[link|http://www.somewhereinblog.net/blog/sa_rocky/29035662|জীবন এবং গল্প……. ১[সিরিজ]]
একবার সেই গাছ হতে একটি বাবুই পাখি ঝড়ে ভেংগে পড়ল। সময় এর মামা পাখিটিকে যত্নের সাথে আশ্রয় দিল। কিন্তু বাবুই এর মন খারাপ। সময় এর ও মন খারাপ! সে জানেনা কেন। সেদিনই বিকালে সময় তার আবুবর সাথে গিয়ে পাখিটি উড়িয়ে আসল। পাখিটি চলে গেল অজানা গন্তব্যে। কিন্তু ফেলে গেল একটুকরো স্মৃতি, শিক্ষা, তার পরবর্তী সময়ের জন্য।
সময়ের ছোট মামা সবসময়ই ভাগ্নেকে দেখে রাখত। হয়তো সময় মাটিতে খেলা করে নোংরা হয়ে ফিরল। তো মামা আদর করে তার হাত পরিস্কার করে দিত। মামা তার জন্য স্কুল থেকে ফেরার পথে আইসক্রিম, লজেন্স নিয়ে আসত।
সময় এর এক বন্ধু ছিল। নাম মুক্তা। যাকে কিনা সে এখনো মিস করে। এই মুক্তা ছেলেটি তার সাথে সারাদিন ঘুরে বেড়াতো। হয়তো কখনো লাঠি নিয়ে কচুকাটা করত। আর নিজেদের ভাবত, আকবর দি গ্রেট। ঝগড়া হতো দুজনের। কে হবে আকবর আর কে হবে টিপু সুলতান। আবার দুজনেঠিক করতো, কে কিসের উপযোগী। দুজনে মিলে হতো কাঠের সিপাই। হা হা!!কখনো কখনো পেন্সিল কলম নিয়ে লাগালাগি হতো। তবে বলা যায় সময় মুক্তার ফ্যান + ফ্রেন্ড।
দ্যা ফার্স্ট-ডে অন স্কুল,,,,
আগেই বলছিলাম সময় মায়ের সাথে স্কুলে গিয়া অ আ ক খ শিখেছিল। কিন্তু কোন ফাকে যে সময়ের সময় চলে যাচ্ছিল মা-বাপের মনেও ছিলনা। এদিকে তার বাবা দোকান আরো সাজালো। কলেজেও প্রমোশন। বাসা চেন্জ।
কিছুদিন পর তাদের বাসার ঠিক সামনেই একটা কিন্ডারগার্ডেন স্কুল হলো। কলেজের কয়েকজন টিচার মিলে এই স্কুল প্রতিস্ঠা করে। একদিন মুক্তা এসে বল্ল।
-আঁই ইন্টারগার্টেনে ভর্তি অই্য়ম। তুই অবিনি।
-এটা আবার কি?
-কস কি!? স্কুল। এটা কিন্তুক প্রাইমারী স্কুল তন বালা।
ব্যস আর কি। সময়ের বায়না। সে ইন্টারগার্টেনে(!) ভর্তি হবে। এদিকে বাপ-মায়ের ও টনক নড়ল। ছেলের বয়স সাত পেরুচ্ছে। আর দেরী নয়।
আর কি সময় ভর্তি হলো ইন্টারগার্টেন(!) [কিন্ডার গার্ডেনে]।
জানুয়ারী। জ্যাকেট পরে টাই স্যুটেড অবস্থায় স্কুলে উপস্থিত। নতুন মুখ নতুন চেহারা। বুকের মাঝে দুরুদুরু ভাব।
প্রথমেই পি.টি। যেটাকে সময় পরবর্তীতে নির্যাতন মনে করতে শুরু করে।
মৌখিক ভর্তি পরীক্ষায় উত্তির্ণ হলো। ভালভাবেই।
To be continued……..