তোমাকে দেখি, বিধুর।
চল্লিশ কোণ থেকে দেখি।
দেখতে দেখতে গত হাটবারের
কষ্টের পাইকার থেকে কেনা
হাহাকারের বীজ বুনি।
নোনা জল সেঁচে দেই রোজ।
দানাগুলো অঙ্কুরিত হয়,
ফুলে ফেঁপে একটু করে বাড়ে।
শোকের চারাগুলো
ক্রমশ সহনশীল বৃক্ষ হয়ে ওঠে।
কতো প্রকারের কষ্টশাখা তার!
যত্নে রঙিন হরেক ভেদের পাতা।
পাতার 'পরে তোমার মুখ আঁকা।
বিধুর, আমি ওই বৃক্ষতলে বসেই
তোমার স্তুতি করি,
করুণ সুরের বেহালা বাজাই,
সুরে ঝড় তোলে। আমার
হৃদয় চিড়ে একের পর এক
বিচ্ছেদের ধুন বাজে।
আর কলরবে-
আমার বিস্তীর্ণ আবাদি ভূমিতে
তোমরা বনফায়ার করো।
ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজে 'বিধুর' সুর।
উদ্ভ্রান্ত তুমি সাঙ্গদের রেখে
উঠে আসো ধীরে ধীরে।
মরা চাঁদ সতর্ক প্রহরী হয়ে-
আরো উপরে ওঠে।
পাহারা দেয়; পথ সুধায়।
ধুন লক্ষ্য করে এগোও তুমি
পুবের শেষ শেয়ালটি হাঁক দেয়;
তুমিও পৌঁছে যাও
বেহালাবাদকের আখরায়।
মোহ ভাঙ্গে এবার তোমার
ডাকতে থাকো চেনা সুরে,
এবার আর ধ্যান ভাঙ্গে না
আমার। চিনচিনে ব্যথা বুকে
তুমি সূর্যের অপেক্ষা করো;
করজোড়ে ক্ষমা চাও। কিন্তু
বাদকও উপেক্ষা শিখে গ্যাছে
তুমিই যে দিয়েছিলে এ দীক্ষা।
দ্যাখো আমি আজ পুন্যে পূর্ণ।
এই চাষাবাদ, বৈরাগ্য, বেহালার ধুন-
সকলই তোমার পরিত্যাগের ফল।
চিরঋণ বোধহয় একেই বলে। তবুও
কিছুতেই ফিরবে না আর বাদক।
বরং তুমিই নাহয় ফিরে যাও
বিলাসী বনফায়ারে।।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:২৩