নারিকেল জিঞ্জিরা বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বাংশে অবস্থিত একটি ক্ষুদে প্রবাল দ্বীপ। প্রচুর নারিকেল পাওয়া যায় বলে স্থানীয়ভাবে একে নামে ডাকা হতো। ১৯০০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে ব্রিটিশ ভূ-জরীপ দল এই দ্বীপকে ব্রিটিশ-ভারতের অংশ হিসাবে গ্রহণ করে। জরীপে এরা স্থানীয় নামের পরিবর্তে খ্রিষ্টান সাধু মার্টিনের নামানুসারে সেন্ট মার্টিন নাম প্রদান করে। এরপর ধীরে ধীরে এই অঞ্চলের বাইরের মানুষের কাছে, দ্বীপটি সেন্ট মার্টিন নামেই পরিচিত লাভ করে।তো আসুন ঘুরে আসি নারিকেল জিঞ্জিরা বা সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপ থেকে।
(২) জাহাজ ওখানে থেকে নামার পর প্রথম যাদের সাক্ষাৎ পাবেন তা হলো এই সুন্দর বাহনগুলো। ওখানের চলাচলের জন্য অন্য কোন বাহন নাই, হয় হাটবেন নয় এগুলোতে চড়বেন।
(৩/৪) ওখানকার কাকড়া শিশু আর মানব শিশু উভয়েরই চরিত্র এক
(৫/৬) স্থানীয় জেলেদের ব্যস্ততা বেশ চোখে পড়ে।
(৭) উত্তর পশ্চিম সৈকতটাই সম্ভবত পর্যটকদের জলকেলির জন্য সব চেয়ে ভালো জায়গা, এখানটায় প্রবালের সংখ্যা কম থাকায় আহত হওয়ার আশংকাটাও কম থাকে।
(৮/৯) জেলে পল্লীগুলোর এমন চিত্র সব সময়ই দেখতে পাবেন।
(১০) একটা দরিদ্র জেলে পরিবারের অন্দর মহল।
(১১) পশ্চিম পাশের সৈকতরা এমন ধারালো পাথরের আধিক্য থাকায় ওখান দিয়ে পানিতে নামাটা বিপদ জনক হতে পারে।
(১২/১৩) তবে পশ্চিমের কেয়া বাগানও তার সুন্দর ফলগুলো পর্যটকদের মন ভড়িয়ে দেয় নিমিষেই।
(১৪) কিছু সুন্দর প্রবাল এখানে বিক্রিও হতে দেখা যায়, যদিও এগুলো অবৈধ।
(১৫/১৬) হুমায়ুন আহমেদের বাড়ি। এটা দ্বীপটির পশ্চিম পার্শে।
(১৭) শুটকীর দোকান।
(১৮) সেন্টমার্টিনের গোঁধূলী বেলা।
(১৯) সেন্টমার্টিনে কোন বিদ্যুৎ না থাকায় হারিকেনই হলো রাতের আধাঁর দূর করার প্রধান উপায়, অবশ্য হোটেলগুলোতে সন্ধ্যা থেকে রাত বারটা পর্যন্ত জেনারেটর চালু রাখে।
(২০) পূর্ব বীচের একটা টং দোকানে বসে দেশীয় বাদ্যযন্ত্র নিয়ে কয়েকজন গাইটে শুরু করলো, পাশের বাড়ির জেলে বউ আর পর্যটকরা মুগ্ধ হয়ে তা শুনতে লাগলো।
(২১) কিছু পর্যটক আবার নাঁচ ও জুড়ে দিয়েছিলো।
(২২) যতো সুন্দর প্রকৃতিই হোক, এক সময় নীড়ে ফেরার তাগাদাটা ভালোই অনুভব হয়, তাই আবার ফিরে আসতে হয় আপনি জগতে.....তবে কিছু জায়গা আছে মনে চিরদিন দাগ কেটে রাখে, ইচ্ছে হয় সময় সুযোগ পেলে আরো একবার ঢু মারতে, সেন্টমার্টিন বা নারিকেল জিঞ্জিরা তেমনি একটি স্থান।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৮