পাঁচ)
২ মার্চ পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্র ও যুব সমাজের পক্ষ থেকে ডাকসু ভিপি আ.স.ম আবদুর রব বিশ্ববিদ্যালয় বটতলায় স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন। এই পতাকা উত্তোলনের জন্য শেখ মুজিব ছাত্র নেতাদের যে র্ভৎসনা করেছিলেন- তার প্রত্যক্ষ শ্রোতা ও দর্শক অনেকেই আছেন।
ছয়)
৩ মার্চ পল্টন ময়দানে ছাত্র লীগের জনসভায় ছাত্র লীগের সাধারন সম্পাদক শাহজাহান সিরাজ স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন। আগে ঘোষণা করা হয়েছিল, এই জনসভার পর শেখ মুজিব মিছিলে নেতৃত্ব দিবেন। কিন্তু শেষ মুহুর্তে বক্তৃতার পর্যায়ে তিনি মিছিল কর্মসূচী বাতিল করেন। স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠই তার কারন কি-না, সেটা গবেষনার বিষয়।
সাত)
৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে শেখ মুজিব ভাষণ দেন এবং এই প্রথম স্বাধীনতা কথাটি উচ্চারণ করেন। তিনি বলেন: এবাের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম। অবশ্য, ভাষণ সমাপ্তিতেই আবার তিনি এর ব্যালান্স করার চেষ্টা করেন- একই সাথে 'জয় বাংলা, জয় পাঞ্জাব, জয় সিন্ধু, জয় বেলুচিস্তান, জয় সীমান্ত প্রদেশ, জয় পাকিস্তান' শ্লোগান দিয়ে। (স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস: দলিলপত্র-এ জয় পাঞ্জাব, জয় সিন্ধু, জয় বেলুচিস্তান, জয় সীমান্ত প্রদেশ, জয় পাকিস্তান- এ কটি স্লোগানের উল্লেখ নেই। এর রহস্য কি? তবে, সে সময়কার পত্র-পত্রিকা এবং যারা জনসমাবেশে ছিলেন, তারাই সাক্ষ্য দিবেন এ সম্পর্কে।)
--
সচলায়তন
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জুলাই, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:৫২