লানকাউয়ি র কেবল কার ও বিচ (দেখুন: লাংকায়ির বিচ ও কেবল কার (১) ) দেখা শেষ করে পরের দিন প্ল্যান আইল্যান্ড হপিং এর, বোটে করে বিভিন্ন ছোট ছোট আইল্যান্ডে যাওয়া হবে।
আগের দিন হানি জোন হলিডেস এন্ড ইনোভেশন এর হাস্যজ্বল যুবক রাফ এর সাথে প্যাকেজ কনফার্ম করে এসেছিলাম। আইল্যান্ড হপিং ৪-৫ ঘন্টার প্যাকেজ, জন প্রতি ৪৫ রিংগিত (১রিংগিত=২১টাকা) অথবা পুরা বোট ভাড়া ২৮০ রিংগিত। আমরা ১০ জন থাকাতে বোট ভাড়া করেছি।
সকালে একটা মাইক্রোবাস আমাদের হোটেল থেকে তুলে নিয়ে ছোট্ট একটা জেটিতে নামিয়ে দিল, এখান থেকেই বোট রওয়ানা দিবে। জেটিতে আমরা ছোট একটা দোকান থে চা খেলাম, সাথে বিস্কিট ও চিপস কেনা হলো।
কিছুক্ষন পরে সবাই আমরা একটা বোটে উঠে বসলাম। কাঠের নৌকা স্পিড বোটের আদলে বানান, সাথে শক্তিশালি স্পিডবোটের ইন্জিন, মাথার উপর ছাদ ও বসার জন্য গদিওয়ালা বেন্চি। বেশ আরামদায়ক ব্যাবস্থা।
১.
২.
৩.
বোট ছাড়ার কিছুক্ষনের ভেতর মাথা খারাপ হওয়ার অবস্থা সবার, প্রচন্ড গতিতে বোট ছুটে চলেছে নীল পানির ভেতর দিয়ে, দুই পাশে ছোট ছোট সবুজ পাহাড়। মাঝে আবার শুরু হলো টিপটিপ বৃষ্টি।
বাম পাশে দেখা যাচ্ছে "দি প্রেগন্যান্ট মেইডেন", পাহাড় গুলি এমন ভাবে আছে মনে হয় একজন গর্ভবতী নারী শুয়ে আছেন।
৪.
৫.
৬. দি প্রেগন্যান্ট মেইডেন:
আমাদের প্রথম বিরতি হলো একটা আইল্যান্ডে, নাম ডায়াং বুনতিং জিওফরেস্ট, এই দ্বীপের চারিদিকে সাগর হলেও মাঝে একটা বেশ বড় মিস্টি পানির লেক আছে। সবাই লেকের পানিতে গোসল করছে। আমরা কয়েকজন পা ডুবিয়ে বসলাম, শিং মাছের মত কি যেন একটা মাছ (ক্যাটফিস) হাজারে হাজারে পায়ের আসেপাসে ঘোরাঘুরি করছে, বেশ মজার অনুভুতি।
৭.
৮.
৯. মিস্টি পানির লেক
১ ঘন্টা পার করে আবার ফিরে চললাম নৌকা ঘাটের দিকে, পথে দেখলাম অনেক বানর গাছে গাছে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ঘাটের কাছে আসতে আমাদের সাথের এক পিচ্চি আ্যাবির হাত থেকে বানরের দল চিপস এর প্যাকেট ছিনতাই করলো।
১০. বানর:
১১. বানর:
এরপর আবার বোট রওয়ানা দিল তুমুল গতিতে, বেশ অনেক্ষন পর পৌছালাম চারিদিকে ম্যানগ্রোভ বনের মাঝে একটা শান্ত পানির বেসিন মত যায়গায়। এখানে আকাশে অসংখ্য বড় বড় ইগল পাখি উড়ছে, বোটের ঢেউ এর উপর ডাইভ দিয়ে দিয়ে মাছ ধরতে থাকে ইগল গুলা। এত আচমকা ডাইভ দেয় যে ছবি তুলা যায় না, সবাই ভিডিও মোডে কিছু ক্লিপ নিলাম ইগলের মাছ খাওয়ার। ১৫ মিনিটের বিরতির পর আবার রওয়ানা হলো বোট।
১২. ইগল ফিডিং ইন ম্যানগ্রোভ:
১৩. ইগল ফিডিং ইন ম্যানগ্রোভ:
একটু পরেই পৌছালাম আরেকটা খুবি সুন্দর দ্বীপে, লাংকাউয়ি আসলে ৯৯টা ছোট ছোট দ্বীপ নিয়ে পুরা এলাকা।
এখানে আমাদের আরো ১ ঘন্টা বিরতি। সবাই একমাত্র দোকানে কফি/চা/কোক ও কেক খেয়ে, কাপড় চোপড় বদলিয়ে দৌড় দিলাম সুন্দর বিচের উপর দিয়ে, পানিতে ঝাপিয়ে পড়তে বেশি সময় লাগলো না কারো। এই দ্বীপটা অসম্ভব রকম ভালো লাগলো আমার, ছবির মতো। একপাশে নারিকেল গাছ, ছোট্ট সাদা বালির বিচ, তারপর নীল পানির সাগর। আহা.....
১৪. পুলাও বিরাস বাসাহ:
১৫. পুলাও বিরাস বাসাহ:
১৬. পুলাও বিরাস বাসাহ:
১৭. পুলাও বিরাস বাসাহ এর বানর :
পরের পর্বে থাকবে "পুলাও পায়ার মেরিন পার্ক (৩)"
আগের পর্ব: লাংকায়ির বিচ ও কেবল কার (১)
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫৫