আতাফলের চামচামি করতে করতে দেখেন আপনার মনের মত হাতের আঙ্গুলেও পচন ধরে গেছে ! অযথাই দলের জন্য বোঝা স্বরূপ একটা প্লেয়ারকে খেলানোর জন্য কেন বাইরে থেকে চাপ সৃষ্টি করছেন, এক ফুলমিয়ার ৫-১০ হাজার টাকার থেকে নিশ্চই দেশের ১৬ কোটি মানুষের স্বপ্নের মূল্য অনেক বেশি ! আজকের ফুলমিয়া আর ২ বছর আগের ফুলমিয়া এক না সেটা বুঝার মত যথেষ্ট ক্রিকেট জ্ঞান যে আপনার আছে তা আমরা সবাই ভালো করেই জানি,দেন হোয়াই আর ইউ রাইটিং দোজ ক্রাপস ! যদি আপনার টাকার এতই দরকার হয় তবে বলেন এমন অ্যাডিউলেসনের জন্য পার রিপোর্ট কত পান ফুল মিয়ার কাছ থেকে ? আমরা সবাই যদি এক টাকা করেও দেই তাহলেও কমপক্ষে ১৫-২০ লক্ষ টাকা হবে, তারপরেও আপনার ইয়েলো জার্নালিজম বন্ধ করেন ৷ একসময় ভোরের কাগজ পড়তাম শুধুমাত্র আপনার স্পোর্টস আর্টিকলগুলোর জন্য, তারপর যখন ভোরের কাগজ থেকে প্রথম আলো আসলো তখন সাথে সাথেই প্রথম আলোতে সুইচ করার অন্যতম কারণও ছিল আপনার কলাম আর সেই আপনার আজ একি ডাউনফল ! প্লিজ দলকে স্বাধীনভাবে চিন্তাভাবনা দিন, যদি টিম ম্যানেজম্যান্ট মনে করে ফুলমিয়া খেলার দরকার আছে তবেই খেলুক তাতে কারো আপত্তি নেই কিন্তু দলে যেন আতাফলের অবস্থান না হয় তারহয়ে আপনার প্রস্টিটিউশনের মাধ্যমে ! ফর গডস সেইক স্টপ ফনিং ওভার আছ্রাফাউল ৷
আজকের প্রথম আলোতে উৎপলের লেখার কিছু অংশ :
২০৫ রান পুজি করে জিততে হলে অবদান আসলে অনেকেরই লাগে৷ মাত্র তিন ওভার বোলিং করা রুবেলকে বাদ দিলে সেটি রাখলেন বাকি সব বোলারই৷ কী আশ্চর্য,মোহাম্মদ আশরাফুলও! ব্যাটিংয়ে আবারও উপহার দিয়েছেন হতাশা৷ মেঘের আড়ালে থেকে স্বমহিমায় বেরিয়ে আসার জন্য মঞ্চ ছিল প্রস্তুত৷ সাত নম্বরে ব্যাটিং করতে নেমেছেন৷ স্কোর ৫ উইকেটে ১৪৭৷ সাড়ে ১৬ ওভার তখনো বাকি৷ কোথায় বিশ্বকাপের থিম সং 'দে ঘুরিয়ে' গাইতে গাইতে সব সমালোচনার জবাব দেবেন, তা না, করলেন মাত্র ১ রান৷ আউটের চেয়ে আউট হওয়ার ধরনই সব সময় বড় হয়ে থাকে আশরাফুলের ব্যাটিংয়ে৷ কালও থাকল৷ এবার ঘাতক এল প্যাডল সুইপার রূপ ধরে৷ তখনো কল্পনাও করা যায়নি,এই ম্যাচে উদ্যাপনের সবচেয়ে স্মরণীয় দৃশ্যটা আশরাফুলই উপহার দিবেন!
অফ স্পিনে ২ উইকেট৷ এর মধ্যে দ্বিতীয়টি অফ স্পিনারের স্বপ্নের ডেলিভারিতে৷ অফ স্টাম্পের বাইরে পড়া বল অনেকটা টার্ন করে স্টাম্পে৷ শেষ ওভারে ১৪ রান দিয়ে দেওয়ার আগে ৮ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ২ উইকেট—এই জয়ে আশরাফুলেরও একটু ছোঁয়া থাকল৷
ফুল মিয়াকে নিয়ে আমার একটা কৌতুক :
এক ছেলে বেশ আয়েশ করে একটা টং দোকানে বসে চা সিগারেট খাচ্ছিল ৷ এমন সময় হঠাৎ কোথা থেকে যেন এক সার্জেন্ট তার সামনে এসে দাড়ালো
সার্জেন্ট : এই তুই কে রে ?
ছেলেটি : একটু ইতস্তত হয়ে বললো অ্যাশ !
সার্জেন্ট: সাথে সাথে গালে সমগ্র বাংলাদেশ এত টন টাইপের একটা চর বসিয়ে দিয়ে বললো,আমার লগে ফাইজলামি করস ৷ থাপরাইয়া বাপ দাদার নাম জন্মের মত ভুলাইয়া দিমু হারামজাদা ৷
ছেলেটি : অনেকটা ভাবলেশহীনভাবে যেন কিছুই হয়নি এমন করে পকেটে হাত দিয়ে নিজের ন্যাসনাল আইডি কার্ডটা বের করে সার্জেন্টের সামনে তুলে ধরল
সার্জেন্ট : খামাখা থাপ্পরটা খাইলা কেন মিয়া, তোমার নাম আশরাফুল কইলেই তো হইতো ৷
ছেলেটি : মানুষ যেই ভাবে এখন গালাগালি করে, থুথু দেয় তাই পুরা নাম কইতে সাহস পাই না ৷ এইরকম দুই-একটা চর-থাপ্পর ওই গালাগালি থাইকা হাজার গুন ভালো !
সারা রাত জেগে বাংলাদেশের ব্যাটিং দেখার পর বোলিং দেখা আর সম্ভবপর হয়নি, পরে হাইলাইটস দেখালম ৷ তখনো হারি কি জিতি ঠিক নাই(যদিও বিশ্বাস ছিল এই উইকেটে ২১০ আইরিশদের জন্য ইনাফ), বলদটা প্রথম উইকেট নেয়ার পর যেমন খেমটা নাচ দিলো দেখে মনে হয় যেন বিশ্বকাপই জিতে গেছে সে !
উৎপলের চামচামির কারণে গর্ধভটা দলে টিকে গিয়ে হয়ত ঝড়ে দু-একটা বক মেরেও ফেলতে পারে ৷ তবে এমন করে প্রায় প্রতি ১০০ ম্যাচে একবার কিছু রান করা সেটা একটা কলাগাছকে দাড় করিয়ে দিলে সেও করতে পারবে ! গর্ধভটার উচিত কিছুদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিজে থেকেই সরে গিয়ে কোন বল মারতে হবে আর কোনটা ধরতে হবে, কোন পরিস্থিতিতে কেমন করে খেলতে হবে, স্লিপে খোচা দেয়ার অভ্যাস কেমন করে ত্যাগ করা যায় এগুলো জেনে তারপর আবার দলে ফেরার কথা চিন্তাভাবনা করা ৷