জামায়াতের সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ওলামা মাশায়েখ তৌহিদি জনতা সংহতি পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, জামায়াত একটি ভণ্ড দল। ইসলামের সঙ্গে এদের কোনো সম্পর্ক নেই। এরা ইসলামি নয়, সন্ত্রাসী দল।
আজ শনিবার রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে বাংলাদেশ ওলামা মাশায়েখ তৌহিদি জনতা সংহতি পরিষদের ডাকা মহাসমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ফরিদ উদ্দিন মাসউদ এসব কথা বলেন বলে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) খবরে জানানো হয়।
ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমাম ও খতিব ফরিদ উদ্দিন মাসউদ বলেন, ধর্মের নামে উগ্র জঙ্গিবাদকে রুখতে হলে সরকারকে এখনই জামায়াতের সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। কারণ, ধর্মের নামে তারা উগ্র সন্ত্রাসবাদকে আমদানি করে থাকে। তিনি আরও বলেন, জামায়াতের শক্তির উত্স আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রীয় সম্পত্তিতে পরিণত করতে হবে। কারণ, এই প্রতিষ্ঠানগুলোই ইসলামের শত্রু জামায়াতকে সাহায্য করে আসছে।
ফরিদ উদ্দিন মাসউদ বলেন, ইসলামের দৃষ্টিতে যুদ্ধাপরাধ জঘন্যতম মানবতাবিরোধী অপরাধ। যারা এ অপরাধের সঙ্গে জড়িত, তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার দলমত-নির্বিশেষে আপামর জনসাধারণের দাবি। অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করে জাতিকে দায়মুক্ত করতে হবে। তিনি বলেন, জামায়াত ইসলামী শুধু যুদ্ধাপরাধী শক্তিই নয়, ইসলামেরও শত্রু। প্রকাশ্যেই তারা নবীজির সঙ্গে তাদের দলের নেতাদের তুলনা করছে। অথচ ইসলামের পরিষ্কার আকিদা হলো, নবীর সঙ্গে কারও তুলনা হয় না।
ফরিদ উদ্দিন মাসউদ বলেন, ‘আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলছি, জামায়াত একটি ভণ্ড দল। ইসলামের সঙ্গে এদের কোনো সম্পর্ক নেই। এরা ইসলামি দল নয়, সন্ত্রাসী দল।’
সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ বন্ধের দাবি জানিয়ে মাসউদ বলেন, অতি-উত্সাহী কিছু লোক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের এজেন্ডা হাতে তুলে নিয়েছে। এসব কুচক্রীকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। ইসলাম কোনো ধর্মকেই খাটো করে দেখে না। যেকোনো ধর্মের মানুষের নিরাপত্তা বিধানে ইসলাম শত ভাগ নিশ্চয়তা দেয়।
মহাসমাবেশে আরও বক্তব্য দেন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈফি, বি বাড়িয়ার মুফতি মো. কেফায়েত উল্লাহ, ময়মনসিংহ মুক্তাগাছার মাওলানা ওবায়দুর রহমান, পঞ্চগড়ের মাওলানা ওহিদুল ইসলাম অহি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাওলানা হুসাইনুল বান্না, খুলনার মাওলানা ইমদাদুল কাসেমী, রংপুরের মাওলানা হোসাইন আহমেদ, সিলেটের মাওলানা আবুল হোসেন চতুলী, দিনাজপুরের মাওলানা আইয়ুব আনসারী প্রমুখ।
Click This Link