চট্টগ্রাম ব্যুরো : হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা শাহ্ আহমদ শফীর সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দন্ড দাবি করা হয়েছে চট্টগ্রামের সুন্নী মহাসমাবেশ থেকে। দাবি জানানো হয়েছে হেফাজতে ইসলামকে নিষিদ্ধ ঘোষণারও। বলা হয়, তারা হেফাজতে ইসলাম নয়, খেয়ানতে ইসলাম। ইসলামকে হেফাজত করেছেন অলি-আল্লাহরা। আগামী সংসদে আল্লাহ ও নবীদ্রোহী নাস্তিকদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদন্ডের আইন পাস করে সরকার ও বিরোধী দলকে প্রমাণ করতে হবে তারা মুসলমান। গতকাল শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম লালদীঘি ময়দানে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত আয়োজিত সুন্নী মহাসমাবেশে বক্তাগণ এসব দাবি জানান। সুন্নী সমাবেশ উপলক্ষে “বিশ্বনবী (সা.) ও ইসলাম অবমাননাকারী ব্লগার এবং ওহাবী-কওমী হেফাজতি ও মওদুদীপন্থী একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ” শিরোনামে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আতের প্রকাশিত একটি পুস্তিকা বিতরণ করা হয়। সমাবেশে বক্তাগণ আরও বলেন, গত বছর হাইকোর্টের আদেশ মেনে দোষী নাস্তিক-ব্লগারদের আটক করা হলে আজ জঙ্গিবাদী হেফাজতিরা ধর্ম রক্ষার নামে এতটুকু আস্ফালন প্রদর্শনের সুযোগ পেত না। ভারতেও কওমী মাদ্রাসা রয়েছে। তারা দেশের ক্ষতি করেনি। এদেশের কওমীরা দেশের ক্ষতি করেছে। লাঠিসোটা নিয়ে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ করছে। ব্লগার-নাস্তিকদের পাশাপাশি হেফাজতিরা নবীর (সা.) শানে বেয়াদবী করেছে। আমরা ১৪শ’ বছর আগের হেফাজত। ২০১৩ সালের হেফাজতরা ব্লগার সৃষ্টি করেছে। তারা শাহজালালের মাজারে বোমা মেরেছিল। ’৭১-এর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে মুজাহিদ বাহিনী গঠন করে মানুষ খুন করেছিল। সমাবেশে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত নেতা মাওলানা হারুনর রশিদ মওদুদীর অনুসরণে মহানবী (সা.)কে নিয়ে কটূক্তি করার অপরাধে হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফীর ফাঁসি দাবি করেন।
সুন্নী মহাসমাবেশে চট্টগ্রাম মহানগরী ছাড়াও বৃহত্তর চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকাগুলো থেকে অসংখ্য বাস, মিনিবাসযোগে লোকজনকে লালদীঘি ময়দানে আনা-নেয়া করা হয়। আসর নাগাদ লালদীঘি ময়দান উপচিয়ে আশপাশের সড়কগুলোতে জনসমাবেশ বিস্তৃত হয়। মহাসমাবেশের আগে ও পরে খ- খ- মিছিল থেকে হেফাজতে ইসলাম, আল্লামা শফী, জামায়াত-শিবির নিপাত যাক শ্লোগান দেয়া হয়। সুন্নী মহাসমাবেশ থেকে ঘোষিত কর্মসূচিতে রয়েছেÑ আগামী ২৫ মে ঢাকায় সুন্নি মহাসমাবেশ, ১১ মে নারায়ণগঞ্জে জেলা সমাবেশ, ২৭ এপ্রিল হবিগঞ্জে জেলা সমাবেশ। নেতৃবৃন্দ আরও জানান, ২৫ মে ঢাকা মহাসমাবেশ থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
মহাসমাবেশে আলেমগণ বলেন, নাস্তিক-ব্লগার ও জামায়াত-হেফাজতিদের মুখোমুখি অবস্থানের জের ধরে সৃষ্ট সংঘাতের প্রতিকার করতে হবে। অন্যথায় এভাবে চলতে থাকলে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার নামে দেশের অভ্যন্তরে বিদেশি হস্তক্ষেপের আশংকা উড়িয়ে দেয়া যায় না। তাই সংঘাত ও দাঙ্গা-হাঙ্গামার যে কোনো ইন্ধনকেই দেশ ও জাতির স্বার্থে আমলে আনতে হবে। অথচ সরকার শুরুতে এই বিষয়টি আমলে না নেয়ায় নাস্তিক-ব্লগারসহ নবীদ্রোহী ওহাবী মওদুদীবাদীরা আরো বেশি দুঃসাহসী হয়ে উঠেছে।
লালদীঘির সুন্নী মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন প্রবীণ আলেমেদ্বীন আল্লামা কাযী মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম হাশেমী। এতে বিশিষ্ট আলেম আল্লামা আবু সুফিয়ান আলকাদেরী বলেন, যিনি হেফাজতে ইসলামের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি মুসলমান নন। তাকে আল্লামা হাশেমীর হাতে বায়াআত নিতে হবে। বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভা-ারী হাটহাজারীতে গিয়ে হেফাজতের চেয়ারম্যান শাহ আহমদ শফীর সাথে মন্ত্রীর (ড. হাছান মাহমুদ) সাক্ষাতকে ধিক্কার জানান। সরকার কওমী মাদ্রাসার আলেমদের সাথে বসে আলোচনা করলেও সুন্নী আলেমদের সাথে বসেননি। একজন সুন্নী আলেমের সাথে হেফাজতের দাঁড়ানোর ক্ষমতাও নেই। তিনি বলেন, কওমী মাদ্রাসাগুলোকে সরকারের নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। তিনি আগামীতে সুন্নী আলেমদের নির্দেশ ছাড়া কোন দলকে ভোট না দেয়ার আহ্বান জানান।
আন্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভা-ারীয়ার সভাপতি পীরে ত্বরীক্বত শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী আল্-মাইজভা-ারী বলেন, দেশ ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। দেশপ্রেম, ধর্মীয় অনুভূতি, সাংঘর্ষিক পর্যায়ে রয়েছে। দেশপ্রেমিক ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম করতে পারে না। তিনি বলেন, ৭২ দল জাহান্নামী, শুধু একটি দল বেহেশতী যারা নবীপ্রেমিক। তিনি ইসলাম হেফাজতের আগে ঈমানকে হেফাজতের আহ্বান জানান। সাইফুদ্দীন আহমদ বলেন, আমাদের আফগানিস্তানের যুদ্ধের ট্রেনিংয়ের ভয় দেখানো হচ্ছে। আমরা আল্লাহ ছাড়া আর কাউকে ভয় করি না। অনেক সুন্নী ওলামা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। আমরা অস্ত্র জমা দিলেও ট্রেনিং জমা দিইনি। তিনি আগামী সংসদে নাস্তিকদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদ-ের আইন পাস করার দাবি জানান।
জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলীয়ার প্রিন্সিপাল ও জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদের খতিব হযরত আল্লামা জালালুদ্দীন আলকাদেরী বলেন, সুন্নী জনতা বসে নেই, তারাও সময়মতো লাঠিসোটাধারীদের প্রতিরোধ করবে। মাওলানা ওবাইদুল হক নঈমী বলেন, ইসলামের হেফাজত করেছে সাহাবারা, অলি, ওলামা, পীর-মাশায়েখরা। আল্লামা আবুল কাশেম নূরী বলেন, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আতের এটা নতুন কোন আন্দোলন নয়। রাসূল (সা.)-এর আমল থেকে এ আন্দোলন চলছে। তিনি বলেন, রাসূল (সা.)-এর শানে আমরা ঐক্যবদ্ধ। তিনি নাস্তিক-ব্লগারদের বিরুদ্ধে সংসদে মৃত্যুদ-ের আইন পাস করার দাবি জানান। মহাসম্মেলনের প্রধান সমন্বয়ক মাওলানা এম এ মতিন বলেন, কিছু নাস্তিক-ব্লগার ইসলাম ও নবী রাসূল (সা.) শানে অব্যাহত কটূক্তি করে চলেছে। তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সুন্নী মহাসম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
সুন্নী মহাসমাবেশে ওলামা-মাশায়েখ নেতৃবৃন্দ ১২ দফা দাবি পেশ করে অবিলম্বে তা বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। মহাসমাবেশে দেশের শীর্ষস্থানীয় সুন্নী ওলামা-মাশায়েখ ও ইসলামী চিন্তাবিদরা বলেছেন, ইসলাম ও মুসলমানদের ঘিরে সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠীর বহুমুখী চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেশে দেশে ধর্মবিরোধী নাস্তিক্যবাদী বিভীষিকা সৃষ্টির পাশাপাশি গোঁড়া কট্টরপন্থিদের লেলিয়ে দিয়ে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। নির্বিচারে হত্যা ও পাশবিক উন্মত্ততা চলছে কেবল মুসলমানদের ওপর। বক্তারা বলেন, সাম্রাজ্যবাদীরা একদিকে নাস্তিক্যবাদীদের উস্কানিদাতা, অন্যদিকে জঙ্গিদের প্রতিরোধের অজুহাতে জঙ্গি আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে ভয়াবহ সংঘাতের দিকে ঠেলে দিয়েছে। খোদাদ্রোহী-নবীদ্রোহী নাস্তিক ব্লগারসহ ওহাবী-মওদুদীবাদীদের থাবা বিস্তারের পেছনে কোনো বিদেশি চক্রের হাত আছে কিনা তা তদন্ত হওয়ার দরকার বলে মনে করেন ওলামা-মাশায়েখ নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ইসলাম ও মুসলমানদের ওপর বয়ে যাওয়া মহাদুর্যোগ সম্পর্কে দেশে দেশে গণসচেতনতা তৈরি করার এবং সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠীর আজ্ঞাবহ হেফাজত-জামায়াত-মওদুদীবাদী চক্রের ইসলামের নামে সহিংসতা ও ভ্রান্ত মতবাদের বিস্তার রোধ ও এদের অপরাজনীতির স্বরূপ উন্মোচনের জন্য দেশপ্রেমিক হক্কানি ওলামা-মাশায়েখের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। বক্তারা আফগানিস্তানের তালেবানি ধাঁচে উগ্রবাদী কার্যকলাপের মাধ্যমে মসনদ দখল করার হেফাজতি-জামায়াতিদের দুরভিসন্ধির ব্যাপারে সরকার ও দেশবাসীকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান। বক্তারা নাস্তিক্যবাদী ব্লগারদের বিভীষিকা ও জামায়াত-হেফাজতিদের জঙ্গিবাদী আস্ফালন থামাতে সুন্নী ওলামা-জনতাসহ দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম চালিয়ে যেতে এখন থেকেই প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানান।
শীর্ষস্থানীয় ৭ জন সুন্নী আলেম ইমামে আহলে সুন্নাত আল্লামা কাযী মুহাম্মদ নূরুল ইসলাম হাশেমী (মজিআ), খতীবে বাঙাল অধ্যক্ষ আল্লামা মুহাম্মদ জালালুদ্দিন আলকাদেরী, পীরে তরিকত আল্লামা মুফতি ইদরিস রজভি, পীরে তরিকত আল্লামা আজিজুল হক আলকাদেরী, শেরে মিল্লাত আল্লামা মুফতি ওবাইদুল হক নঈমী, পীরে তরিকত আল্লামা সাইফুর রহমান নিজামী শাহ, অধ্যক্ষ আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ নূরুল মুনাওয়ারের আহ্বানে এবং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আতের আয়োজনে এ সুন্নী মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সুন্নী মহাসমাবেশে প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন মাওলানা এম এ মতিন। সদস্য সচিব এডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার ও মাওলানা স উ ম আবদুস সামাদ মহাসমাবেশ সঞ্চালনা করেন। সুন্নী মহাসমাবেশের ১২ দফা দাবি তুলে ধরেন অধ্যক্ষ আল্লামা আবুল ফরাহ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন। সমবেত জনতা হাত তুলে ১২ দফা দাবির প্রতি সংহতি ও সমর্থন প্রকাশ করেন।
সুন্নী মহাসমাবেশ থেকে ঘোষিত ১২ দফা দাবিতে রয়েছে সংবিধানে আল্লাহর ওপর পরিপূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস সংযোজন করা, খোদাদ্রোহী নবী-ওলীদ্রোহী ওহাবী মওদুদীবাদীসহ নাস্তিক-ব্লগারদের ইসলাম অবমাননার জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান, মায়ানমারসহ বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের ওপর দমন-নিপীড়ন বন্ধ করা, দেশঘাতী ধ্বংসাত্মক হরতাল-অবরোধ আইন করে নিষিদ্ধ করা, গৃহীত নারীনীতি থেকে কোরআন সুন্নাহ বিরোধী ধারাসমূহ বাদ দিয়ে এর সংশোধনে অভিজ্ঞ ওলামাদের অভিমত গ্রহণ করা, সংলাপ-সমঝোতার মাধ্যমে রাজনৈতিক সংকটের সমাধান করা, নারী সাংবাদিকসহ গণমাধ্যম কর্মীদের ওপর হামলা-নির্যাতন বন্ধ করা, সরকারের ইসলামী শিক্ষা সংকোচন নীতি পরিহার করা, জঙ্গি প্রজনন কেন্দ্র কওমী শিক্ষা ব্যবস্থা সরকারি নিয়ন্ত্রণে আনা, তবলিগ জামায়াতের আড়ালে বিদেশি জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ রোধ করা ও তবলিগি কার্যক্রমে সরকারের নজরদারি বাড়ানো, প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে ইসলামী শিক্ষা পড়ানোর জন্য দক্ষ কামিল পাস শিক্ষক নিয়োগ দেয়া, নাস্তিক-ওহাবী-মওদুদী ও কাদিয়ানিদের সকল ভ্রান্ত মতবাদের ইসলাম অবমাননাকর প্রকাশনা বাজেয়াপ্ত করা, সুন্নী ওলামা-মাশায়েখ ও মাজার খানকাহগুলোর নিরাপত্তা দেয়া, নিরীহ মানুষ, সংখ্যালঘু, পুলিশসহ সকল খুন, গুম, মানবাধিকার লংঘনে অভিযুক্ত ও সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায়-পরিবহনে হামলাকারীদের বিচারের দাবি জানানো হয়।
আন্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভা-ারীয়ার সভাপতি পীরে ত্বরীক্বত শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী আল্-মাইজভা-ারী (ম.জি.আ.), পীরে তরিকত আল্লামা আবদুল করিম সিরাজনগরী, পীরে তরিকত আল্লামা আবদুস শাকুর নকশবন্দী, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আলহাজ পেয়ার মোহাম্মদ, পীরে তরিকত মাওলানা সৈয়দ বদরুদ্দোজা বারী, পীরে তরিকত আল্লামা সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী হারুন, পীরে তরিকত আল্লামা সৈয়দ মছিহুদ্দৌলা, পীরে তরিকত আল্লামা আবুল কাশেম নূরী, পীরে তরিকত আল্লামা সৈয়দ শামসুদ্দোহা বারী, পীরে তরিকত আল্লামা কাযী ছাদেকুর রহমান হাশেমী, অধ্যক্ষ আল্লামা নূরুল আলম হেজাজী, অধ্যক্ষ আল্লামা মুখতার আহমদ, পীরে তরিকত হযরত ফৌজুল আমিন শাহ আমিরী, উপাধ্যক্ষ আল্লামা ছগির ওসমানী, গবেষক আল্লামা এম এ মান্নান, আল্লামা সৈয়দ অছিয়র রহমান, আল্লামা হাফেজ সোলায়মান আনসারী, আল্লামা মুফতী আব্দুল ওয়াজেদ, আল্লামা কাযী মঈনুদ্দীন আশরাফী, পীরে তরিকত আবুল মকসুম মুহাম্মদ ফরমান উল্লাহ সুলতানপুরী, পীরে তরিকত শামুনুর রশিদ আমিরী, পীরে তরিকত মাওলানা এয়ার মোহাম্মদ পেয়ারু, শাহজাদা মুহাম্মদ হাসান, পীরজাদা মাওলানা শাহ আলম গরিবী, অধ্যক্ষ আল্লামা ইয়াকুব আলী খান, আল্লামা মুফতি ইবরাহিম আলকাদেরী, আল্লামা শাহ্ নূর মোহাম্মদ আল-কাদেরী, অধ্যক্ষ আল্লামা হারুনুর রশিদ, অধ্যক্ষ আল্লামা ক্বারী নুরুল আলম খান, অধ্যক্ষ আল্লামা মুফতী আহমদ হোসাইন আলকাদেরী, আল্লামা হাফেজ আশরাফুজ্জামান আলকাদেরী, আল্লামা আবু সুফিয়ান আবেদী আলকাদেরী, অধ্যাপক আল্লামা রফিকুল ইসলাম পাটোয়ারী, আল্লামা গাজী শফিউল আলম নেজামী, আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ জালালউদ্দীন, অধ্যক্ষ আল্লামা আমিনুর রহমান, উপাধ্যক্ষ আল্লামা আবুল কাশেম ফজলুল হক, আলহাজ মাহবুব এলাহী শিকদার, আলহাজ সাদেক হোসেন পাপ্পু, অধ্যক্ষ মাওলানা নুরুল ইসলাম জেহাদী, আল্লামা মুফতি বখতিয়ার উদ্দিন আলকাদেরী, অধ্যক্ষ আল্লামা ইসমাইল নোমানী, অধ্যক্ষ আল্লামা সৈয়দ খুরশিদ আলম, পীরজাদা মাওলানা গোলামুর রহমান আশরফ শাহ্, পীরজাদা মাওলানা ওবায়দুল মোস্তফা নঈমী, উপাধ্যক্ষ আল্লামা সৈয়দ নুরুল আমিন, উপাধ্যক্ষ আল্লামা আবদুল ওদুদ, অধ্যক্ষ আল্লামা বদিউল আলম রিজভী, পীরে তরিকত মাওলানা মুহাম্মদ আলী।
Click This Link