somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বোহেমিয়ান, ছন্নছাড়া এক বাউল শিল্পীর জীবন কথা

২৭ শে জুন, ২০১২ সকাল ১১:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



১৯৩০ সালের ১০ ই আগস্ট নড়াইলের মাছুমদিয়া গ্রামে সাধারণ এক কৃষক পরিবারে জন্ম হয় শেখ মোহাম্মদ সুলতান ওরফে লাল মিয়ার । বাবা শেখ মেসের আলী কৃষিকাজের এর পাশাপাশি ঘরমির কাজও করতেন। অর্থনৈতিক দৈনতার জন্য লাল মিয়া একমাত্র সন্তান হওয়া স্বত্বেও পঞ্চম শ্রেণীর পর আর এগুতে পারেননি! সেই সময়ে তাকে তাঁর বাবার সহযোগী হিসাবে কাজে যেতে হতো আর তখন তিনি সুযোগ পেলেই কাঠ কয়লা দিয়ে ছবি আঁকতেন! মাঝে মাঝে রঙিন রং ব্যবহার করতেন পাঁকা পুঁইয়ের রস আর কাঁচা হলুদ দিয়ে (পরবর্তীকালেও যখন তিনি বিখ্যাত হয়ে গেছেন, তখন এসব ভেষজ রং এর প্রতি তাঁর একটা আলাদা আকর্ষন ছিল)।
ছবি আঁকার প্রতি তাঁর এই আগ্রহ চোখে পরে স্থানীয় জমিদার ধীরেন্দ্র নাথ রায়ের, তিনি লাল মিয়াকে ভর্তি করে দেন নড়াইলের ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুলে!

কিন্তু শিল্পীর মন প্রথাগত শিক্ষার বেড়াজালে আটকা পরবে কেন, সুতরাং শুরু হয়ে গেলো লাল মিয়ার যাযাবর জীবনের! ১৯৩৮ সালে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ না হতেই তিনি ছবি আঁকা শেখার জন্য বাড়ি থেকে পালিয়ে চলে গেলেন কোলকাতায়। কোলকাতায় গিয়ে উঠলেন নড়াইলের জমিদারদের বাড়িতে, সেখানে জমিদারের ছোট ভাই তাঁর ছবি আঁকার আগ্রহ দেখে তাকে কোলকাতা আর্ট স্কুলে ভর্তি পরীক্ষা দেবার ব্যবস্থা করে দেন। সুলতান ভর্তি পরীক্ষায় ফার্স্ট হলেও ম্যাট্রিক পাশ না করার কারনে ভর্তি আটকে গেলো! তখন কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালায়ের ভাইস চ্যান্সলের ও বিশিষ্ট শিল্পবোদ্ধা শাহেদ সোহাওয়ার্দির বিশেষ সুপারিশে তিনি আর্ট স্কুলে ভর্তি হবার সুযোগ পেলেন!



শুরু হলো তাঁর দ্বিতীয় অধ্যায়! এরপর সব শিল্প অনুরাগীরা যখন মোটামুটি তাঁর দক্ষতায় মুগ্ধ তখন তিনি আরেকবার শিক্ষা জীবন শেষ না করেই সব ছেড়ে ঘর পালালেন.....আর এবার ঘুরে বেড়ালেন সারা ভারতবর্ষ জুড়ে!
তখন দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ চলছে, সুলতান পাঁচ/দশ টাকার বিনিময়ে ভিনদেশী সৈনিকদের ছবি আঁকতেন! তিনি সে সময়ে ছবি একেই জীবিকা চালাতেন, তাই তাঁর এই সময়কার আঁকা কোন ছবি আর পাওয়া যায়নি!
এই সময়ে তিনি আবার নাচ শেখাও শুরু করেছিলেন, তখন তিনি থাকতেন কাশ্মিরে! ১৯৪৬ এর পরে তিনি চলে যান পাকিস্তানে।

কিছু কিছু মানুষ থাকেন, যাদের জীবনের সব সময়েই কেউ না কেউ গভীর ভালবাসায় বেঁধে ফেলতে চায়, সুলতানও হয়তো সেই খুব সংখ্যালঘু ভাগ্যবানদের একজন ছিলেন!
সেই সৌভাগ্যেই হয়তো পাকিস্তানের গর্ভনর জেনারেল মহম্মদ আলী জিন্নার বোন ফাতেমা জিন্নাহ তাকে করাচির সব চাইতে বড় হোটেল মেট্রোপোলে এ বিনা খরচে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন!
এই সময়ে সুলতান যে বড় বড় ছবি গুলো এঁকেছিলেন তার প্রায় সব গুলোরই বিষয়বস্তু ছিল জল কিংবা তেল রং এ আঁকা ছিন্নমূল, অনাহারক্লিষ্ট মানুষের!
তবে এই বিলাসী জীবন আর কারচীর সমুদ্রসৈকতও বেশি দিন তাঁর ভাল লাগেনি, একাকিত্বের নেশায় আবারও যাযাবর হলেন! পাঞ্জাব ঘেষা কাশ্মীরের পার্বত্য বনাঞ্চলের ছায়ায় ঘুরে বেড়ালেন তিনি, আঁকলেনও সব নৈসার্গিক দৃশ্যাবলী আর ব্যবহার করেছিলেন উজ্জল সব রং এর!
ফিরে এসে তিনি একাধিক প্রদর্শনী করেছিলেন, প্রথম চিত্র প্রদর্শনী হয়েছিল ১৯৪৬ সালে সিমলাতে। এরপর কিছুদিন আবার মঞ্চে নাটকও করলেন!

'আর্ট ইন পাকিস্তান' নামে প্রকাশিত পঞ্চাশের দশকের একটা সংকলনে সম্পাদক সুলতানকে 'পাকিস্তানের সব চাইতে সম্ভাবনাময় শিল্পী' বলে অভিহিত করেছিলেন!
এই সময়কালেই এস এম সুলতান পূর্বাঞ্চলের মানুষ হয়েও চারুশিল্প হিসাবে পাকিস্তানের একমাত্র প্রতিনিধি হিসাবে প্যারিসে এক সম্মেলনে যোগদান করেছিলেন, একটা পেপারও উপস্থাপন করেন বিশুদ্ধ ইংরেজীতে!

বিশ্বভ্রমণ শেষ করে বোহেমিয়ান এই শিল্পী ঢাকায় ফেরেন ১৯৫৩ সালে! সেগুনবাগিচার আর্ট ইনস্টিটিউটের তৎকালিন সরকারি রিকুইজিশন করা এক ঘরে তাঁর থাকার সাময়িক ব্যবস্থা করা হয়! এই সময়কার সুলতানের জীবনযাপন নিয়ে নৃতাত্বিক বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গির লিখেছেন " শিল্পী, ভবঘুরে, মুসাফির, ছন্নছাড়া, ছবি আকেঁ ফেলে দেয়, আর বাঁশি বাজায়, গাঁজা খায়, রাধা খুঁজে বেড়ায় কিংবা নিজেকেই রাধা মনে করেন!"

এখানে কিছুদিন থাকার পরে ১৯৫৪ সালের দিকে সুলতান আবার উধাও হয়ে যায়, চলে যান নড়াইলে। বহুদিন তাঁর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি, এই সময়ে তিনি কখনো করেছেন সাধু সঙ্গ, থেকেছেন ভাঙ্গা মন্দিরে আবার কখনো তাকে দেখা গেছে পল্লী কবি জসীম উদ্দীনের বাসগৃহে কখনো বা সেই পশ্চিম পাকিস্তানে!
প্রায় এক যুগেরও বেশি সময়ে তিনি নাগরিক লোকচক্ষুর আড়ালে ছিলেন, তবে ছবি কিন্তু আঁকা থেমে থাকেনি।

দীর্ঘ ১৮ বছর পরে সুলতানে প্রথম চিত্র প্রদর্শনী হয়েছিল খুলনা ক্লাবে, আর সুলতানের মতোই এই প্রদর্শনীও ছিল ক্ষ্যাপা!
এখানে তাঁর আঁকার সকল সরঞ্জাম ছিল দেশী ..মোটা মার্কিন কাপড়, এলা মাটি, ভুসো কালি, পিউরী পাউডার আর ক্যানভাস করা হয়েছিল সাবুদানা জ্বাল দিয়ে ব্যাক কোটিং করে! কয়লা দিয়ে ড্রয়িং করা হয়েছিল ২০/২৫টি ছবির!
সব বড় বড় ফ্রেমর ছবি!
এই প্রদর্শনীতে তাঁর বেশ ভাল অংকের ছবি বিক্রী হয়েছিল, যে টাকা নড়াইলে তার ছবি আঁকার স্কুলের ফান্ডে রাখা হয়েছিল। তিনি সেই টাকা অকাতরে বিলিয়ে দিচ্ছিলেন সাধু সন্ন্যাসীদের। এ নিয়ে পরে একদিন আর্ট কলেজ কতৃপক্ষের সাথে মনোমালিন্য করে চলে গেলেন শহর থেকে আরও দূরের এক নিভৃত পল্লীতে। কিছু পোষা পশুপাখি, একটি দত্তক পরিবার আর ছবি আঁকা; এই নিয়ে শুরু করলেন নি:সঙ্গ বাউলের মতো জীবনযাপন। পরের পাঁচ বছর তাঁর আর কোন খোঁজ পাওয়া গেলো না।

সত্তরের দশকের শেষ দিকে দূর্বার গ্রামীন জীবনীশক্তিতে সমৃদ্ধ ছবি গুলো নিয়ে আবার আবির্ভুত হলেন তিনি ঢাকার একটি চিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে, প্রবল আলোড়ন তোলে এই সময়ে তাঁর ছবি আঁকার স্টাইল আর বিষয়বস্তু।

পরবর্তীকালে শিল্পবোদ্ধাগন বিভিন্ন সময়ে তাঁকে ঢাকায় নিয়ে আসার চেষ্টা করেছেন, একবার তাঁকে তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী সোনারগাঁও এর এক পুরানো ভবনে স্টুডিও করে দেয়া হয়, আরেকবার ঢাকার মিরপুরে তাঁর পছন্দ অনুযায়ী সরকারী খরচে বাড়ি ভাড়া করে দেয়া হয়, কিন্তু নাগরিক জীবন কখনোই তাঁর ভাল লাগেনি। কিছুদিন থেকেই অস্থির হয়ে যেতেন গ্রামের নিভৃত জীবন আর পোষা পশুপাখির সাহচার্যের জন্য!

পার্থিব সম্পদের প্রতি চরম উদাসীন এই শিল্পী যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে ছবির যাদু চালিয়ে যেতে পারেন, সে কারণে তাঁকে বাংলাদেশের 'রেসিডেন্ট আর্টিস্ট' ঘোষনা করা হয়েছিল অর্থাৎ সরকার তাঁর ছবি আঁকার সকল সরঞ্জাম আর টাকা দিতো, বিনিময়ে বছরে ৬ টা ছবি তাঁকে দিতে হবে শিল্প কলা একাডেমিকে। এত কিছু করেও অবশ্য তাকে ইটকাঠের জঙ্গলে অভ্যস্থ করা গেলো না।
সুতরাং এক সময়ে দেখা গেলো ঢাকা ছেড়ে আবার তিনি চলে গিয়েছেন নড়াইলে, এবার গিয়ে এক জমিদারের ভাঙ্গা বাড়িতে উঠলেন! সেখানে দ্বোতালার যে ঘরটিতে তিনি থাকতেন সেখান থেকে অন্য কামড়ায় যাবার বারান্দার মাঝখানটা ছিল ভাঙ্গা, উপরে ছিল না ছাদ, একদম শিল্পীর মতোই খেপাটে।
এর মাঝেই তিনি তাঁর দত্তক পরিবার, কিছু পায়রা, মুরগি, বিড়াল, সাপ আর পাখি নিয়ে খুব আনন্দে থাকতেন। তাঁর বিবাগীমন এতই সংসার বিমুখ ছিল যে সহজে কারো সাথে দেখা করতে চাইতেন না।

পরবর্তীকালে যশোরের সেনানিবাসের তৎকালীন জিওসি তাঁকে তিন কামরার একটা সুন্দর বাড়ি করে দিয়েছিল, সেখান তিনি চলে আসেন। এই বাড়িতে 'শিশুস্বর্গ' নামের ব্যাতিক্রমী একটা স্কুল আর ছোট খাট একটা চিড়িয়াখানা গড়ে তুলেছিলেন!

সুলতান ছবি আঁকার উপরে আনুষ্ঠানিক কোন শিক্ষা সম্পূর্ণ করেনি, তিনি তাঁর গভীর দৃষ্টি দিয়ে আধুনিক শিল্পগুরুদের কাজের অনুকৃতি দেখেছেন! শুধু মাত্র পেন্সিল আর তুলি দিয়েই তিনি কোনক্রমে জীবন ধারণ করেছেন, বানিজ্যিক কোন কাজে তিনি কখনো হাত দেননি, যদিও তাঁর সামনে সুযোগ ছিল প্রচুর। যার ফলে সারা জীবন মোটামুটি দারিদ্রতার সঙ্গে তিনি বসবাস করেছেন, মাছে মধ্যে স্বচ্ছলতার মুখ দেখেছেন আবার সাথে সাথে বেহিসাবীও হয়েছেন।
প্রাতিষ্ঠানিক শিল্পচর্চা থেকে দূরে সুলতান তাঁর একান্ত নিজস্ব শৈলী ও বিষয়বস্তু নিয়ে ছবি এঁকেছেন এবং প্রতিটি ছবিতে ফুটিয়ে তুলেছেন মানুষকে নিয়ে তাঁর নানা স্বপ্ন। তাঁর হাতেই বাংলাদেশের প্যাস্টোরাল শিল্পের পুনরুথ্থান ঘটেছিল।
এবার দেখে নেই সুলতানের কিছু পেইন্টিং......

ছোটখাট দৈহিক গড়নের এই বাউল শিল্পী কাজ করতে ভালবাসতেন বড় বড় ক্যানভাসে..


নিসর্গ-২, তেলরং ১০৫/৮০ সেমি, ১৯৫১


পানি ভরা-১, তেলরং, ৯০/১২০ সেমি, ১৯৭৯

সুলতানের ছবির অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হলো বাংলার কৃষকদের শাররীক গড়নকে অস্বাভাবিক পেশীবহুল বিশাল ও শক্তিশালী করে দেখানো। কারন তিনি মনে করতেন আপত: শীর্ণ চাষী অসীম শক্তির অধিকারী, কারণ তাদের হাত ধরেই জন্ম হয় শষ্যের!


চর দখল-২, তেলরং, ১৫০/১৮০ সেমি, ১৯৮৬


যাত্রা, তেলরং, ১২০/১৮০ সেমি, ১৯৮৬


জমি-কর্ষনে যাত্রা-২, তেলরং, ১২০/৯২ সেমি, ১৯৮৯

তাঁর ছবিতে গ্রামীন বাংলার যে রূপ পাওয়া যায় তাতে শ্রমজীবি মানুষের ঘামের গন্ধ মিশে থাকলেও কোন হতাশা ছিল না।

কাফেলা, কালি ও কলম, ৬০/৩৭সেমি, ১৯৫৩


গ্রামের দুপুর, তেলরং, ১৪৫/১২০ সেমি, ১৯৮৭


চুলবাঁধা, তেলরং, ৮০/১০৫ সেমি, ১৯৮৭

১৯৮৭ সালে ঢাকায় সুলতানের জীবনের বিভিন্ন সময়ের কাজের নমুনা আর মধ্য আশির দশকের আঁকা একশরও বেশি তৈলচিত্র, জলরং ও ড্রয়িং নিয়ে গ্যাটে ইনস্টিটিউট একটা প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিল। অধ্যাপক নজরুল একে 'ঢাকার চিত্রকলার জগতের একটি "উল্লেখযোগ্য ঘটনা" বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। সেখানে পঞ্চাশের দশমের নিসর্গ থেকে শুরু করে বড় বড় প্যানেল ছিল। এত বড় মাপের তেলরং ছবি এদেশের আর কোন শিল্পীর কখনো প্রদর্শিত হয়নি।


মাছ-কাটা, তেলরং, ১৪০/১২০ সেমি, ১৯৮৯


ধান-ভাঙা-১, তেলরং, ১১২/৮৪ সেমি, ১৯৮৯

বলিষ্ট নারীর গড়নে দেখা যায় প্রাগঐতিহাসিক মাতৃদেবীর অবয়ব, ধারিত্রীকে ধারন ও পালনের জন্য যে শক্তিরূপিনী!


নদী-পারাপার, তেলরং, ৯০/৫৫ সেমি, ১৯৮৭


চিত্রা নদীর তীরে-৩, তেলরং, ১২০/১০০ সেমি, ১৯৮৯


কাপড়-ধোয়া, তেলরং, ১০৭/৭৪ সেমি, ১৯৮৯
সুলতানের ছবিতে মানুষ প্রকৃতির সাথে লড়াই করে না, প্রকৃতিকে শাসন করে। বিস্তীর্ন গ্রামের পটভুমিতে তিনি নি:সর্গ আঁকলেও ছবির মূল থিম মানুষ।



প্রথম বৃক্ষরোপণ, তেলরং, ১৪৫/১০৮ সেমি, ১৯৭৫


১৯৯৪ সালে কুড়িগ্রাম শিল্পকলা একাডেমীর আয়োজনে তাঁর শেষ চিত্ররচনা কর্মশালা হয় কুড়িগ্রামে, এই সময়ে তিনি বেশ অসুস্থ হয়ে পরেছিলেন। কর্মশালা শেষে একদিন চিত্রা নদীতে নৌকো করে ঘুরে বেড়াতে বেড়াতে তিনি স্বাগতোক্তি করেছিলেন " যৌবনে কল্পনার নানান আকর্ষণে আবেগে আপ্লুত হয়ে ঘুরে বেড়ালাম সারা ভারতবর্ষ, মন শান্ত হলো না, তাই পাড়ি জমালাম সাত সমুদ্র আর তেরো নদীর পাড়ে। তারপর একদিন অনেকটা আচমকা মনে পড়লো চিত্রাসুন্দরীর কথা.....আমার মন উতলা হলো আমি ফিরে এলাম ওর কাছে, না, ঘরবাঁধা হলো না আমাদের। সময় সবকিছু উল্টে দিয়েছে। চিত্রা হলো চিরবহমান আর আমাকে করলো বোহেমিয়ান (নাসিম আহমেদ নাভিদ)।"

এই বছররেই ১০ অক্টোবর প্রিয় সবুজ গ্রাম আর চিত্রা নদীর মায়া ছেড়ে না ফেরার দেশে শেষ বারের মতো বেড়িয়ে পরলেন মানবদরদী প্রতিবাদী বাউল......সুলতান।





এমন একজন বর্নাঢ্য জীবনের শিল্পীর জীবনীটা সাদেক খানের এস.এম.সুলতান' (আর্ট অব বাংলাদেশ সিরিজ -৪) নামের বইয়ের আলোকে উপস্থাপন করার দু:সাহস করলাম, আর লেখাটা আমার প্রিয় এক বন্ধুর জন্য যার মধ্যে সামান্য হলেও সুলতানের ছায়া রয়ে গেছে




সংযোজন: আমার বেশির ভাগ পোস্টেই এমন কিছু তথ্যমূলক মন্তব্য থাকে, যেগুলো পড়ে লেখাটা সার্তক মনে হয়!
জুলভার্ন ভাইয়ের ৪৫ নম্বর আর ফয়সাল ভাইয়ের ৫০ নম্বর মন্তব্য গুলো এমন দুটো সংযোজন এই লেখায়!

আর মেঘদূত ভাইয়ার এই লেখা গুলোতেও চোখ বুলাতে পারেন সুলতান সম্পর্কে জানতে...

১। শিল্পী এস এম সুলতান ও ভিনসেন্ট ভ্যান গঘঃ জীবন কারিগর
২। এস. এম. সুলতান : যে ছবি কথা বলে
৩। কিংবদন্তীর ক্যানভাসে এস. এম. সুলতান - ১



সর্বশেষ এডিট : ২২ শে অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:২০
১০৫টি মন্তব্য ১০১টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মপোলব্ধি......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫১

আত্মপোলব্ধি......

একটা বয়স পর্যন্ত অনিশ্চয়তার পর মানুষ তার জীবন সম্পর্কে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায়। এই বয়সটা হল পঁয়ত্রিশ এর আশেপাশে। মানব জন্মের সবকিছু যে অর্থহীন এবং সস্তা সেটা বোঝার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি !

লিখেছেন হাসানুর, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩২



হঠাৎ ইলিশ মাছ খেতে ইচ্ছে হল । সাথে সাথে জিভে ..জল... চলে এল । তার জন্য একটু সময়ের প্রয়োজন, এই ফাঁকে আমার জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প ক্ষমতায় আসছে এটা ১০০% নিশ্চিত। আমেরিকায় ইতিহাসে মহিলা প্রেসিডেন্ট হয়নি আর হবেও না।

লিখেছেন তানভির জুমার, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৩৩

আর এস এস সহ উগ্র হিন্দুদের লিখে দেওয়া কথা টুইট করেছে ট্রাম্প। হিন্দুদের ভোট-আর ইন্ডিয়ান লবিংএর জন্য ট্রাম্পের এই টুইট। যার সাথে সত্যতার কোন মিল নেই। ট্রাম্প আগেরবার ক্ষমতায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প জিতলে কঠোর মূল্য দিতে হবে ইউসুফ সরকারকে?

লিখেছেন রাজীব, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪২

ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক মন্তব্যে বাংলাদেশের মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। ৫ তারিখের নির্বাচনে ট্রাম্প জিতলে আরেকবার বাংলাদেশের মিষ্টির দোকান খালি হবে।

আমি এর পক্ষে বিপক্ষে কিছু না বললেও ডায়বেটিসের রুগী হিসেবে আমি সবসময়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×