আমি তোমার হইনি শুধু আকাশ টা জানে
আমি পথ থেকে পথে যাই দূর থেকে দূরে......
বছরের প্রথম থেকেই অপেক্ষা করছিলাম কখন ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হবে,আর আমি ও বাহিরের টানে সারা দিতে পারব।কিন্তু দেশের পরিস্থিতি তখন জটিল।আজ এ তো কাল সে.....।এই টানাটানির কারণে পরীক্ষা শেষ হতে হতে মার্চ এর অর্ধেক।সাত মাস পরে জানলাম আপাতত ইচ্ছে করলে চাকরি করা যাবে।কিন্তু এখনো কারো অধীনে যেতে ইচ্ছে করছে না।
মনে হচ্ছে ২০০৭ বছর টা পরবর্তি জীবনে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দেখা দিবে।অনেক নতুন জায়গা,আর অনেক নতুন মানুষের সাথে পরিচয় হলো।পরীক্ষা শেষ করেই কাছের মানুষ গুলো থেকে ফুট দিলাম।প্রথমে জামালপুর জেলার ইসলামপুর থানা,এর পর নাটোরের সিংড়া হয়ে গেলাম ব্রাক্ষণবাড়ীয়ার আশুগঞ্জ।ঘরের ছেলে ঘরে ফিরতে ফিরতে প্রায় জুলাই শেষ হওয়ার পথে।আর বছরের শেষর দিকে গেলাম বরগুনা।আর প্রতি বছরের মত কয়েক বার তো ঢাকা যাওয়াই লাগল।
ব্লগে ফিরে দেখি অনেক ব্লগার হাওয়া।ওস্তাদ(চোর) আর শিমুল ভাই কে তো জটিল ভাবে মিস করি।ছুটে চলার মাঝে পোকামানবের সাথে অপ্রত্যাশিত ভাবে দেখা হয়ে গেল।আর হযুর সাথে দেখা হলো প্রায় দুই বছর পরে,তেমন কোন পরিবর্তন দেখলাম না।একদম আগের হযু ,শুধু চুল গুলো একটু কেমন রং ধরতে শুরু করেছে।বছরের প্রথমে ভাসুর সাথে দেখা হলো,কথা হলো চায়ের কাপে।
আর কাছের বেস কয়েকজন জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করল।এর মাঝে আমার বড় ভাইটা ও আছে(মানে সামনে লাইন ক্লিয়ার)।আর পৃথিবীর মুখ দেখেছে একটা নতুন চাচ্চু।কাছের কাউকে চিরদিনরে মত বিদায় জানাতে হয় নি।তবে বছরের শেষ দিনে একসময় চট্টগ্রাম মাতানো মানুষ টাকে কেমন খালি হাতে চিরদিনের মত বিদায় দিয়ে আসলাম।
একসময় মনে হত ক্রিকেট না খেলে কেমন করে বাঁচব,কিন্তু এই বছর কোন ম্যাচ ই খেলা হয়ে উঠে নি এবং বেশ ভালভাবে বেঁচেও আছি।পুরো বছর এত খাওয়া দাওয়া মধ্যে ভুলেই গেলাম কি কি নতুন আইটেমের খাওয়ার খেলাম। খাওয়ার সময় কি আর এত কিছু মনে থাকে।তবে নতুন বছর টা শুরু হয়েছে ভাপা পিঠা রসের মাঝে ডুবিয়ে।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৩০