ফেওয়া লেক, নামটায় কেমন যেনো একটা সাধারণত্ব আছে। কিন্তু সৌন্দর্য্য তার অসাধারণের থেকেও কিছুটা বেশী!!
লেকের একপাশে কুইন ফরেস্ট নামে পরিচিত ঘন জঙ্গলটা লেক থেকে সাড়িবদ্ধভাবে ক্রমান্বয়ে আকাশ ছোয়ার চেষ্টা করেছে। জঙ্গলে হরেক পাখি পক্ষীপ্রেমীদের স্বর্গরাজ্য ও বটে!
অন্য পাশেই রয়েছে সারাংকোট পাহাড়ের চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য্য। একটু দূরে অন্নপূর্ণা পর্বতমালার বরফ ঢাকা চুড়া, যার ছায়া পড়ে লেকে সৃষ্টি হয় অপার্থিব সৌন্দর্য্য। এখানকার মচ্ছপুছরে শিখরটি ভারী সুন্দর।
লেকের মাঝে রয়েছে বরাহি দেবীর মন্দির, মন্দিরে ভক্তদের আনাগোনা থাকে সর্বদা।
আর এই সৌন্দর্য্য দেখতেই পুরো লেক জুড়েই পর্যটকরা নানা ধরণের নৌযান নিয়ে ঘুরে বেড়ায় আর ক্যামেরায় চালায় ক্লিকবাজি।
আসুন আমার ক্যামেরার ক্লিকবাজিতে দেখি ফেওয়া লেক।
(২/৩) ভোর বেলা ফেওয়া লেক। নৌকাগুলো সব অলস পড়ে আছে, পর্যটকরা এখনো ঘুমে। সকালের সোনা রোদে পাহাড় আর লেকের জলে সৃষ্টি হয়েছে এক অনবদ্য কবিতামালা।
(৪) লেকের পাড়ের সিমেন্ট নির্মিত পথে প্রাতঃভ্রমণকারীদের আনাগোনা বেশ লক্ষণীয়, আর দূরে পাহাড়ের উপরে দেখা যাচ্ছে অন্নপূর্ণা পর্বতমালার বরফ ঢাকা চুড়া!
(৫) পর্যটকদের নিরাপত্তা দানের জন্য নির্মিত টাওয়ারে বসে এক পুলিশ সদস্য ঝিমাচ্ছে, আর কবুতর গুলো টাওয়ারের ছাদে বসে সকালের রোদে শরীরটাকে গরম করে নিচ্ছে।
(৬/৭) অন্নপূর্ণা পর্বতমালার বরফ ঢাকা চুড়াগুলোতে সূর্যের আলো পড়ে একটা সোনালী আভা ঠিকরে বেরুচ্ছে।
(৮) এখানকার কলমী ফুলগুলোর রংটা একটু বেশীই বেগুনী।
(৯) আস্তে আস্তে জেগে উঠছে লেক।
(১০/১১) পর্যটকদের নৌকা বিলাস
(১২/১৩) নানা রকম মানুষ, নানা রকম বাহন, উদ্যেশ্য একটা, নির্মল বিনোদন।
(১৪/১৫) অন্য দিকে মাথার উপর চলছে প্যারা গ্লাইডিং
(১৬) এক সময় আমি নেমে গেলাম ফেওয়ার জলে....
(১৭) আরো অনেকেই নামলো নানা রকম বাহন নিয়ে।
(১৮) লেকের মাঝখানে যেই দ্বীপটা দেখা যায় ওখানেই রয়েছে বরাহি দেবীর মন্দির।
(১৯) লেকের পাশের বাঁশ বনে মা বক ও তার ছানা।
(২০) শেষ বিকেলে আমাদের হোটেল ল্যান্ডমার্কের ছাদে বসে ফেওয়া লেকের শেষ ক্লিক।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৬