কিভাবে যাবেন-
ঢাকার ফকিরাপুল (রাত ৯টা নাগাদ) হয়ে সায়দাবাদ থেকে বাস ছাড়ে। কিছু কিছু কল্যানপুর/কলাবাগান/গাবতলী হয়েও যায়, তবে বেশী না। থামবে টেকনাফ জাহাজ ঘাটায়। সময় লাগবে প্রায় ১০ ঘন্টা।
এসি বাস- ১১০০/-
সেন্টমার্টিন সার্ভিস
নন-এসি- ৫৬০/-
এস আলম, শ্যামলী, মডার্ন লাইন, ঈগল।
টেকনাফ থেকে জাহাজ ছাড়ে সকাল ১০ টা নাগাদ, ২ ঘন্টায় পৌছবে সেন্টমার্টিন।
কেয়ারী সিনবাদ, এল সি কুটুব দিয়া, কাজল প্রভৃতি জাহাজ আছে। ভালো কেয়ারী সিনবাদ।
ভাড়া ৩৫০/-
ওপরে সিট পেলে ভালো। নিচে পেলেও অসুবিধা নেই। নিচে বসে বসে আশপাশের দৃশ্য দেখে তেমন সুবিধা হবে না। মানুষ বেশীরভাগ সময় বাইরেই দাড়িয়ে থাকে ।
এছাড়া ট্রলারে করেও যাওয়া যায়।
সেন্টমার্টিনে জাহাছ থেকে নেমে ভ্যানে করে যেতে পারেন, তবে এইসময়ে ওদের ভাড়া প্রতি ভ্যান ১০০/- যা অন্য সময় (অফপিক) ২০/-। জাহাজ ঘাটা থেকেই যেতে হবে ছেড়াদিয়া দ্বীপ।
বেশীরভাগ মানুষ ছেড়াদিয়া যায় সকালে, ৩:৩০ এর মধ্যে ফিরে এসে ফিরতি জাহাজ ধরে। এজন্যে ভাড়া এইসময়ে বেশী আবার বেশীক্ণন সময়ও থাকতে পারবেন না, কারন নৌকার আরও ট্রিপ দিতে হবে। এইজন্যে সময় হাতে থাকলে ৪টার পরে যাওয়াই ভালো- অপূর্ব সূযাস্ত দেখতে পারবেন।
ট্রলার প্রতিজন ১০০/- (আপ- ডাউন) / রিজার্ভ ৬০০-৭০০/-(যাওয়া আসা ১ ঘন্টা)
স্পিডবোট ১২০০/- ১৫০০/- (যাওয়া আসা ১/২ ঘন্টা)
এছাড়া হেটেও যাওয়া যাও- যখন পানি কম থাকে- ২ ঘন্টার মতো লাগে।
ওখানে ডাব (২০/-) ছাড়াও কাকড়া ভাজা খেতে পারেন (১০/- - ২০/-)।
সেন্টমার্টিনে অসংখ্য হোটেল, কটেজ আছে। ভাড়া সিজনে ৩ গুণ।
আমার ভীষণ ভালো লেগেছে- সীমানা পেরিয়ৈ। ২ রুমের এক-একটি কটেজ, একরুমে ২টি ডাবল বেড (৪-৬ জন থাকা যাবে) , ভাড়া ১২০০/-১৪০০/-।
এছাড়া আছে নীল দীগন্তে, সেল্যার মুন রিসোর্ট। আর হোটেল আছে ব্লু-মেরীন, অবকাশ । ডাবল রুম ভাড়া সিজনে ২০০০ (+/-)। এগুলো প্রতিটিই বিচের পাশে। এছাড়া তাবুর ব্যবস্থা আছে।
খাওয়া-
অবকাশে-
দুপুর/রাতে- রুপচান্দা/মুরগী/চিংড়ী প্যাকেজ (ডাল, ভাত, ভত্তা সহ) ১০০/-
সকালে (২ পরাটা, ১ ডিম, আলু ভাজি, চা) ৫০/-
সীমানা পেরিয়ে-
দুপুর/রাতে- রুপচান্দা প্যাকেজ ২৫০ কোরাল প্যাকেজ ১২৫ (ডাল, ভাত, ভত্তা সহ)
সকালে খিচুড়ী।
জাহাজ ঘাটায়-
দুপুর/রাতে- রুপচান্দা (৮০/- +) , কোরাল (৫০/- +), ভাত (২০/- +), ডাল (১০/- +) ।
সকালে- পরাটা ৫/-,ডিম ১৫/-, চা ৫/-।
সারাদিনই প্রচুর ডাব খেতে পারেন ১৫/- ২০/- করে।
সবমিলিয়ে ২ রাত ৩ দিন (নন-এসি) জনপ্রতি ৪০০০/- (+/-) খরচ পড়বে।
কেনাকাটা।
ওখানকার লোক আকাশচুমিব দাম কখোনোই হাকবে না। তবে জায়গাভেদে একটু এদিক ওদিকহতে পারে।
শুটকির দাম একটু কম হুমায়ুন আহমেদের বাড়ীর সামনে- (প্রতি কেজি ছুরি ১২০/-, পুটি ১০০/-, সুন্দরি ২৭০/-, রুপচান্দা ৪০০/- - ৭৫০/-)
জ্যান্ত মাছও নিয়ে আসতে পারেন জাহাজঘাটাতেই পাইকারী দোকান আছে। ৪/৫ কিনে শোলার বক্সে করে (২০০/-) আনলে ভালো। কম কিনলে পলিথিনের ব্যাগে বরফ দিয়ে আনলেও ১৮-২০ ঘন্টা টিকবে, তবে নেয়াটা ঝামেলা।
দামঃ রুপচান্দা (বড় সাইজ/৩টায় ১ কেজি) ৪০০/-, কোরাল ২৫০/-
এছাড়া বর্মিজ বাদাম, আচাড়, জুতা, লুঙ্গি ইত্যাদী পাওয়া যায়।
স্কুবা ডাইভিং করতে পারেন জনপ্রতি ২০০০/-২৫০০/- পড়বে এক সিলিণ্ডার গ্যাস নিয়ে সমুদ্রের তলদেশে ঘুরে বেড়ানোর জন্যে।
ঢাকার বাসের টিকেটও করতে পারবেন জাহাজ ঘাটা থেকে।
প্রয়োজনীয় কিছু ফোন নাম্বার ঃ
সীমান পেরিয়ে রিসোর্ট এবং এলসি কুতুবদিয়া জাহাজের এজেন্ট-মিঃ রানা (দারুন মানুষ) ০১৯১১১২১২৯২
ওনাদের টুর কোম্পানীর অফিস- ডিওএইচএস-এ ল্যাণ্ড লাইন-৮৮০২- ৮৮৩৫৮৩১
সেল্যার মুন- কেয়ার টেকার খোকন- ০১৭২৯৭৪৮৬৪
ব্লু মেরীন -
অবকাশ- ইস্কাটন রোড, ০১৭১৩১৪৫৫৮৪
কেয়ারী সিনবাদ জাহাজ (Mr. Saiful- 01727 266077, মামুন টেকনাফ, আর কেয়ারীর অফিস ধানমনন্ডি)
মাছের আড়ত-০১৮২৪৬৫৭৫৮৫
সর্তকতাঃ গোটা সেন্ট মাটিনে বিদু্ নেই। ৬-১২ টা জেনারেটর চলে। চার্জের জন্যে মাল্টিপাগ নিয়ে যাওয়া ভালে।