হিমালয় কন্যা নেপাল চমৎকার একটি দেশ। সবুজ মেঘে ঢাকা পাহাড় আর খড়স্রোতা পাহাড়ি নদী ও প্রকৃতি যাদের ভাল লাগে তাদের এ দেশ ভাল লাগবেই । পর্যটকরা এখানে এসে প্রকৃতির প্রেমে পড়ে যাবেন, কবিরা পাবেন কবিতার রসদ, আর সাধারণ মানুষদেরও এখানকার সবুজ দেখে চোখের জ্যোতি বাড়বে এটা নিঃসন্দেহেই বলা যায়। অন্য দিকে এ্যডভেঞ্চার প্রিয় পর্বতারোহীদের জন্য তো মাউন্ট এভারেস্ট আছেই। আর এই সবুজ নেপালের গোর্খা জেলায় পাহাড়ের উপর অবস্থিত কয়েক শত বছরের প্রাচিন মনকামনা মন্দির। নামেই তো বুঝতে পারছেন মনের ইচ্ছে পূরণ হওয়ার মন্দির। আর ইচ্ছে পুরণের জন্য হাজার হাজার ভক্ত পর্যটক ঐ মন্দিরে সর্বদাই ভীর করে। আগে পাহাড় ট্রাক করে পুণ্যার্থীদের ওখানে যাওয়া ছিলো খুবই কষ্টসাধ্য, পরে সেখানে স্থাপন করা হয় কেবল কার.....চলুন কেবল কারে চড়ে আমরা দেকে আসি নেপালের মনকামনা মন্দিরটি।
(২) কাঠমুন্ডু থেকে পোখারা যাওয়ার পথে কেবল কারে মনোকামনায় ঢোকার প্রধান ফটক।
(৩)প্রধান ফটক দিয়া বেশ কিছুটা নিচে নেমে আসলে কেবল কারে ঢোকার প্রধান চত্বরে চলে আসা যায়।
(৪) এখান থেকেই কেবল কারে চড়তে হবে।
(৫) যাত্রা হলো শুরু।
(৬) নিচের পাহাড়ের ঢালে বাড়িঘরের ছাদ
(৭) নিচ দিয়ে বয়ে চলা খড়স্রোতা ত্রিশূলী নদী।
(৮/৯) ত্রিশূলী নদীর পাড় ধরে ফিতের মতো ছুটে চলা কাঠমুন্ডু-পোখারা হাইওয়ে।
(১০/১১) উপর থেকে জনপদ আর পাহাড়গুলো যেমন স্বপ্নীল দেখায়।
(১২/১৩) ওপারে পৌছে আবার কিছুটা পথ হেটে মনোকামনায় পৌছার আগে পথে পথে পুণ্যার্থিদের জন্য পুজা সামগ্রীর পশরা সাজিয়ে বসে আছে দোকানীরা।
(১৪) অবশেষে আমরা পৌছলাম মনোকামনায়।
(১৫) ক্ষণে ক্ষণে মনোকামনার এই শতবর্ষী ঘন্টাগুলো বেজে উঠছিলো।
(১৬) অন্যপাশের ঘন্টাগুলোকে পুজারীদের মনোকামনা সুতার জন্য চেনাই দুষ্কর হয়ে পড়েছে।
(১৭) একজন সাধুবাবা কবুতরদের সেবা করছিলো।
(১৮) মনোকামনায় শুধু ছবির পোজই নয়, আমি কিছু মনোকামনা সেখানে করেছিলাম।
(১৯) মনোকামনার পেছনের অংশে দাড়িয়ে তোলা একটি ছবি।
(২০/২১) ফেরার পথে এই দোকানগুলো থেকে কিছু স্যুভেনির নিয়ে আসতে ভুল করিনি।
(২২) মনোকামনা থেকে ফেরার পথে কেবল কারে চড়ার বিশাল লাইন পড়ে যায়।
(২৩/২৪) এ পথেই আবার ফিরে চলা।
(২৫) ওই তো আমাদের কেবল কার থেকে নেমে যাওয়ার শেষ ঠিকানা।
(২৬) ফিরে আসার আগে যে পথে মনোকামনা মন্দিরে গিয়েছিলাম সে পথের শেষ ক্লিক।
সেখানে গিয়ে করা আমার মনের কামনা পুরণ হয়নি, তাতে কি? প্রকৃতির কোলে পাহাড়ের উপর দাড়িয়ে থাকা শতবর্ষী এই মনোকামনা মন্দিরের আমি প্রেমে পড়ে গেছি এ কথা বলতে পারি নির্ধিদায়........
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:০৪