দেখি নি সেই দিন আমি?
ষষ্ঠ শ্রেণী পড়ুয়া তীক্ষ্ণ চোখের
ওই টুকুন রোগা ছেলে নেতাই!
কেরানীর ছেলে বলে মাস্টারমশাই
সে কি বেদম করলো পিটাই।
আপরাধ ছিল এই,ধনীর দুলালের সাথে
খেলার মাঠে বেঁধেছে লড়াই।
দোষ-গুণ বিচারেছি নিজে দাড়িয়ে
তবু কেরানিপুত্র পেলে না রেহাই!
সামান্য বেতনের দপ্তরি আমি,
মূল্য আছে কি-ই বা আমার কথার!
শেষতক ঘটলো কি জানা আছে?
ছোট্ট নেতাই ঘাড় বাঁকিয়ে
বেতখানি ধরলে বাগিয়ে, বললে-
"বিনে কারণে মেরে দ্যাকো দিকি আর বার
নালিশ দোবো না কারুর কাছে,
ওই বড়নোকের পুত্তুরের আমিই করবো বিচার!"
শুনে মাস্টারমশাই হঠাতই গেলেন হকচকিয়ে।
কি জানি কি ভেবে কপালে বিচিত্র রেখা এঁকে
বেত ফেলে চলে গেলেন হনহনিয়ে।
তারপরে জল গড়ালে বহুদূর।
নেতাইকে নাকি স্কুল ছাড়তে হবে,
শাসিয়ে গেছেন বাদরপিতা লাট বাহাদুর।
আমাদের ছোট্ট নেতাই-
কোথা হতে সঞ্চারেছে এতো শক্তি-দৃঢ়তা,
ক্ষুদ্র প্রাণে নেই সামান্যটুকুন জড়তা।
দুর্নিবার সাহস নিয়ে বলে দেয়-
"আমার বাপে যুদ্ধ কইরেছে আমাক্ পড়াতে,
দিকি কোন বাহাদুরে ঠ্যাকায়!"
শুনে ভরসা পাই, বাহবা দিই মনে মনে।
রে তবে!
ছোটলোকের ব্যাটা এবার মানুষ বনে যাবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৯