নিয়ে......সব মিলিয়ে যদি একে আমি স্বর্গ বলি তাহলেও আমার মনে হয় কমই বলা হবে। আমিতো দেখলাম, আমার ক্যামেরা কতোটুকু দেখলো আসুন সেটাই দেখা যাক....
(২) আমরা চান্দের গাড়িতে করে বিচের কাছাকাছি এসে বাকি পথটা হেটে বীচে চলে আসি।
(৩) প্রথমে মোনাজাত করে একটা গ্রুপ ছবি তুলে তারপর শুরু করি আমাদের হাটা। এখানে আমাদের তাহসিন মামা এবং বোকা মানুষ বলতে চায় ( হাসান ভাই) ও আছেন।
(৪) বিচের ধারে জেলেদের শুটকি বাছাই ও শুকানো চলছে।
(৫) শুরু হলো আমাদের পদযাত্রা।
(৬) এমন সুন্দর পথে হেটে ক্লান্ত হওয়ার কোন কারণ নেই।
(৭) বীচে পড়ে থাকা জালের সুতোয় আটকে এই লাল কাকড়াটা বিপদে ছিলো, আমরা তাকে উদ্ধার করে ছেড়ে দিয়েছি।
(৮) একটু দূরে সুপারি বাগানের উপাশে এই পাহাড়টাকে যেনো মনে হচ্ছে কোন বড় প্রাসাদ।
(৯/১০) চাঁদের মতো এই জেলে সাম্পানগুলো দেখতে কিন্তু বেশ লাগে।
(১১/১২) প্রবল ঢেওয়ের মাঝে ওরা কিভাবে মাছ সনাক্ত করে জাল ছুড়ে মারে তা সত্যিই আশ্চর্য্যের বিষয়।
(১৩/১৪) এমন ছোট্ট কুড়েতে বসবাস করেই জেলেরা সাগরের গর্জনকে পাল্লা দিয়ে মাছ ধরে চলে অবিরত।
(১৫/১৬) জেলে সাম্পানগুলো অনেক সময় মনে হয় এই বুঝি পানিতে তলিয়ে গেলো।
(১৭) জেলে পল্লীর শিশুরা।
(১৮/১৯) কোন লোকেশন পছন্দ হলে এমন ভাবেই আমরা ক্যমেরায় ঢুকে পড়ছিলাম।
(২০) ঝাউ বনে বসে বিশ্রাম।
(২১) আমরা একটু আনন্দ উৎসব করেই হাটি, যার জন্য ক্লান্তি আমাদের নাগাল পায়না।
(২২/২৩) বীচে ছোট্ট কাকড়াদের শিল্প কর্ম সব সময়ই মনে আনন্দ দেয়, যেন আমাদের আগমনে ওরা আল্পনা করে রেখেছে।
(২৪) সাগরে নামার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে এই সাম্পান।
(২৫) এটা সাগর থেকে ফিরছে ডাঙ্গায়।
(২৬) নির্জন এই বালুকাবেলায় প্রচুর ঝিনুক পরে আছে।
(২৭) ঝিনুক কুড়াচ্ছে....
(২৮) শেষ বিকালে কোন একজনের কাছে একটা সাইকেল পেয়ে আমাদের দুই সঙ্গী সেটা নিয়ে মেতে উঠে।
(২৯) রাত হয়ে আসছে, তাই ছোট্ট পাখিগুলো আজকের মতো খাবারের সন্ধানে শেষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, পানিগুলো ডুবন্ত সূর্যের রং ধারণ করছে।
(৩০) এক সময় সূর্য্যি মামা সাগরের পানিতে ডুবে গেলো, আমরাও পা বাড়ালাম শিলখালি ইউনিয়ন অফিসের দিকে।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:২৪