একটা জৈব ভুত! চেপে বসে আছে আমারই ঘাড়ে, সেই আজন্মকাল ধরে;
আমি পারছি না তাকে সইতে, আবার মুখ ফুটে কিছু কইতে, কারণ-
সে বিহনে যে আমার হৃদয় হাহাকার করে মরে!
যতই চেষ্টা করি তাকে ঘাড় থেকে নামাবার,
ততই সে আরো জোরে চাপতে থাকে বারবার।
মাঝে মাঝে সে আমার সাথে কথা বলার চেষ্ট করে,
তার যত অনুযোগ নাকি সবই আমার তরে?
কিন্তু আমি যে অবুঝ, বুঝি না তার কথা-
কি চায় সে? আর কেন তার এত ব্যাথা!
আমি বুঝি সে আমার দোসর,
আমার দুঃখে সে মুখ টিপে হাসে, আর কাঁদলে রঙিন হয় তার অধর!
আমি খুশি হলে সে ব্যঙ্গ করে, আর আনন্দে খোঁজে ছল;
আমার ভালটা যে দেখতে পায় না, সে কীভাবে হয় আমার বল?
পূর্ণিমার আলোতে যখন সমস্ত প্রকৃতি জোৎস্না দ্বারা সিক্ত হয়,
তখনও সে বিষাদ মুখে বসে থাকে, ঐ আলোতে নাকি তার খুব ভয়?
আমি তার উপস্থিতি টের পাই, গন্ধে পাই তার শরীরের ঘ্রাণ-
কিন্তু ছুঁয়ে দেখতে গেলেই সে পালিয়ে যায়, কীভাবে বুঝাবো যে সে আমার প্রাণ!
আমি বসে বসে তাকে ধরার ফাঁদ পাতি, ঠিক যেভাবে বসে থাকে শিকারী বিড়াল-
এইতো ধরেছি তাকে, কিন্তু হায়! ধরার আগেই যে সে ফুড়ুৎ করে দেয় উড়াল।
আমি কি সত্যিই তাকে আর পারবো না ধরতে?
আমার হৃদয়ের পিঞ্জিরায় তাকে তালা মেরে রাখতে?
কেন নিয়তি এমন খেলা খেলছো? আমি যে পারছি না আর সইতে!
সম্বিত ফিরে পেয়ে আমি মনে মনে হাসি, আবোল তাবোল এসব কি ভাবছি? ধ্যুৎ-
কিন্তু না ভেবেও যে পারি না, কারণ- সে যে আমার সত্যিই কল্পনার জৈব ভুত!
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৫