ইউনিভার্সিটি জীবনের শেষ ক্লাস করে ফেললাম ২৩ই মে,২০১০।খুব খারাপ ই লাগছিল কয়েক দিন আগে থেকে।একজন ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া মানুষের কাছে যদি জানতে চাওয়া হয় যে আপনার জীবনের সবচাইতে আনন্দের সময় কোনটি ছিল?আমি নিশ্চিত,যে কেঊ নির্দিধায় বলে দিবে তা তার ইউনিভার্সিটি জীবন।সেই সম্ইয়তাই আমার জীবনের শেষ হয়ে গেল।হয়তো আর ক্লাস করতে পারবনা।পারব না বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে।হাসি,ঠাট্টার সেই দিন গুলো আর ফিরে পাব না।খুব ই কষ্ট লাগছে।একে একে যখন পিকনিক,বর্ষপূর্তি,র্যা গ,ক্লাস পার্টি সব শেষ হয়ে গেল তখন মনে হচ্ছে আসলেই ক্যাম্পাস ছাড়ার সময় চলে এসেছে।যাই হোক আজ ক্লাস পার্টির কথাই বলবো। ক্লাস পার্টির দিন আমরা সব ক্লাসমেট সকাল সকাল ক্লাস রুম এ চলে গিয়েছি।সবাই চেয়েছি অশ্রুসিক্ত বিদায় না নিয়ে একটু হৈ-হুল্লা করে বিদায় নিব।যেই ভাবা সেই কাজ।তার আগের দিন সারারাত ধরে আমরা রঙ্গীন কাগজ কেটে বিভিন্ন নকশা করেছিলাম।সেই কাগজ দিয়ে সারা ক্লাস রুম খুব সুন্দর করে সাজিয়েছিলাম।সাউন্ড সিস্টেম আনা হয়েছিল গান বাজানোর জন্যে।আমাদের সবার জন্যে টি-শার্ট এর বাবস্থা করা হয়েছিল।যা পড়ে আমরা সবাই একসাথে অনেক ছবি তুলেছি।আমরা এর আগের দিন ভোটাভুটির মাধ্যমে আমাদের ক্লাসের সেরা চাপাবাজ,সেরা আঁতেল,সেরা কবি কবি ভাব,সেরা ভন্ড,এছারাও আর বেশ কিছু সেরা সিলেক্ট করেছিলাম।সেইসব সৌভাগ্যবানদেরকে পুরষ্কার দেয়া হচ্ছিল।এ অংশে উপস্থাপনায় ছিল আমাদের বন্ধু শান্তনু।তাদের কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল তারা পুরষ্কার পেয়ে খুশি হয়েছে কিনা।সবাই খুশি হলেও সেরা আঁতেল যে হয়েছে,সে কিছুতেই মানতে রাজি নয় যে সে আঁতেল।অবস্য আঁতেলরা এমনি হয়।তারপর আমি ও কাউসার মিলে একটি অংশের উপস্থাপনা করেছিলাম।যেখানে সবাইকে বলতে হয়েছিল তাদের চার বছরে না বলা কথা।বন্ধুদের কথা শুনে সবাই খুবই আবেগ আপ্লুত হয়ে যাচ্ছিলাম।অনেকে কেঁদে ফেলেছিল,নিজেকে ধরে রাখতে না পেরে।আমাদের এক প্রবীন শিক্ষক অবস্র নিয়েছেন কিছুদিন আগে।আমরা তার বিদায়ী সংবর্ধণা এর আয়োজন করেছিলাম।আমাদের কয়েকজন শিক্ষক সেখানে তার বিদায় উপলক্ষে এবং আমাদের জন্যে বিদায়ী বক্তব্য দিয়েছেন।তারপর আমরা এবং আমাদের শিক্ষকবৃন্দ একসাথে বসে দুপুরের খাবার খেলাম।এরপর রেস্ট নিয়ে শুরু করেছিলাম রঙ উৎসব।অনেকক্ষণ ধরে চলল রঙ উৎসব।সবাই একে অপরকে রঙ দিয়ে রাঙ্গিয়ে দিচ্ছিল।খুবই ভালো লাগছিল এটা ভেবে যে আমরা সবাই মিলে একসাথে শেষ করতে পেরেছি ইউনিভার্সিটি।আবার এটা ভেবে কষ্ট লাগছিল যে কিছুদিন পর থেকেই এদের কে আর পাব না।তবে আমি এটা বলব এটা আমার জীবনের একটা স্মৃতি হয়ে থাকবে।
আলোচিত ব্লগ
বেফাঁস মন্তব্য করায় সমালোচনার মুখে সমন্বয়ক হাসিবুল ইসলাম !
"মেট্রোরেলে আগুন না দিলে, পুলিশ না মারলে বিপ্লব সফল হতো না "- সাম্প্রতিক সময়ে ডিবিসি নিউজে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করে সমালোচনার শিকার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিবুল... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমিত্ব বিসর্জন
আমি- আমি- আমি
আমিত্ব বিসর্জন দিতে চাই।
আমি বলতে তুমি; তুমি বলতে আমি।
তবুও, "আমরা" অথবা "আমাদের"
সমঅধিকার- ভালোবাসার জন্ম দেয়।
"সারভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট"
যেখানে লাখ লাখ শুক্রাণুকে পরাজিত করে
আমরা জীবনের দৌড়ে জন্ম... ...বাকিটুকু পড়ুন
স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?
স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন
বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?
সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী
বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন