প্রিয়তমা,
কখনো কি উত্তাল সাগরের বুকে পাল তোলা নৌকার মাঝিকে দেখেছো?
কীভাবে তারা ভয়ংকর দানবীয় সেই ঢেউয়ের মাঝে নিজেদের তরীকে সামলায়!
কখনো কি দিগন্তহীন নীল আকাশের বুকে শঙ্খচিলকে উড়তে দেখেছো?
কীভাবে সে জমীনের দিকে তাকিয়ে তার খাবারের খোঁজ নেয়!
কখনো কি মরুভূমির জাহাজ উটকে দেখেছো?
কীভাবে সে পানি জমা রাখে নিজের পেটের মধ্য!
কখনো কি দূর্বা ঘাসের ডগায় লাল পিপড়াকে দেখেছো?
কীভাবে সে যুগ যুগ ধরে জমিয়ে রাখে তার খাদ্য!
কখনো কি শিশির স্নাত ঘাসে জমে থাকা নীল পানিকে দেখেছো?
কীভাবে রৌদ্রের আলো পড়ে সেটা ঝিকমিক করে!
কখনো কি পিপীলিকার পাখা গজাতে দেখেছো?
কীভাবে তারা উড়ে উড়ে আগুনে পুড়ে মরে!
হাসছো কেন তুমি?
ভাবছো কি তাই এবার বুঝি পাগল হলাম আমি?
তোমার যেমন লাগুক এটাই, আমার পাগলামি!
যখন কষ্ট গুলো সব এই ব্যাথাতুর হৃদয়ে আঘাত হানে,
তখন যে এর থেকে ভাল কোন কাব্য আর বের হয় না।
যখন নিঃশ্বাস গুলো সব ভারি হয়ে ওঠে তোমার পথ পানে চেয়ে,
তখন যে আর মন মানতে চায় না।
ভাবছি যদি মানুষ না হয়ে কোন এক বট বৃক্ষ হতাম,
তাহলে তো অন্তত ছায়া দিয়ে তোমাকে শীতল করতে পারতাম।
শত ধিক এই মানব জন্মে যদি না পাই তোমায়,
তাহলে কিন্তু সত্যিই আমি বলবো পৃথিবী বিদায়!
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৬