১৩)
২৫ মার্চ দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে পাক-বাহিনী শহরে প্রবেশ করে। এর আগেই শেখ মুজিব তাঁর পরিবার-পরিজনকে, এমন কি, তাঁর গাভীটাকেও অন্যত্র সরিয়ে দেন। এমন যে তাঁর বহুল পরিচিত বডিগার্ড, রাত সাড়ে ১০টায় তাকেও ৩২ নম্বরে দেখা যায়নি। পাকিস্তান আর্মী রাজারবাগ পুলিশ লাইন, পিলখানা বিডিআর সদর দফতর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রভূতি দখল করে শেষ রাতের দিকে ৩২ নম্বর বাসা থেকে শেখ সাহেবকে নিয়ে যান। এদিকে চলতে থাকে নির্বিচার গণহত্যা।
চৌদ্দ)
মুক্তিযুদ্ধের পুরো ৯ মাস বেগম ফজিলাতুন নেতা (শেখ মুজিবের স্ত্রী), শেখ হাসিনা, শেখ রাসেল প্রমুখ ঢাকায় স্বাভাবিক জীবন যাপন করেছেন। পিজি হাসপাতালে শেখ মুজিবের বৃদ্ধা মা-বাবার চিকিৎসা হয়েছে এবং শেখ হাসিনা ও তার মা তাদের হাসপাতালে দেখতে গেছেন। কোন কোন দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত হাসপাতাল থেকেছেন।
(আগের পর্বগুলো থেকে) এক থেকে চৌদ্দ অনুচ্ছেভুক্ত ঘটনাবলী লক্ষ্য করলে দেখা যা, ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে স্বাধীনতার পক্ষে পরোক্ষ ইংগিত প্রদান করা ছাড়া শেখ মুজিব একাত্তরের ৩ জানুয়ারি থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত পাকিস্তানের সংহতি পরিপন্থী কোন অবস্থান গ্রহণ করেননি।
(ক্রমশ)...
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুলাই, ২০০৭ রাত ১:২০